মুনীর চৌধুরীর ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক নাটক কোনটি?
A
রক্তাক্ত প্রান্তর
B
কবর
C
মানুষ
D
রূপার কৌটা
উত্তরের বিবরণ
মুনীর চৌধুরী ও ভাষা আন্দোলনভিত্তিক নাটক ‘কবর’
-
কবর
-
নাটকের পটভূমি: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন।
-
এটি ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম নাটক হিসেবে পরিচিত।
-
১৯৫৩ সালে জেলখানায় বন্দি থাকা অবস্থায় বামপন্থী রণেশ দাশগুপ্ত ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনের জন্য মুনীর চৌধুরীকে নাটক লেখার অনুরোধ করেন।
-
অনুরোধের ভিত্তিতে মুনীর চৌধুরী নাটকটি রচনা করেন।
-
-
মুনীর চৌধুরীর অন্যান্য নাটক
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
-
-
অনুবাদ নাটক
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
-
-
প্রবন্ধগ্রন্থ
-
মীর মানস
-
তুলনামূলক আলোচনা
-
-
অন্যান্য তথ্য
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে লেখা।
-
‘মানুষ’ নাটক ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষিতে রচিত।
-
‘রূপার কৌটা’ হলো মুনীর চৌধুরীর অনুবাদ নাটক।
-
0
Updated: 1 month ago
শাহ মুহাম্মদ সগীর কার পৃষ্ঠপোষকতায় ‘ইউসুফ জোলেখা’ রচনা করেন?
Created: 2 months ago
A
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
B
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
C
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
D
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
শাহ মুহাম্মদ সগীর
-
পরিচিতি: মধ্যযুগে মুসলমান কবিদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন কবি
-
জন্মকাল: আনুমানিক ১৪শ শতকের শেষ থেকে ১৫শ শতকের মধ্যে
-
পৃষ্ঠপোষক: গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
-
প্রধান রচনা: ‘ইউসুফ জুলেখা’ কাব্য
-
উৎস: পারসি কবি আবদুর রহমান জামি রচিত ‘ইউসুফ জুলেখা’ থেকে গল্প গ্রহণ
-
কাব্যে গৌড় সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ (১৩৮৯-১৪১০) এর স্তুতি বিদ্যমান
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
'উর্বশী ও আর্টেমিস' কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
অমিয় চক্রবর্তী
B
জীবনানন্দ দাশ
C
বিষ্ণু দে
D
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
‘উর্বশী ও আর্টেমিস’
-
রচয়িতা: বিষ্ণু দে
-
দেশি ও বিদেশি মিথের প্রয়োগ রয়েছে।
-
সনাতন রোম্যান্টিকতার বিরোধী বিষ্ণু দে-এর প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
-
প্রকাশকাল: ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ।
-
আর্টেমিস ও উর্বশীর চিত্রকল্পে ঐতিহ্য সচেতনতার প্রকাশ।
-
উল্লেখযোগ্য কবিতা: উর্বশী, উর্বশী ও আর্টেমিস, প্রেম, ছেদ, পলায়ন, রাত্রিশেষ ইত্যাদি।
বিষ্ণু দে রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
উর্বশী ও আর্টেমিস
-
চোরাবালি
-
স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ
-
সাত ভাই চম্পা
-
সেই অন্ধকার চাই
-
তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ
-
রবিকরোজ্জ্বল নিজদেশ
উৎস
বাংলাপিডিয়া, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 1 month ago
নওয়াব ফয়জুন্নেসার রচিত ‘রূপজালাল’ গ্রন্থটি কী ধরনের রচনা?
Created: 2 weeks ago
A
নাটক
B
ঐতিহাসিক উপন্যাস
C
আত্মজীবনীমূলক রচনা
D
কাব্যগ্রন্থ
বাংলা সমাজে নারীশিক্ষা ও সমাজকল্যাণে অসাধারণ ভূমিকা রেখে গেছেন নওয়াব ফয়জুন্নেসা। তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম নারী যিনি ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত হন। সাহিত্য, সমাজসেবা ও নারীজাগরণে তাঁর অবদান উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা সমাজে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছিলেন একজন জমিদার, নারীশিক্ষার প্রবর্তক, সমাজসেবক ও কবি।
-
তিনি ১৮৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
-
জমিদারি লাভের আগেই তিনি সমাজকল্যাণ ও দরিদ্রজনের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
-
তাঁর জনহিতৈষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৮৯ সালে মহারানী ভিক্টোরিয়া তাঁকে ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত করেন, যা কোনো বাংলা নারীর জন্য প্রথম ঘটনা।
-
‘বান্ধব’, ‘ঢাকা প্রকাশ’, ‘মুসলমান বন্ধু’, ‘সুধাকর’ ও ‘ইসলাম প্রচারক’ প্রভৃতি বাংলা পত্রিকা তাঁর আর্থিক সহায়তা পেত।
-
তিনি ছিলেন একজন সাহিত্যিক নারী, যার রচনা সমাজবাস্তবতা ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ।
-
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘রূপজালাল’ (১৮৭৬) — গদ্য ও পদ্য মিলিত একটি রূপকধর্মী আত্মজীবনীমূলক কাব্য, যেখানে তিনি তাঁর বিড়ম্বিত দাম্পত্য জীবনের করুণ কাহিনি তুলে ধরেছেন।
-
এছাড়া তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থ হলো ‘সঙ্গীতসার’ ও ‘সঙ্গীতলহরী’।
-
তিনি ১৯০৩ সালে স্বগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন এবং পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত হন।
-
তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৪ সালে তাঁকে (মরণোত্তর) একুশে পদক প্রদান করা হয়।
0
Updated: 2 weeks ago