প্রমথ চৌধুরী কোন পত্রিকা সম্পাদনা করতেন?
A
ভারতী
B
সবুজপত্র
C
সমকাল
D
বঙ্গদর্শন
উত্তরের বিবরণ
প্রমথ চৌধুরী সবুজপত্র পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
প্রমথ চৌধুরী:
- প্রমথ চৌধুরী ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
- তিনি বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষণা করেছেন।
- বাংলা গদ্যে চলিত রীতি প্রবর্তন এবং বিদ্রূপাত্মক প্রবন্ধ রচনায় তিনি বিশেষ খ্যাত।
- প্রমথ চৌধুরী প্রথম গদ্য ও প্রবন্ধে চলিত রীতির ব্যবহার করেন।
- তিনি বাংলা কাব্য সাহিত্যে প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন করেন।
- ১৯১৪ সালে তিনি মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
- ১৯৪৬ সালে তিনি শান্তিনিকেতনে মৃত্যুবরণ করেন।
0
Updated: 1 month ago
'বাংলা গদ্যের জনক' বলা হয় কাকে?
Created: 1 month ago
A
রামমোহন রায়
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
উইলিয়াম কেরি
D
রামরাম বসু
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে 'বাংলা গদ্যের জনক' বলা হয়।
কারণ:
-
তৎকালীন গদ্যরচনাকারীদের মধ্যে গদ্যের কাঠামো ও বাক্যের ভারসাম্য গঠনে সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।
-
সমকালীন গদ্যলেখক অক্ষয়কুমার দত্ত বাংলা গদ্যের জটিলতা দূর করে তা ব্যবহারোপযোগী করেছিলেন; বিদ্যাসাগর সেই গদ্যরীতিতে লালিত্য ও নমনীয়তা যোগ করে ভাষার মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সঞ্চার করেন।
-
বাংলা ভাষার ধ্বনিপ্রবাহ অনুধাবন করে বাক্যে স্বাভাবিক শব্দানুবৃত্তি এবং পরিমিতিবোধ সৃষ্টি করেছেন।
-
বিদ্যাসাগরের পূর্ববর্তী গদ্যের তুলনায় তাঁর সুষম বাক্যগঠন এবং সচেষ্ট রচনা বৈশিষ্ট্য পরিস্কারভাবে লক্ষণীয়।
-
তাঁর সৃষ্ট গদ্যরীতি পরবর্তী পর্যায়ে বাংলা গদ্যের পরিণত রূপের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
0
Updated: 1 month ago
সংশোধিত গেজেট অনুযায়ী, বর্তমানে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদের সংখ্যা কত? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 months ago
A
৮৩০ জন
B
৮৩৬ জন
C
৮৪০ জন
D
৮৫৬ জন
জুলাই গণ–অভ্যুত্থান ২০২৪ – শহীদদের তালিকা
-
প্রকাশের তারিখ: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
-
প্রথম গেজেট: শহীদদের তালিকা সরকারিভাবে প্রকাশিত
-
প্রাথমিক শহীদ সংখ্যা: ৮৩৪ জন (পরে ১০ জন যুক্ত) → ৮৪৪ জন
-
সংশোধন: ৩ আগস্ট, ২০২৫ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আরও একটি গেজেট জারি করে
-
এই গেজেটে ৮ জন বাদ দেওয়া হয়
-
বাদ দেওয়ার কারণ:
-
৪ জনের নাম গেজেটে দুবার এসেছে
-
৪ জন সরাসরি জুলাই আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন না
-
-
-
চূড়ান্ত শহীদ সংখ্যা: ৮৩৬ জন
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি সঠিক নয়?
Created: 1 month ago
A
পথের দাবী → শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
নেকড়ে অরণ্য → শওকত ওসমান
C
চাঁদের অমাবস্যা → সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
D
ক্রীতদাসের হাসি → শওকত আলী
সঠিক উত্তর ঘ) ক্রীতদাসের হাসি → শওকত আলী নয়, বরং এটি শওকত ওসমান রচিত। শওকত আলীর নামে প্রচলিত হলেও প্রকৃতপক্ষে ‘ক্রীতদাসের হাসি’ শওকত ওসমানের কালোত্তীর্ণ উপন্যাস।
ক্রীতদাসের হাসি উপন্যাস
-
প্রকাশকাল: ১৯৬২।
-
এটি একটি প্রতিকাশ্রয়ী উপন্যাস, যেখানে রূপক-প্রতীকের মাধ্যমে তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খানের সমালোচনা করা হয়েছে।
-
উপন্যাসে বাগদাদের বাদশা হারুন অর রশিদ অত্যাচারী শাসক হিসেবে প্রতীকী রূপে এসেছে।
-
ক্রীতদাস তাতারি এবং বাঁদি মেহেরজান প্রেমে আবদ্ধ হলেও বাদশা তাদের মধ্যে বাধা সৃষ্টি করে। তাতারিকে গৃহবন্দি ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
-
তাতারি আমৃত্যু বাদশার নির্যাতনের প্রতিবাদ করে যায়।
-
এখানে তাতারি বাঙালি জনতার প্রতীক এবং বাদশা হারুন আইয়ুব খানের প্রতীক। তাতারির হাসি শেষ পর্যন্ত বাঙালির স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে ওঠে।
-
এটি শওকত ওসমানের সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত। এই গ্রন্থ রচনার জন্য তিনি ১৯৬৬ সালে আদমজি পুরস্কার লাভ করেন।
শওকত ওসমান
-
জন্ম: ২ জানুয়ারি ১৯১৭, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রাম।
-
প্রকৃত নাম: শেখ আজিজুর রহমান; সাহিত্যিক নাম: শওকত ওসমান।
-
তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একাধিক উপন্যাস লিখেছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
ক্রীতদাসের হাসি
-
সমাগম
-
রাজা উপাখ্যান
-
দুই সৈনিক
-
নেকড়ে অরণ্য (মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত; পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতনের বিবরণ রয়েছে)
-
পতঙ্গ পিঞ্জর
-
রাজসাক্ষী
-
জলাঙ্গী
-
পুরাতন খঞ্জর
-
বনি আদম
-
জননী
-
চৌরসন্ধি
তাঁর রচিত নাটকসমূহ
-
তস্কর নস্কর
-
পূর্ণ স্বাধীনতা চূর্ণ স্বাধীনতা
-
আমলার মামলা
0
Updated: 1 month ago