ডোম্বী পা সম্পর্কে জানা যায় যে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে তিনি ত্রিপুরা বা মগধের রাজা ছিলেন। তাঁর পূর্বসূরী ছিলেন বিরূপ পা। ডোম্বী পা প্রায় ৭৯০ থেকে ৮৯০ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন। বাংল সংকৃত্যায়নের অনুযায়ী, তাঁর জীবৎকাল শেষ হয় দেবপালের রাজত্বকালে (৮০৬-৮৪৯)। তিনি ছিলেন ক্ষত্রিয় বর্ণের, মগধে বিশ্বাসী এবং চুরাশি সিদ্ধদের একজন।
অন্যদিকে, অন্যান্য সিদ্ধ ও পাদের তথ্য নিম্নরূপ:
-
দারিক পা: কিছু ধারণা অনুযায়ী, তিনি লুই পা’র শিষ্য ছিলেন। তাঁর সময়কাল অষ্টম শতকের শেষ ভাগ ও নবম শতকের প্রথমার্ধ। তাঁর চর্যাপনের ভাষা ছিল প্রাচীন বাংলা। অন্য মতে শালীপুত্রের রাজা ইন্দ্রপালই বারিক পা। তাঁর অনুস্থান ছিল উড়িষ্যা, পরে তিনি সিদ্ধা হন।
-
কুকুরী পা: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, কুকুরী পা ছিলেন বাংলাদেশের লোক এবং ইন্দ্রভূতির গুরু। তিনি আট শতকের প্রথমার্ধে বর্তমান ছিলেন। রাহুল সংকৃচ্যায়নের মতে, তিনি দেবপালের রাজত্বকালে ছিলেন এবং জীবৎকালের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৮৩০ সাল। তাঁর স্থান কপিলাবস্তু, জন্ম ব্রাহ্মণ বংশে, এবং তিনি ছিলেন অন্যতম সিদ্ধা। তারানাথের মতে, তিনি একটি কুকুরী উঠদন্য সঙ্গে রাখতেন, তাই কুকুরী পা নামে পরিচিতি পান।
-
মহীধর পা: তিনি কাজলার শিষ্য ছিলেন। তাঁর পদের ভাষা প্রাচীন মৈথিলি। জীবৎকাল ৮৭৫ সাল থেকে। তিনি বিগ্রহ পাল-নারায়ণ পালের রাজত্বকালে জীবনধারণ করেছিলেন। জন্মস্থান মগণ, বর্গে শূদ্র, এবং কারও মতে তিনি দারিক পা’র শিষ্য ছিলেন।