A
মৃত্যুক্ষুধা
B
বাঁধন-হারা
C
কুহেলিকা
D
পরিণীতা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস হচ্ছে বাঁধন-হারা।
বাঁধন-হারা:
- ‘বাঁধন-হারা’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস।
- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস।
- নজরুল করাচীতে অবস্থানকালে উপন্যাসটির রচনা শুরু করেন।
- এটি প্রথমে ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- উপন্যাসের নায়ক নুরুল হুদা এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলো রবিউল, রাবেয়া, সোফিয়া, মাহবুবা প্রমুখ।
কাজী নজরুল ইসলাম:
- বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯), পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
- তাঁর ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
- বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে।
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা,
- মৃত্যুক্ষুধা,
- কুহেলিকা।

0
Updated: 8 hours ago
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে একক দেশ হিসেবে শীর্ষ অবস্থানে আছে- [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
চীন
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
ভিয়েতনাম
D
বাংলাদেশ
পোশাক রপ্তানি – ২০২৪
-
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) সম্প্রতি Key Statistics and Trends in International Trade 2024 প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
-
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বে মোট ৫৫৭.৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি হয়েছে।
-
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে একক দেশ হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে চীন।
-
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, যার রপ্তানি আয় ছিল ৩৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার।
-
বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ০.২১%।
-
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম।

0
Updated: 1 month ago
‘শকুন্তলা’ গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
Created: 3 weeks ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
‘শকুন্তলা’ (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত)
-
১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রাচীন সংস্কৃত মহাকবি কালিদাস রচিত অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ নাটক অবলম্বনে বিদ্যাসাগর একটি আখ্যান/উপন্যাসোপম কাহিনি রচনা করেন।
-
এর নাম দেন ‘শকুন্তলা’।
-
কাহিনি নির্মাণ ও ভাষাব্যবহারে বিদ্যাসাগর যথেষ্ট স্বাধীনতা নিয়েছেন।
-
এতে তাঁর সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি, আধুনিক মনোভাব, শিল্পবোধ ও পরিমিতি প্রকাশ পেয়েছে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮২০ খ্রি., পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে।
-
১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ থেকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। (মূল নাম: ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা)।
-
তাঁকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।
-
তিনি প্রথম বাংলা গদ্যে যতিচিহ্ন/বিরামচিহ্ন ব্যবহার করেন।
-
তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: বেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭)—এ গ্রন্থেই প্রথমবার বিরামচিহ্নের ব্যবহার দেখা যায়।

0
Updated: 3 weeks ago
"আমার কবিতা আমি জানি গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।" পঙ্ক্তিটির লেখক কে?
Created: 11 hours ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
সুকান্ত ভট্টাচার্য
“আমার কবিতা আমি জানি, গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।”—এই পঙ্ক্তিটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এটি তাঁর ঐকতান কবিতার অংশ, যা রচিত হয়েছিল তাঁর মৃত্যুর মাত্র চার মাস আগে।
ঐকতান কবিতা রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি মূলত কবির আত্মস্বীকারোক্তিমূলক ও আত্মপক্ষসমর্থনমূলক কবিতা, যেখানে তিনি নিজের সীমাবদ্ধতা ও সৃষ্টির বৈচিত্র্যের মধ্যকার অপূর্ণতা স্বীকার করেছেন। কবি মনে করেন, তাঁর কবিতা যদিও বিচিত্র পথে অগ্রসর হয়েছে, তবুও তা সর্বত্র পৌঁছাতে পারেনি।
ঐকতান কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য
-
কবি পৃথিবীর বিশালতা ও বৈচিত্র্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
-
মানুষের সভ্যতা, নদী, গিরি, সিন্ধু, মরু, নগর ও কীর্তির বিপুলতা তিনি স্বীকার করেছেন।
-
সেই তুলনায় তাঁর সৃষ্টিকর্ম সীমাবদ্ধ ও একটি ক্ষুদ্র কোণেই আবদ্ধ।
-
কবি স্বীকার করেছেন যে, তাঁর সুরে অপূর্ণতা রয়েছে।
-
আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়েও তিনি শিল্পীর সত্য ও সততা প্রকাশ করেছেন।
এ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ শিল্পীর আত্মদর্শন ও আত্মবিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন, যা তাঁর সাহিত্যকর্মের গভীর মানবতাবোধকে প্রতিফলিত করে।

0
Updated: 11 hours ago