বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্য সংকলন কোনটি?
A
চর্যাপদ
B
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
C
সেক শুভোদয়া
D
মঙ্গলকাব্য
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, কবিতা সংকলন এবং গানের সংকলন। এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। ১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে এই গ্রন্থ আবিষ্কার করেন। চর্যাপদের চর্যাগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন এবং এতে বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু উঠে এসেছে। চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র, এবং ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই তিব্বতী অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
0
Updated: 1 month ago
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কত সালে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন?
Created: 2 months ago
A
১৯১৭ সালে
B
১৯০৭ সালে
C
১৯১৬ সালে
D
১৯০৫ সালে
চর্যাপদ
-
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন।
-
১৮৮২ সালে Sanskrit Buddhist Literature in Nepal গ্রন্থে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রথম প্রকাশ করেন।
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের কতকগুলো পদ আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ১৯১৬ সালে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) চারটি পুঁথি একত্রে ‘হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশ করে।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago
চর্যাপদের ধর্মমত নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন কে?
Created: 2 months ago
A
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
C
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
D
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
চর্যাপদের প্রধান আলোচকগণ:
-
১৯০৭ সালে চর্যাপদ আবিষ্কারের পর অনেক পণ্ডিত চর্যাপদ ও এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেন।
-
বিজয়চন্দ্র মজুমদার – ১৯২০ সালে চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী – চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন এবং ১৯৩৮ সালে প্রকাশ করে চর্যার জট উন্মোচন করেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ – ১৯২৭ সালে চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন এবং ১৯৪২ সালে চর্যাপদের সঠিক পাঠ নির্ণয় করে আলোচনার পথ সহজ করেন।
-
ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত – ১৯৪৬ সালে চর্যাগীতির অন্তর্নিহিত তত্ত্বের ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago
চর্যাপদের পদগুলো মূলত-
Created: 1 day ago
A
শ্লোক
B
কবিতা
C
গান
D
ধাঁধা
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম রূপগুলোর একটি, যা মূলত গান আকারে রচিত। এটি বৈদিক ও বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে মানুষের ধ্যান, ভক্তি, আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা এবং সামাজিক জীবনের দিক তুলে ধরে। চর্যাপদের কবিতা বা শ্লোকের মতো লিখিত হলেও, এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল স্বর ও তাল সহ গাইতে বা আবৃত্তি করতে পারা, অর্থাৎ এটি প্রায়শই গান আকারে ব্যবহৃত হত।
এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
স্বর ও ছন্দের উপযোগী: চর্যাপদের পদগুলো গান বা আবৃত্তির জন্য বিশেষভাবে রচিত, যাতে সহজে উচ্চারণ এবং তাল মিলিয়ে পাঠ করা যায়।
-
আধ্যাত্মিক ও সামাজিক বিষয়: এ পদগুলিতে মানবিক জীবন, ধর্মীয় ভাবনা, আধ্যাত্মিক সাধনা এবং সামাজিক নৈতিকতা সংমিশ্রিতভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
প্রাচীন বাংলা সাহিত্য: চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীন সাহিত্য, যা মূলত পালি ভাষা ও প্রাচীন বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে রচিত। এটি বাংলা সাহিত্যের শুরু ও লোকসংস্কৃতির পরিচয় বহন করে।
-
সংগীত ও লয়: গান আকারে রচিত হওয়ায় পদগুলোর স্বর, তাল ও ছন্দের গুরুত্ব বেশি। এটি শুধুমাত্র পাঠ্য নয়, বরং শ্রবণ ও গানের মাধ্যমে ধ্যান এবং আধ্যাত্মিক অনুভূতি প্রকাশ করে।
-
ধর্মীয় প্রভাব: চর্যাপদে বৌদ্ধ চেতনা এবং স্থানীয় আধ্যাত্মিক অনুশীলনের প্রভাব স্পষ্ট। গান আকারে রচনার মাধ্যমে পাঠক বা শ্রোতা ধ্যানমগ্ন অবস্থায় শিক্ষা ও নৈতিকতা উপলব্ধি করতে পারে।
সারসংক্ষেপে, চর্যাপদের পদগুলো মূলত গান আকারে রচিত, যা আধ্যাত্মিক চিন্তা, ধর্মীয় ভাবনা এবং সামাজিক মূল্যবোধকে সহজ, ছন্দময় ও সঙ্গীতময়ভাবে প্রকাশ করে। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ রূপ, যা গীতিময় আভাস এবং ধ্যানমগ্ন পাঠের জন্য উপযোগী।
0
Updated: 1 day ago