'দিগদর্শন' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন -
A
রামমোহন রায়
B
জন ক্লার্ক মার্শম্যান
C
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
D
নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
উত্তরের বিবরণ
'দিগদর্শন' বঙ্গভূমিতে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সাময়িক পত্রিকা। প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৮১৮ সালের এপ্রিল মাসে এবং এটি মাসিক পত্রিকা হিসেবে ছাপা হত। পত্রিকাটি শ্রীরামপুরের ব্যাপটিস্ট মিশন থেকে প্রকাশিত হয়।
পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন বিখ্যাত খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক জোশুয়া মার্শম্যানের পুত্র জন ক্লার্ক মার্শম্যান। কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ গ্রন্থাগারে দিগ্দর্শনের কপিসমূহ সংরক্ষিত আছে।
0
Updated: 1 month ago
'সমাচার দর্পণ' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
Created: 2 months ago
A
জন ক্লার্ক মার্শম্যান
B
জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ার্সন
C
উইলিয়াম কেরি
D
ডেভিড হেয়ার
‘সমাচার দর্পণ’ ছিল বাংলার প্রথম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র, যা বাংলা সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান, যিনি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগী একজন ব্রিটিশ মিশনারি ছিলেন। তাঁর সম্পাদনায় ‘সমাচার দর্পণ’ শুধু খবর প্রচারেই নয়, সমাজে সচেতনতা সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই পত্রিকা প্রকাশিত হয় ১৮১৮ সালের ২৩ মে, সেরামপুর মিশন প্রেস থেকে। এটি বাংলা ও ইংরেজি—দু’ভাষাতেই ছাপা হতো। জন ক্লার্ক মার্শম্যান ছিলেন এর মূল সম্পাদক, আর উইলিয়াম কেরি ও জোশুয়া মার্শম্যান ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক। ‘সমাচার দর্পণ’ এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে দেশ-বিদেশের খবর পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়, যা সে সময়ের সমাজে ছিল এক অভিনব উদ্যোগ।
• প্রকাশকাল ও স্থান: পত্রিকাটি ১৮১৮ সালের ২৩ মে সেরামপুর মিশন প্রেস থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়।
• প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক: প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন উইলিয়াম কেরি, আর সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
• প্রকাশের উদ্দেশ্য: ব্রিটিশ শাসনামলে বাঙালি সমাজকে শিক্ষা ও সংবাদে সচেতন করা ছিল প্রধান লক্ষ্য।
• বিষয়বস্তু: এতে দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক খবর, সমাজসংস্কার বিষয়ক আলোচনা, বিজ্ঞান ও শিক্ষা সম্পর্কিত খবর স্থান পেত।
• ভাষা: বাংলা ভাষায় লেখা হলেও ইংরেজি সংস্করণও প্রকাশিত হতো, যা ইউরোপীয় পাঠকদের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।
• প্রভাব: এই পত্রিকার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলে, এবং সামাজিক পরিবর্তনের পথে নতুন চিন্তার সূচনা হয়।
• ঐতিহাসিক গুরুত্ব: এটি বাংলা সাংবাদিকতার সূচনা হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এর আগে বাংলায় কোনো নিয়মিত সংবাদপত্র ছিল না।
জন ক্লার্ক মার্শম্যান পত্রিকার মাধ্যমে শুধু সাংবাদিকতা নয়, বরং বাংলা ভাষার বিকাশ এও অবদান রাখেন। তিনি ভাষার সরলতা ও স্পষ্টতা বজায় রাখার চেষ্টা করেন, যাতে সাধারণ মানুষ সহজে বিষয়বস্তু বুঝতে পারে।
অন্যদিকে অন্যান্য বিকল্পগুলো—জন আব্রাহাম গ্রিয়ার্সন, উইলিয়াম কেরি, এবং ডেভিড হেয়ার—তাঁরা সবাই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হলেও ‘সমাচার দর্পণ’-এর সম্পাদক ছিলেন না। উইলিয়াম কেরি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা ও মিশন প্রেসের মালিক, ডেভিড হেয়ার ছিলেন শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক, আর জন গ্রিয়ার্সন ছিলেন ভাষাবিদ, কিন্তু সাংবাদিক নয়।
সুতরাং, ‘সমাচার দর্পণ’-এর সম্পাদক হিসেবে সঠিক উত্তর হলো জন ক্লার্ক মার্শম্যান, যিনি বাংলা সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক পথিকৃৎ হিসেবে আজও স্মরণীয়।
0
Updated: 1 day ago
'সংবাদ প্রভাকর' কত সালে দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রথম প্রকাশিত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৮৩১ সালে
B
১৮৩৬ সালে
C
১৮৩৯ সালে
D
১৮৪১ সালে
সংবাদ প্রভাকর:
-
‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
-
তিনি ১৮৩১ সালে সংবাদ প্রভাকর (সাপ্তাহিক) পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন।
-
কিছুদিনের মধ্যেই পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু ১৮৩৬ সালে পুনরায় প্রকাশিত হয়।
-
১৮৩৯ সালে এটি বাংলা ভাষায় প্রথম দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়।
-
সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি পত্রিকায় সাহিত্যচর্চাও হতো।
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং দীনবন্ধু মিত্রর প্রাথমিক রচনাগুলোও সংবাদ প্রভাকরেই প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
-
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সংবাদ প্রভাকর ছাড়াও সংবাদ রত্নাবলী, পাষন্ডপীড়ন ও সংবাদ সাধুরঞ্জন পত্রিকাগুলোও সম্পাদনা করেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
জোশুয়া মার্শম্যান কোন পত্রিকার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
সমাচার দর্পণ
B
সমাচার সভারাজেন্দ্র
C
সম্বাদ কৌমুদী
D
বাঙ্গাল গেজেট
জোশুয়া মার্শম্যান ছিলেন বাংলার প্রারম্ভিক যুগের সংবাদপত্র আন্দোলন, ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রাচ্যবিদ্যা চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি কেবল একজন মিশনারি নন, বরং একজন পণ্ডিত, চিন্তাবিদ ও শিক্ষাব্রতী ব্যক্তিত্ব, যিনি বাংলা সাংবাদিকতা ও ধর্মীয় জ্ঞানচর্চায় গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন।
-
জোশুয়া মার্শম্যান ছিলেন একজন পণ্ডিত, প্রাচ্যবিদ্যাবিশারদ ও ধর্মতাত্ত্বিক।
-
তিনি শ্রীরামপুর মিশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, যিনি উইলিয়াম কেরি ও উইলিয়াম ওয়ার্ডের সঙ্গে একত্রে শিক্ষা ও সংবাদমাধ্যমের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
-
তিনি ভারতে সংবাদপত্রের অগ্রদূতদের অন্যতম এবং ১৮১৮ সালে প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক ‘সমাচার দর্পণ’ প্রকাশে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
-
এ ছাড়া তিনি ‘Friends of India’ নামে একটি ইংরেজি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন, যার পরবর্তীকালে সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব নেন তাঁর পুত্র জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
-
১৮২১ সালে তিনি শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার উদ্দেশ্যে ‘School Dialogues; or Lessons on the Commandments and the Way of Salvation’ নামক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।
-
একই বছরে তিনি প্রথমবারের মতো চীনা ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করেন, যা ১৮২১ সালে শ্রীরামপুর প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়।
-
তিনি আরও কিছু খ্রিস্টীয় প্রার্থনাসঙ্গীত রচনা করেন, যা পরবর্তীকালে প্রচার কাজে ব্যবহৃত হয়।
-
তাঁর প্রচেষ্টায় শিক্ষা, ধর্মপ্রচার ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে চিন্তাবিকাশের এক নতুন যুগের সূচনা ঘটে।
জোশুয়া মার্শম্যান সম্পৃক্ত প্রধান পত্রিকা ও প্রকাশনা:
-
সমাচার দর্পণ – প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদপত্র (১৮১৮)।
-
দিগদর্শন – শিক্ষামূলক ও সাহিত্যধর্মী পত্রিকা।
-
Friends of India – ইংরেজি ভাষার মাসিক পত্রিকা।
বাংলা সাংবাদিকতার ইতিহাসে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
মুসলমান সম্পাদিত প্রথম সংবাদপত্র: সমাচার সভারাজেন্দ্র — সম্পাদক শেখ আলিমুল্লাহ; প্রকাশিত হতো কলকাতার কলিঙ্গা থেকে। এটি ছিল বাংলা-পারসি দ্বিভাষিক পত্রিকা।
-
ব্রাহ্মণসেবধি ও সম্বাদ কৌমুদী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন রাজা রামমোহন রায়।
-
রাজা রামমোহন রায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত ‘বাঙ্গাল গেজেট’ ছিল একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা, যার সম্পাদক ছিলেন গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য।
জোশুয়া মার্শম্যানের অবদান শুধু সাংবাদিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; তিনি ভারতীয় সমাজে শিক্ষা, যুক্তিবাদ ও মুদ্রণসংস্কৃতির প্রসারে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন, যার ফলেই বাংলায় আধুনিক সংবাদপত্র ও শিক্ষা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
0
Updated: 2 weeks ago