কোন পত্রিকা ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র ছিলো?
A
ভারতী
B
তত্ত্ববােধিনী
C
পরিচয়
D
সওগাত
উত্তরের বিবরণ
‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকা ব্রাহ্মসমাজের তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হয়। এটি ১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। পত্রিকাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রাহ্মধর্মের প্রচার এবং সভ্যদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা।
পত্রিকায় লিখতেন উনিশ শতকের শ্রেষ্ঠ গদ্যলেখকরা, যেমন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজনারায়ণ বসু, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, এবং তাঁদের লেখার মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এক নবযুগের সূচনা হয়।
যদিও মূলত বেদান্ত-ভিত্তিক ব্রহ্মবিদ্যার প্রচারই পত্রিকার লক্ষ্য ছিল, তবুও এতে প্রকাশিত হত জ্ঞান-বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব ও দর্শন সম্পর্কিত মূল্যবান রচনা।
‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকা ১৯৩২ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। অক্ষয়কুমারের পরে বিভিন্ন সময়ে এর সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন নবীনচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অযোধ্যানাথ পাকড়াশী, হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
‘সমকাল’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
Created: 5 months ago
A
মোহাম্মদ আকরম খাঁ
B
তফাজ্জল হোসেন
C
নাসিরুদ্দীন
D
সিকানদার আবু জাফর
‘সমকাল’ পত্রিকা
১৯৫৭ সালে ঢাকা থেকে সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদনায় প্রকাশিত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘সমকাল’। এর সহকারী সম্পাদক হিসেবে ছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান। পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশের আধুনিক সাহিত্যের ভিত্তিপ্রস্তর গঠনে ‘সমকাল’ পত্রিকার ভূমিকা অস্বীকারযোগ্য নয়।
পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের বাংলাভাষী বাংলাদেশের প্রভাবশালী লেখকদের মধ্যে এমন কেউ ছিলেন না, যিনি ‘সমকাল’ পত্রিকায় লেখেননি। ‘সমকাল’ ছিল লেখকদের জন্য গর্বের বিষয়। সম্পাদক সিকান্দার আবু জাফর একজন সংগঠক হিসাবে বাংলাভাষী লেখকদের বিকাশে ‘সমকাল’ পত্রিকাকে সামনে নিয়ে গিয়েছিলেন।
এছাড়া তিনি দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক মিল্লাত পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 5 months ago
'মোসলেম ভারত' পত্রিকার সম্পাদক কে?
Created: 2 months ago
A
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক
B
নাসির উদ্দীন ইউসুফ
C
মীর মশাররফ হোসেন
D
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকা:
- 
কবি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক এর সম্পাদনায় কলকাতা থেকে ১৩২৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ (১৯২০) মাসে মাসিক ‘মোসলেম ভারত’ প্রকাশিত হয়। 
- 
প্রথম বছরে এটি নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হলেও পরবর্তী বছর অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়। মোট মাত্র ১৭টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। 
- 
রবীন্দ্রনাথের বাণী প্রতি সংখ্যার সূচনায় প্রকাশিত হতো। 
- 
‘মোসলেম ভারত’ নজরুলের সাহিত্যিক প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে প্রধান সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। 
- 
প্রতি সংখ্যায় নজরুলের একাধিক রচনা প্রকাশিত হয়। 
- 
নজরুলের বিভিন্ন লেখা যেমন কামাল পাশা, মোহররম, সাত ইল বিদ্রোহী, বাঁধন-হারা আরব, বিদ্রোহী (উপন্যাস, কিস্তিতে) ইত্যাদি এই পত্রিকার পৃষ্ঠায় ছড়িয়ে আছে। 
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ও বাংলাপিডিয়া।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago
’সমাচার চন্দ্রিকা’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
B
জন ক্লার্ক মার্শম্যান
C
বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায়
D
রাজা রামমোহন
‘সমাচার চন্দ্রিকা’ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সাপ্তাহিক পত্রিকা। রাজা রামমোহনের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে সম্বাদ কৌমুদীর সম্পাদক ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় পত্রিকা ত্যাগ করেন এবং পরবর্তীতে ১৮২২ সালের ৫ মার্চ তিনি ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ প্রকাশ করেন। এটি দ্রুতই রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের মুখপত্রে পরিণত হয় এবং টিকে ছিল ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে।
- 
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন লেখক, সাংবাদিক ও কলকাতার রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের অন্যতম নেতা। 
- 
তিনি ১৮২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজা রামমোহন রায় সম্পাদিত ‘সম্বাদ-কৌমুদী’ পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজ শুরু করেন। 
- 
বাংলা ভাষায় প্রথম সৃজনশীল গদ্য রচনার কৃতিত্ব তাঁর। 
- 
তাঁর রচনার তীব্র বিদ্রূপ ও রঙ্গব্যঙ্গ পাঠকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করত। 
- 
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: দূতীবিলাস, শ্রীশ্রী গয়াতীর্থ, আশ্চর্য্য উপাখ্যান ইত্যাদি। 
- 
তিনি আধুনিক বাংলা গদ্য সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত। 
- 
তাঁর রচনার মাধ্যমে সমকালীন সমাজ ও সংস্কৃতির নানা দিকের সমালোচনা প্রতিফলিত হয়েছে। 
- 
‘সমাচার চন্দ্রিকা’ পত্রিকা ব্রাহ্ম সমাজের প্রগতিশীল চিন্তার বিপরীতে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছিল। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago