নিচের কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি হিসেবে গণ্য নয়?
A
বিটুমিনাস কয়লা
B
শেল গ্যাস
C
এনথ্রাসাইট
D
বায়োগ্যাস
উত্তরের বিবরণ
বায়োগ্যাস ও জীবাশ্ম জ্বালানি
-
বায়োগ্যাস
-
এটি জৈব পদার্থের পচনের মাধ্যমে উৎপন্ন একটি নবায়নযোগ্য শক্তি, যা জীবাশ্ম থেকে আসে না।
-
বায়োগ্যাস জৈব বর্জ্য (গোবর, উদ্ভিজ্জ বর্জ্য ইত্যাদি) থেকে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়।
-
এতে প্রধানত মিথেন গ্যাস (CH4) থাকে।
-
এটি নবায়নযোগ্য এবং দীর্ঘ সময় ধরে গঠিত হয়নি, তাই জীবাশ্ম জ্বালানি নয়।
-
-
জীবাশ্ম জ্বালানি
-
মৃত গাছপালা, মৃত প্রাণীদেহ ইত্যাদি হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে যে জ্বালানি তৈরি হয়, তাকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলা হয়।
-
এগুলো অ-নবায়নযোগ্য এবং দাহের সময় কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে পরিবেশ দূষণ করে।
-
উদাহরণ:
-
কয়লা
-
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
পেট্রোলিয়াম
-
-
-
পার্থক্য
-
বায়োগ্যাস নবায়নযোগ্য, জীবাশ্ম জ্বালানি নয়।
-
জীবাশ্ম জ্বালানি দীর্ঘ সময় ধরে গঠিত হয়, বায়োগ্যাস পুনরায় উৎপাদনযোগ্য।
-
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ভাইরাস ঘটিত রোগ ?
Created: 1 month ago
A
পোলিও
B
আমাশয়
C
কলেরা
D
ডিপথেরিয়া
• পোলিও (Poliomyelitis) একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা Poliovirus দ্বারা সংক্রমিত হয়।
- এই ভাইরাসটি মেরুদণ্ড এবং মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে, যার ফলে পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস হতে পারে।
- এটি সাধারণত মুখ দিয়ে দূষিত পানি বা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর নিরলস প্রচেষ্টায় বর্তমানে এই রোগ প্রায় নির্মূল হয়ে গেছে।
• ভাইরাসজনিত রোগ:
- এইডস,
- পোলিও,
- ডেঙ্গু,
- ইনফ্লুয়েঞ্জা,
- পীতজ্বর,
- হাম,
- রুবেলা,
- মাম্পস,
- হার্পিস ইত্যাদি।
• ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ:
-আমাশয়,
-কলেরা,
-কুষ্ঠ,
-যক্ষ্মা,
-ধনুষ্টংকার
- ডিপথেরিয়া,
- হুপিং কাশি ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
রাতের বেলা উদ্ভিদে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয় না?
Created: 1 month ago
A
H2
B
O2
C
N2
D
CO2
উদ্ভিদে গ্যাসীয় বিনিময়:
- উদ্ভিদের জীবনে সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis) এবং শ্বসন (Respiration) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রক্রিয়া।
- মূলত এই দুটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদের গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে থাকে, এই প্রক্রিয়া দুটি ঘটে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে।
- উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার জন্য বায়ু থেকে CO2 গ্রহণ করে এবং O2 ত্যাগ করে, অন্যদিকে শ্বসন প্রক্রিয়ায় জন্য O2 গ্রহণ করে এবং CO2 ত্যাগ করে।
- উদ্ভিদে প্রাণীর মতো শ্বাস নেওয়ার জন্য কোনো বিশেষ অঙ্গ নেই, তবে পাতার স্টোমাটা ও পরিণত কাণ্ডের বাকলে অবস্থিত লেন্টিসেলের (Lenticel) মাধ্যমে অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্যাসের বিনিময় ঘটে।
- দিনের বেলা বা পর্যাপ্ত আলোর উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণের হার অধিক হয়।
- সালোকসংশ্লেষণে উৎপাদিত অক্সিজেন গ্যাসের কিছু অংশ শ্বসন প্রক্রিয়ায় ব্যয় হয়।
- আবার শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের কিছু অংশ সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহার হয়, তাই আদান-প্রদানকৃত অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ প্রায় সমান।
- রাতের বেলা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার আলোক পর্যায় বন্ধ থাকে, তাই অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয় না।
- অন্যদিকে দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা শ্বসন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়, ফলে শ্বসন প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের উৎপাদন চলতে থাকে। এ জন্য বড় গাছের নিচে রাত্রিবেলা ঘুমালে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
- উদ্ভিদ তার পরিবেশ থেকে প্রয়োজনীয় গ্যাস সংগ্রহ করে।
- উদ্ভিদের পাতা যেরকম বাতাস থেকে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস সংগ্রহ করে, তেমনি মূল মাটি থেকে পানি শোষণ করে।
- শোষিত সেই পানির সাথে CO2 এর বিক্রিয়ার ফলে O2 গ্যাস উৎপাদন হয়, যা বায়ুমণ্ডলে চলে যায়। এভাবে উদ্ভিদদেহে গ্যাস বিনিময় চলতে থাকে।
0
Updated: 1 month ago
হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ কী?
Created: 1 month ago
A
হরমোন উৎপাদন
B
বর্জ্য পদার্থ অপসারণ
C
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
D
শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করা
• হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হলো ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে তা শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেওয়া।
• হিমোগ্লোবিন:
- হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকার একটি জটিল প্রোটিন, যার মধ্যে লৌহ বা আয়রন থাকে।
- এই আয়রনের কারণেই হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন অণুগুলোকে সহজে ধারণ করতে পারে।
- এটি ফুসফুসে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শরীরের টিস্যু ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে তা সরবরাহ করে।
- এই প্রক্রিয়ায়, হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনকে কোষে পৌঁছে দিয়ে কোষের বিপাকক্রিয়া ও শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
- এর ফলে জীবিত কোষগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
- এছাড়া হিমোগ্লোবিন কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়।
- হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির কারণেই রক্ত লাল দেখায়।
- এছাড়াও, রোগ প্রতিরোধে শ্বেত রক্তকণিকা (WBC) কাজ করে।
- খাদ্য হজমে এনজাইম ও পাচকরস ভূমিকা রাখে।
- রক্ত জমাট বাঁধায় প্লেটলেট ও ফাইব্রিনোজেন কাজ করে।
0
Updated: 1 month ago