নিচের কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি হিসেবে গণ্য নয়?
A
বিটুমিনাস কয়লা
B
শেল গ্যাস
C
এনথ্রাসাইট
D
বায়োগ্যাস
উত্তরের বিবরণ
বায়োগ্যাস ও জীবাশ্ম জ্বালানি
-
বায়োগ্যাস
-
এটি জৈব পদার্থের পচনের মাধ্যমে উৎপন্ন একটি নবায়নযোগ্য শক্তি, যা জীবাশ্ম থেকে আসে না।
-
বায়োগ্যাস জৈব বর্জ্য (গোবর, উদ্ভিজ্জ বর্জ্য ইত্যাদি) থেকে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়।
-
এতে প্রধানত মিথেন গ্যাস (CH4) থাকে।
-
এটি নবায়নযোগ্য এবং দীর্ঘ সময় ধরে গঠিত হয়নি, তাই জীবাশ্ম জ্বালানি নয়।
-
-
জীবাশ্ম জ্বালানি
-
মৃত গাছপালা, মৃত প্রাণীদেহ ইত্যাদি হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে যে জ্বালানি তৈরি হয়, তাকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলা হয়।
-
এগুলো অ-নবায়নযোগ্য এবং দাহের সময় কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে পরিবেশ দূষণ করে।
-
উদাহরণ:
-
কয়লা
-
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
পেট্রোলিয়াম
-
-
-
পার্থক্য
-
বায়োগ্যাস নবায়নযোগ্য, জীবাশ্ম জ্বালানি নয়।
-
জীবাশ্ম জ্বালানি দীর্ঘ সময় ধরে গঠিত হয়, বায়োগ্যাস পুনরায় উৎপাদনযোগ্য।
-
0
Updated: 1 month ago
পিটুইটারি গ্রন্থির কোন হরমোনটি মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে?
Created: 1 month ago
A
অক্সিটোসিন
B
ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন
C
প্রোল্যাকটিন
D
ভ্যাসোপ্রেসিন
ভ্যাসোপ্রেসিন বা অ্যান্টি-ডাইইউরেটিক হরমোন (ADH) শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা এবং মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
পিটুইটারি গ্রন্থি
-
মানব মস্তিষ্কের নিচে অবস্থিত ক্ষুদ্র, লালচে-ধূসর রঙের মটর-সদৃশ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি।
-
ওজন মাত্র ০.৫ গ্রাম।
-
অন্তঃক্ষরাতন্ত্রের প্রধান হরমোন সৃষ্টিকারী গ্রন্থি (Principal/Master gland) হিসেবে পরিচিত।
-
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসরণ করে এবং থাইরয়েড, অ্যাড্রেনাল ও প্রজনন গ্রন্থি সহ অন্যান্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
-
হাইপোথ্যালামাসের সাথে সংযুক্ত থাকে।
-
-
প্রধান অংশ ও হরমোনসমূহ
১. অগ্র পিটুইটারি (Anterior Pituitary/Adenohypophysis)-
দেহের বৃদ্ধি, বিপাক এবং অন্যান্য গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
-
গুরুত্বপূর্ণ হরমোন:
-
গ্রোথ হরমোন (GH): দেহের সামগ্রিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
-
থাইরয়েড-স্টিমুলেটিং হরমোন (TSH): থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে।
-
অ্যাড্রেনোকর্টিকোট্রপিক হরমোন (ACTH): অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে।
-
ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH) ও লিউটিনাইজিং হরমোন (LH): একত্রে গোনাডোট্রপিক হরমোন (GTH) নামে পরিচিত, প্রজনন অঙ্গের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
-
প্রোল্যাকটিন (Prolactin): দুগ্ধ উৎপাদনে সহায়তা করে।
-
মেলানোসাইট স্টিমুলেটিং হরমোন (MSH): ত্বক ও চুলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
-
২. পশ্চাৎ পিটুইটারি (Posterior Pituitary/Neurohypophysis)
-
নিজে কোনো হরমোন তৈরি করে না, বরং হাইপোথ্যালামাস থেকে আসা হরমোন সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে নিঃসরণ করে।
-
সংরক্ষিত হরমোন:
-
ভ্যাসোপ্রেসিন (Vasopressin/ADH): কিডনির মাধ্যমে মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
অক্সিটোসিন (Oxytocin): সন্তান প্রসবকালে জরায়ুর সংকোচন ঘটায় এবং দুগ্ধ নিঃসরণে সাহায্য করে।
-
-
0
Updated: 1 month ago
জাইগোট কী?
Created: 1 month ago
A
দেহকোষ
B
ব্যাকটেরিয়ার কোষ
C
একটি কোষের বিভাজন
D
নতুন জীবের প্রথম কোষ
কোষ (Cell):
-
সংজ্ঞা:
জীবকোষ হচ্ছে জীবদেহের মৌলিক একক।-
Loewy ও Siekevitz (1969) অনুযায়ী, কোষ হলো বৈষম্য ভেদ্য (selectively permeable) ঝিল্লি দ্বারা আবৃত একক, যা জীবজ ক্রিয়াকলাপ সম্পন্ন করতে পারে এবং নিজেই নিজেকে প্রতিরূপ করতে সক্ষম।
-
কোষের প্রকারভেদ:
কোষের গঠন, আকৃতি ও কাজ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
১. আদিকোষ (Prokaryotic cell):
-
নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়।
২. প্রকৃত কোষ বা সুকেন্দ্রিক কোষ (Eukaryotic cell):
-
সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে, যা নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দিয়ে পরিবেষ্টিত।
-
রাইবোজোমসহ সকল অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে।
-
ক্রোমোজোমে DNA, প্রোটিন, হিস্টোন এবং অন্যান্য উপাদান থাকে।
-
অধিকাংশ জীবকোষ এ ধরনের।
প্রকৃত কোষের কাজ অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ:
ক) দেহকোষ (Somatic cell):
-
বহুকোষী জীবের দেহ গঠনে অংশ নেয়।
-
মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে দেহের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
-
বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও তন্ত্র গঠনে সহায়ক।
খ) জননকোষ (Reproductive cell / Gamete):
-
যৌন প্রজননে অংশ নেয়।
-
মাইওসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেক থাকে।
-
পুং ও স্ত্রী জননকোষ মিলিত হয়ে নতুন জীব গঠনের সূচনা করে।
-
প্রথম কোষটি—জাইগোট (Zygote) নামে পরিচিত।
-
জাইগোট বারবার বিভাজনের মাধ্যমে জীবদেহ গঠন করে।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ভাইরাস ঘটিত রোগ ?
Created: 1 month ago
A
পোলিও
B
আমাশয়
C
কলেরা
D
ডিপথেরিয়া
• পোলিও (Poliomyelitis) একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা Poliovirus দ্বারা সংক্রমিত হয়।
- এই ভাইরাসটি মেরুদণ্ড এবং মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে, যার ফলে পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস হতে পারে।
- এটি সাধারণত মুখ দিয়ে দূষিত পানি বা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর নিরলস প্রচেষ্টায় বর্তমানে এই রোগ প্রায় নির্মূল হয়ে গেছে।
• ভাইরাসজনিত রোগ:
- এইডস,
- পোলিও,
- ডেঙ্গু,
- ইনফ্লুয়েঞ্জা,
- পীতজ্বর,
- হাম,
- রুবেলা,
- মাম্পস,
- হার্পিস ইত্যাদি।
• ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ:
-আমাশয়,
-কলেরা,
-কুষ্ঠ,
-যক্ষ্মা,
-ধনুষ্টংকার
- ডিপথেরিয়া,
- হুপিং কাশি ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago