রেশম উৎপাদনের জন্য রেশম পোকা প্রতিপালনের পদ্ধতিকে কী বলা হয়?
A
এপিকালচার
B
পিসিকালচার
C
সেরিকালচার
D
হর্টিকালচার
উত্তরের বিবরণ
• রেশম পোকার চাষ পদ্ধতিকে সেরিকালচার (Sericulture) বলা হয়।
• সেরিকালচার:
- বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রেশম পোকার চাষ পদ্ধতিকে বলে সেরিকালচার।
- রেশম পোকার ইংরেজি নাম Silk Worm.
- বৈজ্ঞানিক নাম: Bombyx Mori.
- তুঁতজাত রেশম মথের প্রতিপালন এবং এর গুটি থেকে অপরিশোধিত রেশম নিষ্কাশন ও পরিশোধন করে ব্যবহারোপযোগী পণ্যে পরিণত করার সার্বিক পদ্ধতিই সেরিকালচার নামে পরিচিত।
অন্যদিকে,
মৌমাছি পালন পদ্ধতি - এপিকালচার।
মৎস্য চাষ বিদ্যা - পিসিকালচার।
উদ্যান বিষয়ক বিদ্যা - হর্টিকালচার,
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
শ্বেত রক্তকণিকা (লিউকোসাইট) সম্পর্কিত কোন বিবৃতিটি সঠিক নয়?
Created: 1 month ago
A
শ্বেত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে
B
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে
C
মানবদেহে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে ৪ - ১১ হাজার
D
রক্তপ্রবাহে শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়
শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত অস্থিমজ্জা (bone marrow) এবং লিম্ফয়েড অঙ্গাণু যেমন লিম্ফ নোড (lymph nodes) ও প্লীহা (spleen)-এ উৎপন্ন হয় এবং রক্তপ্রবাহের মধ্যে সরাসরি উৎপাদিত হয় না।
- 
শ্বেত রক্তকণিকা (White Blood Cell/WBC) - 
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাণু ধ্বংস করে। 
- 
হিমোগ্লোবিন না থাকার কারণে শ্বেত রক্তকণিকা নামে পরিচিত। 
- 
রক্তে সংখ্যার পরিমাণ RBC-এর তুলনায় অনেক কম। 
- 
অ্যামিবার মতো দেহের আকার পরিবর্তন করে এবং রক্ত জালিকার প্রাচীর ভেদ করে টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করতে সক্ষম। 
- 
শ্বেত কণিকাগুলো রক্তরসের মাধ্যমে নিজেই চলাচল করতে পারে। 
- 
দেহ বাইরের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে দ্রুত শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। 
- 
মানবদেহে প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে প্রায় ৪–১১ হাজার (গড়ে ৭৫০০) শ্বেত রক্তকণিকা থাকে। 
 
- 
- 
শ্বেত রক্তকণিকার বৈশিষ্ট্য 
 ১. নিউক্লিয়াস থাকে।
 ২. আকার অনিয়মিত এবং বড়।
 ৩. হিমোগ্লোবিন নেই।
 ৪. সংখ্যার তুলনা লোহিত রক্তকণিকার সঙ্গে কম।
 ৫. গড় আয়ু ১–১৫ দিন।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ভাইরাস ঘটিত রোগ ?
Created: 1 month ago
A
পোলিও
B
আমাশয়
C
কলেরা
D
ডিপথেরিয়া
• পোলিও (Poliomyelitis) একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা Poliovirus দ্বারা সংক্রমিত হয়।
- এই ভাইরাসটি মেরুদণ্ড এবং মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে, যার ফলে পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস হতে পারে।
- এটি সাধারণত মুখ দিয়ে দূষিত পানি বা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর নিরলস প্রচেষ্টায় বর্তমানে এই রোগ প্রায় নির্মূল হয়ে গেছে।
• ভাইরাসজনিত রোগ:
- এইডস,
- পোলিও,
- ডেঙ্গু,
- ইনফ্লুয়েঞ্জা,
- পীতজ্বর,
- হাম,
- রুবেলা,
- মাম্পস,
- হার্পিস ইত্যাদি।
• ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ:
-আমাশয়,
-কলেরা,
-কুষ্ঠ,
-যক্ষ্মা,
-ধনুষ্টংকার
- ডিপথেরিয়া,
- হুপিং কাশি ইত্যাদি।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
পিটুইটারি গ্রন্থির কোন হরমোনটি মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে?
Created: 1 month ago
A
অক্সিটোসিন
B
ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন
C
প্রোল্যাকটিন
D
ভ্যাসোপ্রেসিন
ভ্যাসোপ্রেসিন বা অ্যান্টি-ডাইইউরেটিক হরমোন (ADH) শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা এবং মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- 
পিটুইটারি গ্রন্থি - 
মানব মস্তিষ্কের নিচে অবস্থিত ক্ষুদ্র, লালচে-ধূসর রঙের মটর-সদৃশ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। 
- 
ওজন মাত্র ০.৫ গ্রাম। 
- 
অন্তঃক্ষরাতন্ত্রের প্রধান হরমোন সৃষ্টিকারী গ্রন্থি (Principal/Master gland) হিসেবে পরিচিত। 
- 
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসরণ করে এবং থাইরয়েড, অ্যাড্রেনাল ও প্রজনন গ্রন্থি সহ অন্যান্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। 
- 
হাইপোথ্যালামাসের সাথে সংযুক্ত থাকে। 
 
- 
- 
প্রধান অংশ ও হরমোনসমূহ 
 ১. অগ্র পিটুইটারি (Anterior Pituitary/Adenohypophysis)- 
দেহের বৃদ্ধি, বিপাক এবং অন্যান্য গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। 
- 
গুরুত্বপূর্ণ হরমোন: - 
গ্রোথ হরমোন (GH): দেহের সামগ্রিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। 
- 
থাইরয়েড-স্টিমুলেটিং হরমোন (TSH): থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে। 
- 
অ্যাড্রেনোকর্টিকোট্রপিক হরমোন (ACTH): অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে। 
- 
ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH) ও লিউটিনাইজিং হরমোন (LH): একত্রে গোনাডোট্রপিক হরমোন (GTH) নামে পরিচিত, প্রজনন অঙ্গের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। 
- 
প্রোল্যাকটিন (Prolactin): দুগ্ধ উৎপাদনে সহায়তা করে। 
- 
মেলানোসাইট স্টিমুলেটিং হরমোন (MSH): ত্বক ও চুলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। 
 
- 
 ২. পশ্চাৎ পিটুইটারি (Posterior Pituitary/Neurohypophysis) - 
নিজে কোনো হরমোন তৈরি করে না, বরং হাইপোথ্যালামাস থেকে আসা হরমোন সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে নিঃসরণ করে। 
- 
সংরক্ষিত হরমোন: - 
ভ্যাসোপ্রেসিন (Vasopressin/ADH): কিডনির মাধ্যমে মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। 
- 
অক্সিটোসিন (Oxytocin): সন্তান প্রসবকালে জরায়ুর সংকোচন ঘটায় এবং দুগ্ধ নিঃসরণে সাহায্য করে। 
 
- 
 
- 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago