ক্যান্সার শনাক্তকরণে ব্যবহৃত গামা রশ্মি কোন উৎস থেকে নির্গত হয়?
A
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ
B
স্ট্যাবল নিউক্লিয়াস
C
আলট্রাভায়োলেট রশ্মি
D
এক্স-রে
উত্তরের বিবরণ
ক্যান্সার শনাক্তকরণে ব্যবহৃত গামা রশ্মি প্রধানত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ থেকে নির্গত হয়।
-
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ
-
এটি এমন পরমাণু যার নিউক্লিয়াস অস্থিতিশীল এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
-
ক্ষয়প্রক্রিয়ার সময় নিউক্লিয়াস অতিরিক্ত শক্তি নির্গত করে, যা গামা রশ্মি হিসেবে বিকিরিত হয়।
-
ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য এই আইসোটোপগুলো রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়।
-
গামা ক্যামেরা বা PET স্ক্যানার এর সাহায্যে বিকিরণ সনাক্ত করে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও টিস্যুর ছবি তৈরি করা হয়, যা ক্যান্সার কোষ বা টিউমারের অবস্থান নির্ণয়ে সাহায্য করে।
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
-
-
খাদ্য দ্রব্য সংরক্ষণে ব্যবহার
-
পচনশীল খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের জন্য তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করা হয়।
-
খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘ সময় ধরে রাখলে পোকামাকড় বা জীবাণুর আক্রমণে নষ্ট হতে পারে।
-
তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রয়োগ করলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস হয়।
-
উদাহরণ: 60Co থেকে নির্গত গামা রশ্মি ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্যকে সংরক্ষণ করা হয়।
-
-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার
-
রোগ নির্ণয়: অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করতে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার হয়। যেমন, থাইরয়েড পরীক্ষা জন্য আয়োডিন-131।
-
ক্যান্সার চিকিৎসা: তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা হয় (রেডিওথেরাপি)।
-
চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্তকরণ: সিরিঞ্জ, ব্যান্ডেজ ইত্যাদির জীবাণুমুক্তকরণের জন্য কোবাল্ট-60 বা সিজিয়াম-137 থেকে গামা রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
-
-
গবেষণা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে
-
ফসিল ডেটিং: কার্বন-14 ব্যবহার করে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও জীবাশ্মের বয়স নির্ধারণ করা হয়।
-
বৈজ্ঞানিক গবেষণা: রাসায়নিক বিক্রিয়া, অণুর গঠন ও বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় তেজস্ক্রিয় ট্রেসার ব্যবহার করা হয়।
-
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
স্ট্যাবল নিউক্লিয়াস: স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত নয় এবং বিকিরণ নির্গত করে না।
-
আলট্রাভায়োলেট রশ্মি: এটি সূর্য থেকে আসে, গামা রশ্মি নয় এবং ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় না।
-
এক্স-রে: শক্তিশালী রশ্মি হলেও গামা রশ্মির উৎস নয়।
-
0
Updated: 1 month ago
রেশম উৎপাদনের জন্য রেশম পোকা প্রতিপালনের পদ্ধতিকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
এপিকালচার
B
পিসিকালচার
C
সেরিকালচার
D
হর্টিকালচার
• রেশম পোকার চাষ পদ্ধতিকে সেরিকালচার (Sericulture) বলা হয়।
• সেরিকালচার:
- বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রেশম পোকার চাষ পদ্ধতিকে বলে সেরিকালচার।
- রেশম পোকার ইংরেজি নাম Silk Worm.
- বৈজ্ঞানিক নাম: Bombyx Mori.
- তুঁতজাত রেশম মথের প্রতিপালন এবং এর গুটি থেকে অপরিশোধিত রেশম নিষ্কাশন ও পরিশোধন করে ব্যবহারোপযোগী পণ্যে পরিণত করার সার্বিক পদ্ধতিই সেরিকালচার নামে পরিচিত।
অন্যদিকে,
মৌমাছি পালন পদ্ধতি - এপিকালচার।
মৎস্য চাষ বিদ্যা - পিসিকালচার।
উদ্যান বিষয়ক বিদ্যা - হর্টিকালচার,
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ভাইরাস ঘটিত রোগ ?
Created: 1 month ago
A
পোলিও
B
আমাশয়
C
কলেরা
D
ডিপথেরিয়া
• পোলিও (Poliomyelitis) একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা Poliovirus দ্বারা সংক্রমিত হয়।
- এই ভাইরাসটি মেরুদণ্ড এবং মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে, যার ফলে পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস হতে পারে।
- এটি সাধারণত মুখ দিয়ে দূষিত পানি বা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর নিরলস প্রচেষ্টায় বর্তমানে এই রোগ প্রায় নির্মূল হয়ে গেছে।
• ভাইরাসজনিত রোগ:
- এইডস,
- পোলিও,
- ডেঙ্গু,
- ইনফ্লুয়েঞ্জা,
- পীতজ্বর,
- হাম,
- রুবেলা,
- মাম্পস,
- হার্পিস ইত্যাদি।
• ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ:
-আমাশয়,
-কলেরা,
-কুষ্ঠ,
-যক্ষ্মা,
-ধনুষ্টংকার
- ডিপথেরিয়া,
- হুপিং কাশি ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
শ্বেত রক্তকণিকা (লিউকোসাইট) সম্পর্কিত কোন বিবৃতিটি সঠিক নয়?
Created: 1 month ago
A
শ্বেত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে
B
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে
C
মানবদেহে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে ৪ - ১১ হাজার
D
রক্তপ্রবাহে শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়
শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত অস্থিমজ্জা (bone marrow) এবং লিম্ফয়েড অঙ্গাণু যেমন লিম্ফ নোড (lymph nodes) ও প্লীহা (spleen)-এ উৎপন্ন হয় এবং রক্তপ্রবাহের মধ্যে সরাসরি উৎপাদিত হয় না।
-
শ্বেত রক্তকণিকা (White Blood Cell/WBC)
-
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাণু ধ্বংস করে।
-
হিমোগ্লোবিন না থাকার কারণে শ্বেত রক্তকণিকা নামে পরিচিত।
-
রক্তে সংখ্যার পরিমাণ RBC-এর তুলনায় অনেক কম।
-
অ্যামিবার মতো দেহের আকার পরিবর্তন করে এবং রক্ত জালিকার প্রাচীর ভেদ করে টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করতে সক্ষম।
-
শ্বেত কণিকাগুলো রক্তরসের মাধ্যমে নিজেই চলাচল করতে পারে।
-
দেহ বাইরের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে দ্রুত শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
-
মানবদেহে প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে প্রায় ৪–১১ হাজার (গড়ে ৭৫০০) শ্বেত রক্তকণিকা থাকে।
-
-
শ্বেত রক্তকণিকার বৈশিষ্ট্য
১. নিউক্লিয়াস থাকে।
২. আকার অনিয়মিত এবং বড়।
৩. হিমোগ্লোবিন নেই।
৪. সংখ্যার তুলনা লোহিত রক্তকণিকার সঙ্গে কম।
৫. গড় আয়ু ১–১৫ দিন।
0
Updated: 1 month ago