নিচের কোনটি ভাইরাস ঘটিত রোগ ?
A
পোলিও
B
আমাশয়
C
কলেরা
D
ডিপথেরিয়া
উত্তরের বিবরণ
• পোলিও (Poliomyelitis) একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা Poliovirus দ্বারা সংক্রমিত হয়।
- এই ভাইরাসটি মেরুদণ্ড এবং মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে, যার ফলে পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস হতে পারে।
- এটি সাধারণত মুখ দিয়ে দূষিত পানি বা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর নিরলস প্রচেষ্টায় বর্তমানে এই রোগ প্রায় নির্মূল হয়ে গেছে।
• ভাইরাসজনিত রোগ:
- এইডস,
- পোলিও,
- ডেঙ্গু,
- ইনফ্লুয়েঞ্জা,
- পীতজ্বর,
- হাম,
- রুবেলা,
- মাম্পস,
- হার্পিস ইত্যাদি।
• ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ:
-আমাশয়,
-কলেরা,
-কুষ্ঠ,
-যক্ষ্মা,
-ধনুষ্টংকার
- ডিপথেরিয়া,
- হুপিং কাশি ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
শ্বেত রক্তকণিকা (লিউকোসাইট) সম্পর্কিত কোন বিবৃতিটি সঠিক নয়?
Created: 1 month ago
A
শ্বেত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে
B
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে
C
মানবদেহে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে ৪ - ১১ হাজার
D
রক্তপ্রবাহে শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়
শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত অস্থিমজ্জা (bone marrow) এবং লিম্ফয়েড অঙ্গাণু যেমন লিম্ফ নোড (lymph nodes) ও প্লীহা (spleen)-এ উৎপন্ন হয় এবং রক্তপ্রবাহের মধ্যে সরাসরি উৎপাদিত হয় না।
-
শ্বেত রক্তকণিকা (White Blood Cell/WBC)
-
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাণু ধ্বংস করে।
-
হিমোগ্লোবিন না থাকার কারণে শ্বেত রক্তকণিকা নামে পরিচিত।
-
রক্তে সংখ্যার পরিমাণ RBC-এর তুলনায় অনেক কম।
-
অ্যামিবার মতো দেহের আকার পরিবর্তন করে এবং রক্ত জালিকার প্রাচীর ভেদ করে টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করতে সক্ষম।
-
শ্বেত কণিকাগুলো রক্তরসের মাধ্যমে নিজেই চলাচল করতে পারে।
-
দেহ বাইরের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে দ্রুত শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
-
মানবদেহে প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে প্রায় ৪–১১ হাজার (গড়ে ৭৫০০) শ্বেত রক্তকণিকা থাকে।
-
-
শ্বেত রক্তকণিকার বৈশিষ্ট্য
১. নিউক্লিয়াস থাকে।
২. আকার অনিয়মিত এবং বড়।
৩. হিমোগ্লোবিন নেই।
৪. সংখ্যার তুলনা লোহিত রক্তকণিকার সঙ্গে কম।
৫. গড় আয়ু ১–১৫ দিন।
0
Updated: 1 month ago
হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ কী?
Created: 1 month ago
A
হরমোন উৎপাদন
B
বর্জ্য পদার্থ অপসারণ
C
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
D
শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করা
• হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হলো ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে তা শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেওয়া।
• হিমোগ্লোবিন:
- হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকার একটি জটিল প্রোটিন, যার মধ্যে লৌহ বা আয়রন থাকে।
- এই আয়রনের কারণেই হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন অণুগুলোকে সহজে ধারণ করতে পারে।
- এটি ফুসফুসে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শরীরের টিস্যু ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে তা সরবরাহ করে।
- এই প্রক্রিয়ায়, হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনকে কোষে পৌঁছে দিয়ে কোষের বিপাকক্রিয়া ও শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
- এর ফলে জীবিত কোষগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
- এছাড়া হিমোগ্লোবিন কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়।
- হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির কারণেই রক্ত লাল দেখায়।
- এছাড়াও, রোগ প্রতিরোধে শ্বেত রক্তকণিকা (WBC) কাজ করে।
- খাদ্য হজমে এনজাইম ও পাচকরস ভূমিকা রাখে।
- রক্ত জমাট বাঁধায় প্লেটলেট ও ফাইব্রিনোজেন কাজ করে।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 1 month ago
A
প্রধানত দ্বি-ভাজন (Binary fission) পদ্ধতিতে সংখ্যাবৃদ্ধি করে
B
এককোষী প্রোক্যারিওটিক জীব
C
কোষীয় অঙ্গাণু যেমন রাইবোসোম, সাইটোপ্লাজম, কোষপ্রাচীর থাকে
D
এরা বাধ্যতামূলক পরজীবী
ভাইরাস হলো বাধ্যতামূলক পরজীবী, কারণ তারা পোষক কোষ ছাড়া সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে না।
-
ব্যাকটেরিয়া
-
ব্যাকটেরিয়া হলো আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত, অসবুজ, এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব।
-
প্রথম ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক।
-
প্রধানত দ্বি-ভাজন (Binary fission) পদ্ধতিতে সংখ্যাবৃদ্ধি করে, যা একটি অযৌন প্রজনন পদ্ধতি।
-
এটি এককোষী প্রোক্যারিওটিক জীব, অর্থাৎ সুগঠিত নিউক্লিয়াস নেই।
-
কোষে রাইবোসোম, সাইটোপ্লাজম, কোষপ্রাচীর ইত্যাদি থাকে।
-
কোষের আকার হতে পারে গোলাকার, দণ্ডাকার, কমা আকার, প্যাঁচানো ইত্যাদি।
-
-
কোষের আকৃতি অনুসারে ভাগ
১. কক্কাস (Coccus)
২. ব্যাসিলাস (Bacillus)
৩. স্পাইরিলাম (Spirillum)
৪. কমা আকৃতি (Vibrio) -
ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা
-
মৃত জীবদেহ ও আবর্জনা পঁচাতে সাহায্য করে।
-
প্রকৃতি থেকে মাটিতে নাইট্রোজেন সংবন্ধন একমাত্র ব্যাকটেরিয়া করতে পারে।
-
পাট থেকে আঁশ ছাড়াতে ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে।
-
দই তৈরি করতেও ব্যাকটেরিয়ার সাহায্য প্রয়োজন।
-
বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হয়।
-
জীন প্রকৌশলে ব্যাকটেরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
0
Updated: 1 month ago