নিচের কোনটি ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্য নয়?
A
প্রধানত দ্বি-ভাজন (Binary fission) পদ্ধতিতে সংখ্যাবৃদ্ধি করে
B
এককোষী প্রোক্যারিওটিক জীব
C
কোষীয় অঙ্গাণু যেমন রাইবোসোম, সাইটোপ্লাজম, কোষপ্রাচীর থাকে
D
এরা বাধ্যতামূলক পরজীবী
উত্তরের বিবরণ
ভাইরাস হলো বাধ্যতামূলক পরজীবী, কারণ তারা পোষক কোষ ছাড়া সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে না।
-
ব্যাকটেরিয়া
-
ব্যাকটেরিয়া হলো আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত, অসবুজ, এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব।
-
প্রথম ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক।
-
প্রধানত দ্বি-ভাজন (Binary fission) পদ্ধতিতে সংখ্যাবৃদ্ধি করে, যা একটি অযৌন প্রজনন পদ্ধতি।
-
এটি এককোষী প্রোক্যারিওটিক জীব, অর্থাৎ সুগঠিত নিউক্লিয়াস নেই।
-
কোষে রাইবোসোম, সাইটোপ্লাজম, কোষপ্রাচীর ইত্যাদি থাকে।
-
কোষের আকার হতে পারে গোলাকার, দণ্ডাকার, কমা আকার, প্যাঁচানো ইত্যাদি।
-
-
কোষের আকৃতি অনুসারে ভাগ
১. কক্কাস (Coccus)
২. ব্যাসিলাস (Bacillus)
৩. স্পাইরিলাম (Spirillum)
৪. কমা আকৃতি (Vibrio) -
ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা
-
মৃত জীবদেহ ও আবর্জনা পঁচাতে সাহায্য করে।
-
প্রকৃতি থেকে মাটিতে নাইট্রোজেন সংবন্ধন একমাত্র ব্যাকটেরিয়া করতে পারে।
-
পাট থেকে আঁশ ছাড়াতে ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে।
-
দই তৈরি করতেও ব্যাকটেরিয়ার সাহায্য প্রয়োজন।
-
বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হয়।
-
জীন প্রকৌশলে ব্যাকটেরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
0
Updated: 1 month ago
কৃষিজমিতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে বহুল ব্যবহৃত লবণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কপার সালফেট
B
সিলভার সালফেট
C
পটাশিয়াম নাইট্রেটv
D
মারকিউরিক সালফেট
লবণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্য, কৃষি ও শিল্পকারখানায় এর ব্যবহার রয়েছে।
খাদ্যে লবণের ব্যবহার:
-
সাধারণ লবণ বা টেবিল লবণ (Sodium Chloride, NaCl) খাদ্যের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়।
-
তরকারি, পাউরুটি, আচার, চানাচুর ইত্যাদিতে এই লবণ ব্যবহার করা হয়।
-
খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য সোডিয়াম গ্লুটামেট ব্যবহার করা হয়, যা ‘টেস্টিং সল্ট’ নামে পরিচিত।
কৃষিতে লবণের ব্যবহার:
-
মাটির এসিডিটি কমাতে চুনাপাথর ব্যবহার করা হয়।
-
মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য সার হিসেবে লবণজাতীয় যৌগ ব্যবহার করা হয়, যেমন: অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH4NO3), অ্যামোনিয়াম ফসফেট ((NH4)3PO4), পটাশিয়াম নাইট্রেট (KNO3)।
-
তুঁতে বা কপার সালফেট (CuSO4) ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধে এবং শৈবালের বৃদ্ধি বন্ধে কার্যকর।
শিল্পকারখানায় লবণের ব্যবহার:
-
চামড়াশিল্পে চামড়া ট্যানিংয়ে, মাখন ও পনির প্রস্তুতিতে, কাপড় কাচার সোডা ও খাবার সোডা উৎপাদনে এবং সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের বিশ্লেষণে লবণ ব্যবহৃত হয়।
-
তুঁতে (CuSO4), মারকিউরিক সালফেট (HgSO4), সিলভার সালফেট (Ag2SO4) প্রভাবক হিসেবে শিল্পপ্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ কী?
Created: 1 month ago
A
হরমোন উৎপাদন
B
বর্জ্য পদার্থ অপসারণ
C
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
D
শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করা
• হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হলো ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে তা শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেওয়া।
• হিমোগ্লোবিন:
- হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকার একটি জটিল প্রোটিন, যার মধ্যে লৌহ বা আয়রন থাকে।
- এই আয়রনের কারণেই হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন অণুগুলোকে সহজে ধারণ করতে পারে।
- এটি ফুসফুসে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শরীরের টিস্যু ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে তা সরবরাহ করে।
- এই প্রক্রিয়ায়, হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনকে কোষে পৌঁছে দিয়ে কোষের বিপাকক্রিয়া ও শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
- এর ফলে জীবিত কোষগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
- এছাড়া হিমোগ্লোবিন কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়।
- হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির কারণেই রক্ত লাল দেখায়।
- এছাড়াও, রোগ প্রতিরোধে শ্বেত রক্তকণিকা (WBC) কাজ করে।
- খাদ্য হজমে এনজাইম ও পাচকরস ভূমিকা রাখে।
- রক্ত জমাট বাঁধায় প্লেটলেট ও ফাইব্রিনোজেন কাজ করে।
0
Updated: 1 month ago
ক্যান্সার শনাক্তকরণে ব্যবহৃত গামা রশ্মি কোন উৎস থেকে নির্গত হয়?
Created: 1 month ago
A
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ
B
স্ট্যাবল নিউক্লিয়াস
C
আলট্রাভায়োলেট রশ্মি
D
এক্স-রে
ক্যান্সার শনাক্তকরণে ব্যবহৃত গামা রশ্মি প্রধানত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ থেকে নির্গত হয়।
-
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ
-
এটি এমন পরমাণু যার নিউক্লিয়াস অস্থিতিশীল এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
-
ক্ষয়প্রক্রিয়ার সময় নিউক্লিয়াস অতিরিক্ত শক্তি নির্গত করে, যা গামা রশ্মি হিসেবে বিকিরিত হয়।
-
ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য এই আইসোটোপগুলো রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়।
-
গামা ক্যামেরা বা PET স্ক্যানার এর সাহায্যে বিকিরণ সনাক্ত করে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও টিস্যুর ছবি তৈরি করা হয়, যা ক্যান্সার কোষ বা টিউমারের অবস্থান নির্ণয়ে সাহায্য করে।
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
-
-
খাদ্য দ্রব্য সংরক্ষণে ব্যবহার
-
পচনশীল খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের জন্য তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করা হয়।
-
খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘ সময় ধরে রাখলে পোকামাকড় বা জীবাণুর আক্রমণে নষ্ট হতে পারে।
-
তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রয়োগ করলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস হয়।
-
উদাহরণ: 60Co থেকে নির্গত গামা রশ্মি ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্যকে সংরক্ষণ করা হয়।
-
-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার
-
রোগ নির্ণয়: অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করতে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার হয়। যেমন, থাইরয়েড পরীক্ষা জন্য আয়োডিন-131।
-
ক্যান্সার চিকিৎসা: তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা হয় (রেডিওথেরাপি)।
-
চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্তকরণ: সিরিঞ্জ, ব্যান্ডেজ ইত্যাদির জীবাণুমুক্তকরণের জন্য কোবাল্ট-60 বা সিজিয়াম-137 থেকে গামা রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
-
-
গবেষণা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে
-
ফসিল ডেটিং: কার্বন-14 ব্যবহার করে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও জীবাশ্মের বয়স নির্ধারণ করা হয়।
-
বৈজ্ঞানিক গবেষণা: রাসায়নিক বিক্রিয়া, অণুর গঠন ও বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় তেজস্ক্রিয় ট্রেসার ব্যবহার করা হয়।
-
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
স্ট্যাবল নিউক্লিয়াস: স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত নয় এবং বিকিরণ নির্গত করে না।
-
আলট্রাভায়োলেট রশ্মি: এটি সূর্য থেকে আসে, গামা রশ্মি নয় এবং ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় না।
-
এক্স-রে: শক্তিশালী রশ্মি হলেও গামা রশ্মির উৎস নয়।
-
0
Updated: 1 month ago