শ্বেত রক্তকণিকা (লিউকোসাইট) সম্পর্কিত কোন বিবৃতিটি সঠিক নয়?
A
শ্বেত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে
B
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে
C
মানবদেহে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে ৪ - ১১ হাজার
D
রক্তপ্রবাহে শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়
উত্তরের বিবরণ
শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত অস্থিমজ্জা (bone marrow) এবং লিম্ফয়েড অঙ্গাণু যেমন লিম্ফ নোড (lymph nodes) ও প্লীহা (spleen)-এ উৎপন্ন হয় এবং রক্তপ্রবাহের মধ্যে সরাসরি উৎপাদিত হয় না।
-
শ্বেত রক্তকণিকা (White Blood Cell/WBC)
-
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাণু ধ্বংস করে।
-
হিমোগ্লোবিন না থাকার কারণে শ্বেত রক্তকণিকা নামে পরিচিত।
-
রক্তে সংখ্যার পরিমাণ RBC-এর তুলনায় অনেক কম।
-
অ্যামিবার মতো দেহের আকার পরিবর্তন করে এবং রক্ত জালিকার প্রাচীর ভেদ করে টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করতে সক্ষম।
-
শ্বেত কণিকাগুলো রক্তরসের মাধ্যমে নিজেই চলাচল করতে পারে।
-
দেহ বাইরের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে দ্রুত শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
-
মানবদেহে প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে প্রায় ৪–১১ হাজার (গড়ে ৭৫০০) শ্বেত রক্তকণিকা থাকে।
-
-
শ্বেত রক্তকণিকার বৈশিষ্ট্য
১. নিউক্লিয়াস থাকে।
২. আকার অনিয়মিত এবং বড়।
৩. হিমোগ্লোবিন নেই।
৪. সংখ্যার তুলনা লোহিত রক্তকণিকার সঙ্গে কম।
৫. গড় আয়ু ১–১৫ দিন।
0
Updated: 1 month ago
মানবদেহে আকারে সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘতম হাড়ের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
Humerus
B
Femur
C
Tibia
D
Radius
ফিমার বা উরুর হাড় মানবদেহের সবচেয়ে দীর্ঘ হাড়।
ফিমার (Femur):
- এটি মানবদেহের দীর্ঘতম এবং বৃহত্তম হাড়।
- পায়ের গঠন ও কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ফিমার শরীরের ওজনকে সমর্থন করার জন্য এবং হাঁটা, দৌড়ানো এবং লাফানো সহ বিভিন্ন পায়ের নড়াচড়ার সুবিধার জন্য দায়ী। - এর উর্ধ্বপ্রান্তে একটি গোল মস্তক, গ্রীবা ও ছোট-বড় ট্রোকেল্টার অবস্থিত।
- নিম্নপ্রান্ত দুটি কন্ডাইল বিশিষ্ট।
- ফিমারের মস্তক শ্রোণিচক্রে অ্যাসিটাবুলামের সাথে যুক্ত থাকে।
- এর প্রান্তে প্যাটেল (Patella) নামক চ্যাপ্টা সিগময়েড অস্থি থাকে। উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
ফিমার (Femur):
- এটি মানবদেহের দীর্ঘতম এবং বৃহত্তম হাড়।
- পায়ের গঠন ও কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ফিমার শরীরের ওজনকে সমর্থন করার জন্য এবং হাঁটা, দৌড়ানো এবং লাফানো সহ বিভিন্ন পায়ের নড়াচড়ার সুবিধার জন্য দায়ী।
- নিম্নপ্রান্ত দুটি কন্ডাইল বিশিষ্ট।
- ফিমারের মস্তক শ্রোণিচক্রে অ্যাসিটাবুলামের সাথে যুক্ত থাকে।
- এর প্রান্তে প্যাটেল (Patella) নামক চ্যাপ্টা সিগময়েড অস্থি থাকে।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি হিসেবে গণ্য নয়?
Created: 1 month ago
A
বিটুমিনাস কয়লা
B
শেল গ্যাস
C
এনথ্রাসাইট
D
বায়োগ্যাস
বায়োগ্যাস ও জীবাশ্ম জ্বালানি
-
বায়োগ্যাস
-
এটি জৈব পদার্থের পচনের মাধ্যমে উৎপন্ন একটি নবায়নযোগ্য শক্তি, যা জীবাশ্ম থেকে আসে না।
-
বায়োগ্যাস জৈব বর্জ্য (গোবর, উদ্ভিজ্জ বর্জ্য ইত্যাদি) থেকে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়।
-
এতে প্রধানত মিথেন গ্যাস (CH4) থাকে।
-
এটি নবায়নযোগ্য এবং দীর্ঘ সময় ধরে গঠিত হয়নি, তাই জীবাশ্ম জ্বালানি নয়।
-
-
জীবাশ্ম জ্বালানি
-
মৃত গাছপালা, মৃত প্রাণীদেহ ইত্যাদি হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে যে জ্বালানি তৈরি হয়, তাকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলা হয়।
-
এগুলো অ-নবায়নযোগ্য এবং দাহের সময় কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে পরিবেশ দূষণ করে।
-
উদাহরণ:
-
কয়লা
-
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
পেট্রোলিয়াম
-
-
-
পার্থক্য
-
বায়োগ্যাস নবায়নযোগ্য, জীবাশ্ম জ্বালানি নয়।
-
জীবাশ্ম জ্বালানি দীর্ঘ সময় ধরে গঠিত হয়, বায়োগ্যাস পুনরায় উৎপাদনযোগ্য।
-
0
Updated: 1 month ago
পিটুইটারি গ্রন্থির কোন হরমোনটি মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে?
Created: 1 month ago
A
অক্সিটোসিন
B
ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন
C
প্রোল্যাকটিন
D
ভ্যাসোপ্রেসিন
ভ্যাসোপ্রেসিন বা অ্যান্টি-ডাইইউরেটিক হরমোন (ADH) শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা এবং মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
পিটুইটারি গ্রন্থি
-
মানব মস্তিষ্কের নিচে অবস্থিত ক্ষুদ্র, লালচে-ধূসর রঙের মটর-সদৃশ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি।
-
ওজন মাত্র ০.৫ গ্রাম।
-
অন্তঃক্ষরাতন্ত্রের প্রধান হরমোন সৃষ্টিকারী গ্রন্থি (Principal/Master gland) হিসেবে পরিচিত।
-
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসরণ করে এবং থাইরয়েড, অ্যাড্রেনাল ও প্রজনন গ্রন্থি সহ অন্যান্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
-
হাইপোথ্যালামাসের সাথে সংযুক্ত থাকে।
-
-
প্রধান অংশ ও হরমোনসমূহ
১. অগ্র পিটুইটারি (Anterior Pituitary/Adenohypophysis)-
দেহের বৃদ্ধি, বিপাক এবং অন্যান্য গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
-
গুরুত্বপূর্ণ হরমোন:
-
গ্রোথ হরমোন (GH): দেহের সামগ্রিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
-
থাইরয়েড-স্টিমুলেটিং হরমোন (TSH): থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে।
-
অ্যাড্রেনোকর্টিকোট্রপিক হরমোন (ACTH): অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে।
-
ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH) ও লিউটিনাইজিং হরমোন (LH): একত্রে গোনাডোট্রপিক হরমোন (GTH) নামে পরিচিত, প্রজনন অঙ্গের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
-
প্রোল্যাকটিন (Prolactin): দুগ্ধ উৎপাদনে সহায়তা করে।
-
মেলানোসাইট স্টিমুলেটিং হরমোন (MSH): ত্বক ও চুলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
-
২. পশ্চাৎ পিটুইটারি (Posterior Pituitary/Neurohypophysis)
-
নিজে কোনো হরমোন তৈরি করে না, বরং হাইপোথ্যালামাস থেকে আসা হরমোন সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে নিঃসরণ করে।
-
সংরক্ষিত হরমোন:
-
ভ্যাসোপ্রেসিন (Vasopressin/ADH): কিডনির মাধ্যমে মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
অক্সিটোসিন (Oxytocin): সন্তান প্রসবকালে জরায়ুর সংকোচন ঘটায় এবং দুগ্ধ নিঃসরণে সাহায্য করে।
-
-
0
Updated: 1 month ago