সংসদ কর্তৃক গৃহীত কোন বিলে কে সম্মতি দান করলে বিলটি আইনে পরিণত হয়?
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
স্পিকার
D
ডেপুটি স্পিকার
উত্তরের বিবরণ
সংসদ কর্তৃৎ গৃহীত বিলের প্রক্রিয়া বাংলাদেশের সংবিধানের ৮০ নং অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। সংসদ যখন কোনো বিল প্রণীত করে তা রাষ্ট্রপতির নিকট প্রেরণ করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতি দেবেন বা সংসদের পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠাবেন। যদি রাষ্ট্রপতি ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতি প্রদান না করেন, তবে বিলটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাষ্ট্রপতির সম্মতি রয়েছে বলে গণ্য করা হয়। রাষ্ট্রপতি যদি বিলটি সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতীত ফেরত পাঠান, তবে সংসদ তা পুনর্বিবেচনা করে এবং পুনরায় বিলটি রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপন করলে রাষ্ট্রপতি ৭ দিনের মধ্যে বিলটিতে সম্মতি প্রদান করবেন; না করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইনে পরিণত হয়। সংসদ কর্তৃক গৃহীত বিলটি রাষ্ট্রপতির সম্মতিদান প্রাপ্ত বা গণ্য হলে তা আইনে রূপান্তরিত হয় এবং সংসদের আইন হিসেবে পরিচিত হয়।
-
সংসদ কর্তৃৎ গৃহীত বিলের জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন আবশ্যক।
-
বিলটি রাষ্ট্রপতির নিকট ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতির জন্য প্রেরণ করা হয়।
-
১৫ দিনের মধ্যে যদি রাষ্ট্রপতি সম্মতি দেন না, তবে বিলটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্মতি ধরা হয়।
-
রাষ্ট্রপতি যদি বিল ফেরত পাঠান, সংসদ তা পুনর্বিবেচনা করে সংশোধনীসহ বা ব্যতীত পুনরায় প্রেরণ করবে।
-
পুনরায় প্রেরণের ৭ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সম্মতি প্রদান করবেন; না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্মতিদান ধরা হবে।
-
রাষ্ট্রপতির সম্মতিদান প্রাপ্ত বা গণ্য হলে বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হয় এবং সংসদের আইন হিসেবে স্বীকৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
বহুদলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে কত সালে দেশে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৭৭ সালে
B
১৯৭৮ সালে
C
১৯৭৯ সালে
D
১৯৮১ সালে
বাংলাদেশে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন বহুদলীয় অংশগ্রহণের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এতে বহু রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে এবং বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতিতে নতুন ধারা সূচিত হয়।
-
২য় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
-
এ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিজয় লাভ করে।
-
নির্বাচনে মোট ভোট পড়ে ৫০.৯৫ শতাংশ।
-
এতে ২৯টি রাজনৈতিক ও উপদল অংশগ্রহণ করে।
-
জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে বিএনপি ২০৭টি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (মালেক) ৩৯টি, মুসলিম ডেমোক্রেটিক লীগ ২০টি, জাসদ ৮টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৬টি আসন লাভ করে (সূত্র: বাংলাপিডিয়া, জুলাই-২০১৭)।
-
সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৩০টিতেই বিজয়ী হয় বিএনপি।
-
পরবর্তীতে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিএনপিতে যোগ দেন।
-
নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস আগে গঠিত বিএনপি দলকে জেতানোর জন্য জিয়াউর রহমান বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন।
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় সংসদে 'কাস্টিং ভোট' প্রদান করে -
Created: 1 month ago
A
স্পিকার
B
প্রধানমন্ত্রী
C
রাষ্ট্রপতি
D
চিফ হুইপ
জাতীয় সংসদে কাস্টিং ভোট
সংসদে কোনো বিষয়ে ভোটাভুটির সময় পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট হলে সংসদ অচলাবস্থায় পড়ে।
এ অবস্থায় স্পিকার তার ভোট প্রদান করে অচলাবস্থা দূর করেন।
এই নির্ণায়ক ভোটকেই বলা হয় কাস্টিং ভোট।
অন্য কোনো পরিস্থিতিতে স্পিকার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না।
সংবিধান অনুযায়ী:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, অনুচ্ছেদ ৭৫(১):
“উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংসদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্র ব্যতীত সভাপতি (স্পিকার) ভোটদান করিবেন না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে তিনি নির্ণায়ক (casting) ভোট প্রদান করিবেন।”
তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশের সংবিধান
আরিফ খান, বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 1 month ago
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে প্রথম কততম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
৪র্থ
B
৫ম
C
৬ষ্ঠ
D
৭ম
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন (১৯৯১) ছিল এক বিশেষ মাইলফলক। এটি ছিল দেশের প্রথম নির্বাচন যা একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। যদিও সংবিধানে নিরপেক্ষ সরকারের বিধান ছিল না, তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল।
-
১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন।
-
তিনি তিন জোটের মনোনীত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে ১৭ জন উপদেষ্টা নিয়োগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করেন।
-
এ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিজয়ী হয়।
-
১৯৯১ সালের ২০শে মার্চ খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ
-
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে একমাত্র পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে। ফলে নির্বাচনের ফলাফলে দলীয় প্রভাব পড়েনি।
-
এই নির্বাচন ছিল ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র রক্ষার ঐক্যবদ্ধ সংকল্পের ফসল।
পরবর্তী প্রেক্ষাপট
-
বিএনপি সরকারের পদত্যাগের পর ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজিত হয়।
-
১৯৯৬ সালের ৩০শে মার্চ বিচারপতি হাবিবুর রহমানকে প্রধান উপদেষ্টা করে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়।
-
এর অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 1 month ago