A
প্রধানত দ্বি-ভাজন (Binary fission) পদ্ধতিতে সংখ্যাবৃদ্ধি করে
B
এককোষী প্রোক্যারিওটিক জীব
C
কোষীয় অঙ্গাণু যেমন রাইবোসোম, সাইটোপ্লাজম, কোষপ্রাচীর থাকে
D
এরা বাধ্যতামূলক পরজীবী
উত্তরের বিবরণ
ভাইরাস হলো বাধ্যতামূলক পরজীবী, কারণ তারা পোষক কোষ ছাড়া সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে না।
-
ব্যাকটেরিয়া
-
ব্যাকটেরিয়া হলো আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত, অসবুজ, এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব।
-
প্রথম ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক।
-
প্রধানত দ্বি-ভাজন (Binary fission) পদ্ধতিতে সংখ্যাবৃদ্ধি করে, যা একটি অযৌন প্রজনন পদ্ধতি।
-
এটি এককোষী প্রোক্যারিওটিক জীব, অর্থাৎ সুগঠিত নিউক্লিয়াস নেই।
-
কোষে রাইবোসোম, সাইটোপ্লাজম, কোষপ্রাচীর ইত্যাদি থাকে।
-
কোষের আকার হতে পারে গোলাকার, দণ্ডাকার, কমা আকার, প্যাঁচানো ইত্যাদি।
-
-
কোষের আকৃতি অনুসারে ভাগ
১. কক্কাস (Coccus)
২. ব্যাসিলাস (Bacillus)
৩. স্পাইরিলাম (Spirillum)
৪. কমা আকৃতি (Vibrio) -
ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা
-
মৃত জীবদেহ ও আবর্জনা পঁচাতে সাহায্য করে।
-
প্রকৃতি থেকে মাটিতে নাইট্রোজেন সংবন্ধন একমাত্র ব্যাকটেরিয়া করতে পারে।
-
পাট থেকে আঁশ ছাড়াতে ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে।
-
দই তৈরি করতেও ব্যাকটেরিয়ার সাহায্য প্রয়োজন।
-
বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হয়।
-
জীন প্রকৌশলে ব্যাকটেরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-

0
Updated: 10 hours ago
হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ কী?
Created: 10 hours ago
A
হরমোন উৎপাদন
B
বর্জ্য পদার্থ অপসারণ
C
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
D
শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করা
• হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হলো ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে তা শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেওয়া।
• হিমোগ্লোবিন:
- হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকার একটি জটিল প্রোটিন, যার মধ্যে লৌহ বা আয়রন থাকে।
- এই আয়রনের কারণেই হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন অণুগুলোকে সহজে ধারণ করতে পারে।
- এটি ফুসফুসে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শরীরের টিস্যু ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে তা সরবরাহ করে।
- এই প্রক্রিয়ায়, হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনকে কোষে পৌঁছে দিয়ে কোষের বিপাকক্রিয়া ও শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
- এর ফলে জীবিত কোষগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
- এছাড়া হিমোগ্লোবিন কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়।
- হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির কারণেই রক্ত লাল দেখায়।
- এছাড়াও, রোগ প্রতিরোধে শ্বেত রক্তকণিকা (WBC) কাজ করে।
- খাদ্য হজমে এনজাইম ও পাচকরস ভূমিকা রাখে।
- রক্ত জমাট বাঁধায় প্লেটলেট ও ফাইব্রিনোজেন কাজ করে।

0
Updated: 10 hours ago
শ্বেত রক্তকণিকা (লিউকোসাইট) সম্পর্কিত কোন বিবৃতিটি সঠিক নয়?
Created: 10 hours ago
A
শ্বেত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে
B
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে
C
মানবদেহে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে ৪ - ১১ হাজার
D
রক্তপ্রবাহে শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়
শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত অস্থিমজ্জা (bone marrow) এবং লিম্ফয়েড অঙ্গাণু যেমন লিম্ফ নোড (lymph nodes) ও প্লীহা (spleen)-এ উৎপন্ন হয় এবং রক্তপ্রবাহের মধ্যে সরাসরি উৎপাদিত হয় না।
-
শ্বেত রক্তকণিকা (White Blood Cell/WBC)
-
ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাণু ধ্বংস করে।
-
হিমোগ্লোবিন না থাকার কারণে শ্বেত রক্তকণিকা নামে পরিচিত।
-
রক্তে সংখ্যার পরিমাণ RBC-এর তুলনায় অনেক কম।
-
অ্যামিবার মতো দেহের আকার পরিবর্তন করে এবং রক্ত জালিকার প্রাচীর ভেদ করে টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করতে সক্ষম।
-
শ্বেত কণিকাগুলো রক্তরসের মাধ্যমে নিজেই চলাচল করতে পারে।
-
দেহ বাইরের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে দ্রুত শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
-
মানবদেহে প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে প্রায় ৪–১১ হাজার (গড়ে ৭৫০০) শ্বেত রক্তকণিকা থাকে।
-
-
শ্বেত রক্তকণিকার বৈশিষ্ট্য
১. নিউক্লিয়াস থাকে।
২. আকার অনিয়মিত এবং বড়।
৩. হিমোগ্লোবিন নেই।
৪. সংখ্যার তুলনা লোহিত রক্তকণিকার সঙ্গে কম।
৫. গড় আয়ু ১–১৫ দিন।

0
Updated: 10 hours ago
পিটুইটারি গ্রন্থির কোন হরমোনটি মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে?
Created: 10 hours ago
A
অক্সিটোসিন
B
ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন
C
প্রোল্যাকটিন
D
ভ্যাসোপ্রেসিন
ভ্যাসোপ্রেসিন বা অ্যান্টি-ডাইইউরেটিক হরমোন (ADH) শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা এবং মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
পিটুইটারি গ্রন্থি
-
মানব মস্তিষ্কের নিচে অবস্থিত ক্ষুদ্র, লালচে-ধূসর রঙের মটর-সদৃশ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি।
-
ওজন মাত্র ০.৫ গ্রাম।
-
অন্তঃক্ষরাতন্ত্রের প্রধান হরমোন সৃষ্টিকারী গ্রন্থি (Principal/Master gland) হিসেবে পরিচিত।
-
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসরণ করে এবং থাইরয়েড, অ্যাড্রেনাল ও প্রজনন গ্রন্থি সহ অন্যান্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
-
হাইপোথ্যালামাসের সাথে সংযুক্ত থাকে।
-
-
প্রধান অংশ ও হরমোনসমূহ
১. অগ্র পিটুইটারি (Anterior Pituitary/Adenohypophysis)-
দেহের বৃদ্ধি, বিপাক এবং অন্যান্য গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
-
গুরুত্বপূর্ণ হরমোন:
-
গ্রোথ হরমোন (GH): দেহের সামগ্রিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
-
থাইরয়েড-স্টিমুলেটিং হরমোন (TSH): থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে।
-
অ্যাড্রেনোকর্টিকোট্রপিক হরমোন (ACTH): অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে।
-
ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH) ও লিউটিনাইজিং হরমোন (LH): একত্রে গোনাডোট্রপিক হরমোন (GTH) নামে পরিচিত, প্রজনন অঙ্গের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
-
প্রোল্যাকটিন (Prolactin): দুগ্ধ উৎপাদনে সহায়তা করে।
-
মেলানোসাইট স্টিমুলেটিং হরমোন (MSH): ত্বক ও চুলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
-
২. পশ্চাৎ পিটুইটারি (Posterior Pituitary/Neurohypophysis)
-
নিজে কোনো হরমোন তৈরি করে না, বরং হাইপোথ্যালামাস থেকে আসা হরমোন সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে নিঃসরণ করে।
-
সংরক্ষিত হরমোন:
-
ভ্যাসোপ্রেসিন (Vasopressin/ADH): কিডনির মাধ্যমে মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
অক্সিটোসিন (Oxytocin): সন্তান প্রসবকালে জরায়ুর সংকোচন ঘটায় এবং দুগ্ধ নিঃসরণে সাহায্য করে।
-
-

0
Updated: 10 hours ago