অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
A
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
B
খাজা নাজিমউদ্দিন
C
চিত্তরঞ্জন দাশ
D
এ.কে. ফজলুল হক
উত্তরের বিবরণ
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী। অবিভক্ত বাংলায় ১৯৪৬ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে মুসলিমলীগের নেতৃত্বে তিনি জয়লাভ করেন, যেখানে তার দল ১১৪টি আসন অর্জন করে। নির্বাচনের পর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অবিভক্ত বাংলার পর ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন খাজা নাজিমুদ্দিন।
-
অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
-
১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচন: মুসলিমলীগ ১১৪ আসন অর্জন
-
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী: খাজা নাজিমুদ্দিন
0
Updated: 1 month ago
অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 3 months ago
A
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
B
এ কে ফজলুল হক
C
খাজা নাজিমউদ্দীন
D
আবুল হাশেম
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ভারত শাসন আইন ১৯৩৫ অনুসারে ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রাদেশিক নির্বাচন।
ওই নির্বাচনে মুসলিম লীগ ও কৃষক প্রজা পার্টি সম্মিলিতভাবে সরকার গঠন করে এবং শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী জয়লাভ করেন। তাঁর দল ১১৪টি আসন অর্জন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং তিনি অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর, ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পূর্ব বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ) পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হলে খাজা নাজিমুদ্দিন পূর্ব বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর জীবন ও রাজনৈতিক অবদান
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯২ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলায়। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস.সি (সম্মান) ও বি.সি.এল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে গ্রেইজ ইন থেকে ব্যারিস্টার হন।
রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯২০ সালে ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার পর। ১৯২৪ সালে তিনি কলকাতা কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে ১৯৩৭ সালে ফজলুল হকের কোয়ালিশন সরকারের শ্রম ও বাণিজ্য মন্ত্রী,
১৯৪৩-৪৫ সালে খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রিসভায় বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী এবং ১৯৪৬-৪৭ সালে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পাকিস্তান আমলেও তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি ১৯৫৪-৫৫ সালে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এবং ১৯৫৬-৫৭ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী রাজনৈতিক দল — আওয়ামী মুসলিম লীগ, যার পেছনে সোহ্রাওয়ার্দীর নেতৃত্ব ও প্রভাব ছিল অনস্বীকার্য।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এন.ডি.এফ) গঠন করে তিনি ১৯৬২-৬৩ সালে পাকিস্তানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
গণতান্ত্রিক চেতনা ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই নেতা ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র: মাধ্যমিক পাঠ্যবই (বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা)
0
Updated: 3 months ago