বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলো একটি বিশেষ শাসন ব্যবস্থা, যা নির্বাচিত দুইটি সরকারের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য স্থাপন করা হয়। এই সময়কালে, অনির্বাচিত উপদেষ্টা বা ব্যক্তিবর্গ দেশ শাসনভার গ্রহণ করে, যাতে নির্বাচনের সুবিচার ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।
-
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রথমবার ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়, বিএনপি সরকারের পদত্যাগের পর।
-
১৯৯৬ সালে সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হয়।
-
প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
-
উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্য ছিলেন: ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অধ্যাপক মো. শামসুল হক, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, শেগুফতা বখত চৌধুরী, এ জেড এম নাছিরুদ্দিন, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, অধ্যাপক নাজমা চৌধুরী এবং মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রহমান খান।
-
এই সরকার মোট ৮৬ দিন ক্ষমতায় ছিল এবং ১৯৯৬ সালের ১২ জুন জাতীয় সংসদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে।
-
অবশেষে, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখযোগ্য:
-
১৯৯০ সালে সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর, নির্দলীয় প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব পালনের জন্য।
-
সেই সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
পরবর্তীতে, ৩০ জুন ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়।