A
৩০ দিন
B
৪৫ দিন
C
৬০ দিন
D
৯০ দিন
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভা, যা দেশের সংবিধানের বিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়ন ক্ষমতা প্রয়োগ করে। সংসদ গঠিত হয় প্রতি নির্বাচনী এলাকা থেকে সরাসরি নির্বাচিত ৩০০ জন সদস্যের সমন্বয়ে, এবং এর মেয়াদ ৫ বছর।
-
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের পর পর দুই অধিবেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বিরতি থাকতে পারে।
-
একাধিক সদস্য যদি ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকেন, তবে তাদের সংসদ সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়।
-
রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত ও ভঙ্গ করতে পারেন।
-
সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ আহ্বান করা হয়।
-
দেশের নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক হুমকি থাকলে সর্বোচ্চ ১২০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যেতে পারে।

0
Updated: 10 hours ago
বাংলাদেশের সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 4 days ago
A
দশম
B
দ্বাদশ
C
পঞ্চদশ
D
সপ্তদশ
সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী
-
পাসের তারিখ: ৬ আগস্ট ১৯৯১
-
ভোটের ফলাফল: ৩০৭–০ ভোটে গৃহীত
-
মূল উদ্দেশ্য: রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত (সংসদীয়) সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।
দ্বাদশ সংশোধনীর বৈশিষ্ট্য
-
সংসদীয় সরকার:
-
বাংলাদেশের সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়।
-
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত।
-
-
নামমাত্র রাষ্ট্রপতি:
-
রাষ্ট্রপতি আইনানুসারে সংসদ সদস্য দ্বারা নির্বাচিত হবেন।
-
যাবতীয় কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে পরিচালনা করবেন।
-
-
রাষ্ট্রপতির মেয়াদ:
-
রাষ্ট্রপতি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।
-
একাধিক্রমে ১০ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকবেন না।
-
-
উপ-রাষ্ট্রপতির পদ বিলোপ:
-
দ্বাদশ সংশোধনী উপ-রাষ্ট্রপতির পদ বিলোপ করে।
-
রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে জাতীয় সংসদের স্পীকার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
-
-
মন্ত্রিসভা গঠন:
-
মন্ত্রিসভা গঠন ও কার্যক্রম সংবিধানে নির্ধারিত।
-
রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের আস্থাভাজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করবেন।
-
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার নেতা হবেন।
-
-
গণভোট পদ্ধতি:
-
সংশোধনী বিল কেবল সংবিধানের প্রস্তাবনা বা নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ (৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২) সংক্রান্ত হলে গণভোট আকারে পেশ করা যাবে।
-
উৎস:
i) BBC
ii) বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 4 days ago
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
৭ মার্চ ১৯৭৩ খ্রি.
B
৭ এপ্রিল ১৯৭৩ খ্রি.
C
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ খ্রি.
D
৭ ডিসেম্বর ১৯৭২ খ্রি.
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচন ও উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৭ মার্চ ১৯৭৩।
-
তখন ৩০০টি আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।
-
মহিলা আসন সংরক্ষিত ছিল ১৫টি।
-
নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিচারপতি এম. ইদ্রিস।
-
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসনে জয়লাভ করে।
-
বঙ্গবন্ধু ঢাকা-১২ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন।
-
প্রথম সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন মুহম্মদুল্লাহ এবং ডেপুটি স্পিকার হন বায়তুল্লাহ।
-
পরে মুহম্মদুল্লাহ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে আবদুল মালেক উকিল স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব নেন।
উল্লেখযোগ্য পরবর্তী ঘটনা:
-
দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯।
-
তখন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ছিল ৩০টি।
-
এই সংসদেই প্রথমবারের মতো প্রত্যক্ষ ভোটে একজন নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, যিনি ছিলেন সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ (খুলনা-১৪)।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (দ্বিতীয় পত্র), SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 weeks ago
জাতীয় সংসদে কোরাম হয় কত জনে?
Created: 2 months ago
A
৯০ জন
B
৭৫ জন
C
৬০ জন
D
৫০ জন
বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৫ নং অনুচ্ছেদে কোরাম বিষয়ক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সর্বনিম্ন ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি থাকা আবশ্যক। অর্থাৎ, জাতীয় সংসদের বৈধ কার্যক্রম বা কোরাম বজায় থাকবে যখন কমপক্ষে ৬০ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয় সংসদের চলমান সভায় যদি কোন সময়ে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা ৬০ এর নিচে নেমে আসে এবং এ বিষয়ে সভাপতির কাছে কেউ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, তাহলে তিনি বৈঠক স্থগিত বা মুলতবি করার সিদ্ধান্ত নেবেন যতক্ষণ পর্যন্ত ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি পুনরায় নিশ্চিত না হয়।
উল্লেখযোগ্য:
কোরাম বলতে বোঝায়, কোনো বৈধ সভা বা সংস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যে ন্যূনতম সদস্য সংখ্যা উপস্থিত থাকা আবশ্যক, যা সংস্থার নিয়মনীতি বা আইনে পূর্বনির্ধারিত থাকে।
তথ্যের উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 2 months ago