ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র মতে চর্যাপদের রচনাকাল কোনটি?
A
৯৫০-১২০০ খ্রীষ্টাব্দ
B
৬৫০-৯৫০ খ্রীষ্টাব্দ
C
৬৫০-১২৫০ খ্রীষ্টাব্দ
D
৬৫০-১২০০ খ্রীষ্টাব্দ
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদের রচনাকাল সম্পর্কে গবেষকদের মত
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে: ৬৫০ – ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে: ৯৫০ – ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে
-
ড. সুকুমার সেনের মতে: ৯০০ – ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে
চর্যাপদ
-
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন
-
বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে আবিষ্কার করেন
-
প্রবোধচন্দ্র বাগচী ১৯৩৮ সালে চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদের পদগুলো মূলত-
Created: 1 day ago
A
শ্লোক
B
কবিতা
C
গান
D
ধাঁধা
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম রূপগুলোর একটি, যা মূলত গান আকারে রচিত। এটি বৈদিক ও বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে মানুষের ধ্যান, ভক্তি, আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা এবং সামাজিক জীবনের দিক তুলে ধরে। চর্যাপদের কবিতা বা শ্লোকের মতো লিখিত হলেও, এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল স্বর ও তাল সহ গাইতে বা আবৃত্তি করতে পারা, অর্থাৎ এটি প্রায়শই গান আকারে ব্যবহৃত হত।
এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
স্বর ও ছন্দের উপযোগী: চর্যাপদের পদগুলো গান বা আবৃত্তির জন্য বিশেষভাবে রচিত, যাতে সহজে উচ্চারণ এবং তাল মিলিয়ে পাঠ করা যায়।
-
আধ্যাত্মিক ও সামাজিক বিষয়: এ পদগুলিতে মানবিক জীবন, ধর্মীয় ভাবনা, আধ্যাত্মিক সাধনা এবং সামাজিক নৈতিকতা সংমিশ্রিতভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
প্রাচীন বাংলা সাহিত্য: চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীন সাহিত্য, যা মূলত পালি ভাষা ও প্রাচীন বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে রচিত। এটি বাংলা সাহিত্যের শুরু ও লোকসংস্কৃতির পরিচয় বহন করে।
-
সংগীত ও লয়: গান আকারে রচিত হওয়ায় পদগুলোর স্বর, তাল ও ছন্দের গুরুত্ব বেশি। এটি শুধুমাত্র পাঠ্য নয়, বরং শ্রবণ ও গানের মাধ্যমে ধ্যান এবং আধ্যাত্মিক অনুভূতি প্রকাশ করে।
-
ধর্মীয় প্রভাব: চর্যাপদে বৌদ্ধ চেতনা এবং স্থানীয় আধ্যাত্মিক অনুশীলনের প্রভাব স্পষ্ট। গান আকারে রচনার মাধ্যমে পাঠক বা শ্রোতা ধ্যানমগ্ন অবস্থায় শিক্ষা ও নৈতিকতা উপলব্ধি করতে পারে।
সারসংক্ষেপে, চর্যাপদের পদগুলো মূলত গান আকারে রচিত, যা আধ্যাত্মিক চিন্তা, ধর্মীয় ভাবনা এবং সামাজিক মূল্যবোধকে সহজ, ছন্দময় ও সঙ্গীতময়ভাবে প্রকাশ করে। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ রূপ, যা গীতিময় আভাস এবং ধ্যানমগ্ন পাঠের জন্য উপযোগী।
0
Updated: 1 day ago
চর্যাপদে কোন ধর্মমতের কথা আছে?
Created: 1 month ago
A
খ্রিস্টধর্ম
B
প্যাগনিজম
C
জৈনধর্ম
D
বৌদ্ধধর্ম
চর্যাপদ ও বৌদ্ধধর্ম
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন। এটি মূলত বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা বা গানের সংকলন।
-
চর্যাগুলো লিখেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়ারা, তাই এতে বৌদ্ধধর্ম ও তাদের ধর্মমতের উল্লেখ পাওয়া যায়।
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
পরে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ উদ্ধার করেন, যা অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র।
-
বাংলা সাহিত্যের আদি যুগে লিখিত একমাত্র নিদর্শন হিসেবেই চর্যাপদকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপডিয়া।
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদের প্রাপ্তিস্থান কোথায়?
Created: 2 months ago
A
বাংলাদেশ
B
নেপাল
C
উড়িষ্যা
D
ভুটান
চর্যাপদ:
• বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র নিদর্শন চর্যাচর্যবিনিশ্চয় বা চর্যাগীতিকোষ বা চর্যাগীতি বা চর্যাপদ।
• ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
• ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়।
• চর্যাপদের পদ সংখ্যা: চর্যাপদের পদ সংখ্যা ৫০টি। তবে সুকুমার সেন মনে করেন পদসংখ্যা ৫১টি।
• উদ্ধারকৃত পদের সংখ্যা: চর্যাপদের সাড়ে ৪৬টি পদ পাওয়া যায়।
• অনুদ্ধারকৃত/বিলুপ্ত পদের সংখ্যা: সাড়ে ৩টি। প্রাপ্ত সাড়ে ৪৬টি পদের মধ্যে ভুসুকুপা রচিত ২৩নং পদটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া গেছে। পদটির ৬টি পদ পাওয়া গেছে কিন্তু বাকি ৪টি পদ পাওয়া যায়নি।
• এছাড়াও চর্যাপদের ২৪নং (কাহ্নপা রচিত), ২৫নং (তন্ত্রীপা রচিত) এবং ৪৮নং (কুক্কুরীপা রচিত) পদগুলো পাওয়া যায়নি।
• চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
• ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
• সংস্কৃত ভাষায় মুনিদত্ত চর্যাপদের ব্যাখ্যা করেন। তিনি ১১নং পদের ব্যাখ্যা করেননি।
0
Updated: 2 months ago