A
ভুসুকুপা
B
কাহ্নপা
C
শবরপা
D
ডোম্বীপা
উত্তরের বিবরণ
শবরপা চর্যাপদের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন কবি হিসেবে পরিচিত, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এ মত প্রকাশ করেছেন। তিনি ছিলেন নাগার্জুনের শিষ্য এবং তাঁর জীবনকাল আনুমানিক ৬৮০ – ৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ। শবরপা ছিলেন চর্যাপদের প্রথম পদকর্তা এবং তিনি লুইপার গুরু ছিলেন। চর্যাপদের ২৮ ও ৫০ নং পদের রচয়িতা তিনি। এছাড়া তিনি সংস্কৃত ও অপভ্রংশ মিলে মোট ১৬টি গ্রন্থ রচনা করেন।
শবরপা রচিত উল্লেখযোগ্য পঙ্ক্তি
"উষ্ণা উষ্ণা পাবত তহিঁ সবই সবরী বালী।
মোরাঙ্গ পীচ্ছ পরিহাণ সবী গীবত গুঞ্জরী।।"

0
Updated: 10 hours ago
'চর্যাগীতিকোষবৃত্তি' নামে মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ করেন কে?
Created: 1 week ago
A
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
B
রাজেন্দ্রলাল মিত্র
C
কীর্তিচন্দ্র
D
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
বাংলা
বাংলা সাহিত্যিক ও সাহিত্যকর্ম
বাংলা সাহিত্যের প্রথম
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য
No subjects available.
চর্যাপদ ও প্রাচীন বাংলার পদসংগ্রহ
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে তৃতীয় নেপাল সফরে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে প্রাচীন কিছু সাহিত্য পদ আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় এগুলো বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়:
-
চর্যাচর্যবিনিশ্চয়
-
সরহপাদ ও কৃষ্ণপাদের দোহা
-
ডাকার্ণব-এর চারটি পুঁথি
-
গ্রন্থের নাম: ‘হাজার বছরের পুরাণ: বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’
-
-
এগুলোর মধ্যে একমাত্র চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ই প্রাচীন বাংলায় লেখা, বাকিগুলো অপভ্রংশ ভাষায় রচিত।
ভাষাতাত্ত্বিক ও ধর্মমত বিশ্লেষণ
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় Origin and Development of the Bengali Language (ODBL) গ্রন্থে এসব পদসংগ্রহের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৭ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯৩৮ সালে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যার তিব্বতি অনুবাদ প্রকাশ করেন।
পদসংগ্রহের নাম সম্পর্কিত তথ্য
-
মুনিদত্তের সংস্কৃত টীকানুসারে পদসংগ্রহের নাম ছিল ‘আশ্চর্যচর্যাচয়’।
-
নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে নাম দেওয়া হয়েছিল ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী দুটি নাম মিলিয়ে ‘চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়’ নামকরণ করেন।
-
কীর্তিচন্দ্র মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ ছিল ‘চর্যাগীতিকোষবৃত্তি’।
-
আধুনিক পণ্ডিতদের অনুমান: মূল সংকলনের নাম ছিল ‘চর্যাগীতিকোষ’, সংস্কৃত টীকার নাম ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 week ago
'জুলাই শহীদ দিবস' পালিত হয় কবে?
Created: 1 month ago
A
১৬ জুলাই
B
১৮ জুলাই
C
৫ আগস্ট
D
৮ আগস্ট
‘জুলাই শহীদ দিবস’
-
উদযাপনের তারিখ: প্রতি বছর ১৬ জুলাই
-
ঘটনার প্রেক্ষাপট:
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিনটি স্মরণে সরকার এই দিবস ঘোষণা করে। -
ঘোষণা তারিখ: ২ জুলাই, ২০২৫ (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রে)
-
দিবসের শ্রেণি: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসের তালিকায় ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত
-
সম্পর্কিত দিবস: ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে, যা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন হিসেবে চিহ্নিত।
-
উদ্দেশ্য: শহীদ আবু সাঈদের ত্যাগ ও গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণ করা।

0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের 'স্বভাব কবি' হচ্ছেন -
Created: 2 weeks ago
A
বিজন ভট্টাচার্য
B
শামসুর রহমান
C
গােবিন্দচন্দ্র দাস
D
নবীনচন্দ্র সেন
গােবিন্দচন্দ্র দাস:
- গােবিন্দচন্দ্র দাস ১৮৫৫ সালের ১৬ জানুয়ারি ঢাকা জেলার ভাওয়ালের জয়দেবপুরে এক দরিদ্র পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- বাংলা সাহিত্যের 'স্বভাব কবি' হচ্ছেন গােবিন্দচন্দ্র দাস।
- রবীন্দ্রনাথের সমকালে আধুনিক গীতিকবিতার ধারায় কবিতা রচনা করেই গোবিন্দচন্দ্র খ্যাত হন।
- তাঁর প্রথমা পত্নী সারদাসুন্দরীর মৃত্যুর প্রায় সাত বছর পর তিনি দ্বিতীয়বার দারপরিগ্রহ করেন।
- কিন্তু কবিতার মাধ্যমে তিনি তাঁর প্রথমা পত্নীকে অমর করে রেখেছেন।
তাঁর কাব্যগ্রন্থ:
- প্রেম ও ফুল,
- কুঙ্কুম,
- কস্তুরী,
- চন্দন,
- ফুলরেণু (সনেট),
- বৈজয়ন্তী,
- শোক ও সান্ত্বনা,
- শোকোচ্ছ্বাস ইত্যাদি।

0
Updated: 2 weeks ago