‘শেষ বড় কবি’ বলা হয় কাকে?
A
কোরেশী মাগনঠাকুর
B
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
C
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
D
শাহ মুহম্মদ সগীর
উত্তরের বিবরণ
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর ছিলেন আঠারো শতকের মঙ্গলকাব্য ধারার শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর জীবনকাল ১৭১২ থেকে ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। তিনি মধ্যযুগের ‘শেষ বড় কবি’ হিসেবে পরিচিত এবং তাঁকে নাগরিক কবিও বলা হয়। ভারতচন্দ্র বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করলেও তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা হলো ‘অন্নদামঙ্গল’, যা তিনি ১৭৫২-৫৩ সালে রচনা করেন। এই কাব্যের দ্বিতীয় অংশ ‘বিদ্যাসুন্দর’ নামে পরিচিত।
-
‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের বৈশিষ্ট্য: ছন্দ ও অলঙ্কারের সুদক্ষ প্রয়োগ
-
অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য: অন্নদামঙ্গল অষ্টাদশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্য এবং সমগ্র বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
-
অন্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: সত্যনারায়ণের পাঁচালী
0
Updated: 1 month ago
অক্ষয়কুমার অবসর নিলে 'তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার সম্পাদক হন কে?
Created: 2 months ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
✦ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা
-
প্রকাশকাল: ১৬ আগস্ট, ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে।
-
প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
প্রথম সম্পাদক: অক্ষয়কুমার দত্ত।
-
সম্পাদনা দায়িত্বকাল: অক্ষয়কুমার দত্ত ১৮৪৩ – ১৮৫৫ পর্যন্ত।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
উদার, বিজ্ঞানমনস্ক ও দেশসচেতন পত্রিকা।
-
বাঙালি সমাজে জাগরণ ও আধুনিক চিন্তার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
-
পরবর্তী সম্পাদক: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
-
বিশেষ তথ্য: অক্ষয়কুমারের সম্পাদনা-কালকে পত্রিকার স্বর্ণযুগ বলা হয়।
0
Updated: 2 months ago
আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদ কোন ছন্দের অন্তর্গত?
Created: 2 months ago
A
মাত্রাবৃত্ত
B
স্বরবৃত্ত
C
ছন্দহীন
D
অক্ষরবৃত্ত
চর্যাপদ
-
ভাষা: চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কোথাও স্পষ্ট, কোথাও অস্পষ্ট। একে ‘আলো-আঁধারি’ ভাষাও বলা হয়।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মন্তব্য:
"আলো আঁধারি ভাষা, কতক আলো, কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না। যাঁহারা সাধন-ভজন করেন, তাঁহারাই সে কথা বুঝিবেন, আমাদের বুঝিয়া কাজ নাই।"
-
ছন্দ: চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন ছন্দে রচিত কি না তা বলা সম্ভব নয়; আধুনিক ছন্দ অনুযায়ী এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দে বিবেচিত হয়।
0
Updated: 2 months ago
চর্যাপদে সর্বাপেক্ষা বেশি পদ রচনা করেন কে?
Created: 1 month ago
A
শবরপা
B
লুইপা
C
কাহ্নপা
D
সরহপা
চর্যাপদে মোট সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে একটি পদ ছেঁড়া বা খণ্ডিত আকারে রয়েছে। পদসংখ্যার ভিত্তিতে কবিদের মধ্যে সর্বাধিক অবদান রেখেছেন কাহ্নপা, যিনি ১৩টি পদ রচনা করেছেন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন ভুসুকুপা, তাঁর রচিত পদ সংখ্যা ৮। তৃতীয় সর্বোচ্চ অবদানকারী সরহপা, যিনি ৪টি পদ (ক্রমিক ২২, ৩২, ৩৮ ও ৩৯) রচনা করেছেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন কুক্কুরীপা, যিনি ৩টি পদ রচনা করেছেন। আর পঞ্চম স্থানে রয়েছেন লুইপা, শবরপা ও শান্তিপা, এঁরা প্রত্যেকে ২টি করে পদ রচনা করেছেন।
0
Updated: 1 month ago