চর্যাপদের কোন পদকর্তা ত্রিপুরা’র রাজা ছিলেন?
A
ভুসুকুপা
B
সরহপা
C
কাহ্নপা
D
ডোম্বীপা
উত্তরের বিবরণ
ডোম্বীপা ছিলেন চর্যাপদের একজন উল্লেখযোগ্য পদকর্তা। তিনি চর্যাপদের ১৪ নম্বর পদ রচনা করেছিলেন। তাঁর গুরু ছিলেন বিরুপা, যিনি ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা ছিলেন। তাঁর রচিত পদে গঙ্গা ও যমুনা নদীতে নৌকা বেয়ে নেওয়ার চিত্র জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, একইসাথে এটি কবিতা ও গানের সংকলন। ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র। পরবর্তীতে, ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন -
Created: 1 month ago
A
মুনিদত্ত
B
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
C
কীর্তিচন্দ্র
D
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
র্যাপদ হলো বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং কবিতা বা গানের সংকলন, যা বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন। এটি বৌদ্ধ সহজিয়াগণের রচিত চর্যাগীতির সম্পূর্ণ সেট, যেগুলোতে বৌদ্ধধর্মের তত্ত্ব এবং চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
চর্যাপদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ:
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন এবং বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য বা কবিতাসংকলন।
চর্যাপদের ভাষা এবং বিষয়বস্তু যথেষ্ট দুর্বোধ্য, এবং এর কবিরা ছিলেন বৌদ্ধ সাধক বা সহজিয়া।
চর্যাপদের প্রথম আবিষ্কার করেন ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে।
পরে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষায় অনুবাদের সন্ধান পান, যা কীর্তিচন্দ্র নামের এক ব্যক্তির।
চর্যাপদের রচনাকাল নিয়ে ইতিহাসবিদদের মতবিরোধ থাকলেও মূলত ৬৫০ থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত বলে ধারণা করা হয়।
সংক্ষেপে, চর্যাপদ বৌদ্ধধর্মের ভাবনা ও প্রার্থনার গানসমূহের এক সংগ্রহ, যা বাংলা ভাষার প্রাচীনতম সাহিত্য হিসেবে স্বীকৃত
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদের টীকাকার কে?
Created: 2 months ago
A
কীর্তিচন্দ্র
B
মুনিদত্ত
C
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
D
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
চর্যাপদ
-
সংজ্ঞা: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন, যাকে চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতিকোষ, চর্যাগীতি বা চর্যাপদ বলা হয়।
-
ধরন: গানের সংকলন
-
বিষয়বস্তু: বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী সাধনভজন ও ধর্মীয় তত্ত্ব প্রকাশ।
-
রচয়িতা: চর্যাগুলো রচনা করেছেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
আবিষ্কার: মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে ১৯০৭ সালে আবিষ্কৃত।
-
টীকাকার: মুনিদত্ত
-
অনুবাদ: তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
0
Updated: 2 months ago
মুনিদত্তের মতে চর্যাপদের পদসংগ্রহের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
চর্যাচর্যবিনিশ্চয়
B
চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়
C
আশ্চর্যচর্যাচয়
D
চর্যাগীতিকোষ
(চর্যাপদ)
-
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন।
-
আবিষ্কার ও সম্পাদনা:
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের তৃতীয় সফরে ১৯০৭ সালে রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের কতকগুলো পদ আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ১৯১৬ সালে সেই সমস্ত পদ প্রকাশ করে। প্রকাশিত গ্রন্থের শিরোনাম: হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা (চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, কৃষ্ণপাদের দোহা ও ডাকার্ণব-এর চারটি পুঁথি একত্রে)।
-
-
নামকরণ:
-
প্রাপ্ত পুঁথিতে সংস্কৃত টীকাকার মুনিদত্ত অনুসারে পদসংগ্রহের নাম আশ্চর্যচর্যাচয়।
-
নেপালের পুঁথিতে পদগুলোর নাম চর্যাচর্যবিনিশ্চয়।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী উভয় নাম মিলিয়ে চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয় নাম প্রস্তাব করেন।
-
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 1 month ago