কোন বাক্যটি দ্বারা অনুরোধ বুঝায়?
A
তুই বাড়ি যা
B
ক্ষমা করা ঘোর অপরাধ
C
কাল একবার এসো
D
দূর হও
উত্তরের বিবরণ
একই বাক্য বা শব্দ, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে উচ্চারিত হলে তা ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। এটিই বাভঙ্গির মাহাত্ম্য। মানুষ কখনো জিজ্ঞাসা করে, কখনো আদর করে, আবার কখনো রাগ বা বিস্ময় প্রকাশ করে—এসবই স্বরভঙ্গির মাধ্যমে বোঝা যায়।
নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো, যা বাভঙ্গির রূপভেদে একই বাক্য বা বাক্যাংশ কীভাবে বিভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, তা স্পষ্ট করে তোলে:
১. সাধারণ বিবৃতি (তথ্য দেওয়া)
-
সে আজ যাবে।
👉 নিছক একটি তথ্য জানানো হচ্ছে।
২. প্রশ্ন (জিজ্ঞাসা)
-
সে আজ যাবে?
👉 সন্দেহ বা কৌতূহল প্রকাশ পাচ্ছে।
৩. বিস্ময়
-
সে আজ যাবে!
👉 ভাবনার বাইরে কিছু ঘটছে, আশ্চর্যজনক অনুভূতি।
৪. ক্রোধ
-
আমি তোমাকে দেখে নেব।
👉 হুমকি বা রাগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
৫. আদর
-
বড্ড শুকিয়ে গেছিস রে।
👉 স্নেহমাখা কণ্ঠে কষ্ট প্রকাশ।
৬. আনন্দ
-
বেশ বেশ, খুব ভালো হয়েছে।
👉 খুশি হয়ে প্রশংসা করা হচ্ছে।
৭. অনুরোধ
-
কাল একবার এসো। / কাল একবার আসতে পারবে?
👉 ভদ্রভাবে কারো প্রতি অনুরোধ জানানো।
স্বরভঙ্গি কেবল বাক্য গঠনের একটি উপাদান নয়, বরং এটি ভাষাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। একই বাক্য, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে ভিন্ন আবেগ ও মনোভাব প্রকাশ করতে পারে। এটি ভাষার নান্দনিক ও ব্যবহারিক সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম দশম শ্রেণি (২০২১ ও ২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 4 months ago
গুরুচন্ডালী দোষে বাক্য কি হারায়?
Created: 2 weeks ago
A
প্রসাদ গুণ
B
আকাংক্ষা
C
আসক্তি
D
যোগ্যতা
তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় বা তদ্ভব শব্দ মিশে গেলে অনেক সময় গুরুচণ্ডালী দোষ দেখা দেয়। এই দোষ তখনই হয়, যখন ভাষার দুই ভিন্ন উৎসের শব্দ একত্রে এমনভাবে ব্যবহৃত হয় যে তা ভাষার স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও শুদ্ধতা নষ্ট করে। ফলে সেই শব্দ বা বাক্য অশুদ্ধ ও অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়ে।
-
তৎসম শব্দ সংস্কৃত থেকে অপরিবর্তিতভাবে গৃহীত শব্দ।
-
দেশীয় বা তদ্ভব শব্দ হলো সময়ের সঙ্গে ধ্বনিগত পরিবর্তনে গঠিত সহজ চলিত রূপ।
-
এই দুই শ্রেণির শব্দ একত্রে অনুপযুক্তভাবে ব্যবহার করলে তা ভাষার ধ্বনিগত ও রূপগত অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করে।
-
যেমন— “অগ্নিলাগা” (অগ্নি + লাগা) শব্দে গুরুচণ্ডালী দোষ আছে, কারণ “অগ্নি” তৎসম এবং “লাগা” দেশীয়।
অতএব, গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত শব্দ তার শুদ্ধতা ও প্রাঞ্জলতা হারায় এবং সাহিত্যিক ভাষার উপযোগিতা নষ্ট হয়।
0
Updated: 2 weeks ago
'হংসডিম্ব' এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
হংসীর ডিম
B
হাঁসের ডিম
C
হাঁস ও ডিম
D
হঁংস হতে যে ডিম
• ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস:
পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তি (র/এর) লোপ হয়ে যে তৎপুরুষ সমাস গঠিত হয়, তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন:
-
মৃগীর শিশু = মৃগশিশু
-
ছাগীর দুগ্ধ = ছাগদুগ্ধ
-
হংসীর ডিম্ব = হংসডিম্ব
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 1 month ago
'যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ, সুতরাং তুমি প্রথম হবে' কোন ধরনের বাক্য?
Created: 3 months ago
A
সরল
B
জটিল
C
যৌগিক
D
অনুজ্ঞামূলক
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের সাথে এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য যুক্ত থাকে, বা একাধিক বাক্য পরস্পরের সঙ্গে নির্ভরশীল ও সম্পর্কিত হয়ে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলা হয়।
সহজ কথায়, যেখানে একটি মূল বাক্যের সঙ্গে সাব-বাক্যগুলো সংযুক্ত থাকে এবং তারা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, সেসব বাক্যই জটিল বাক্য।
জটিল বাক্যে ব্যবহৃত সাপেক্ষ সর্বনাম ও সাপেক্ষ যোজক
জটিল বাক্যে প্রায়শই ‘যে-সে’, ‘যারা-তারা’, ‘যিনি-তিনি’, ‘যাঁরা-তাঁরা’, ‘যা-তা’ এর মতো সাপেক্ষ সর্বনাম এবং ‘যদি-তবে’, ‘যদিও-তবু’, ‘যেহেতু-সেহতু’, ‘যত-তত’, ‘যেটুকু-সেটুকু’, ‘যেমন-তেমন’, ‘যখন-তখন’ ইত্যাদি সাপেক্ষ যোজক ব্যবহৃত হয়।
এই ধরনের শব্দ ও যুক্তি অপ্রধান ও প্রধান খণ্ডবাক্যগুলোকে যুক্ত করে এবং বাক্যের অর্থকে পরস্পরের সঙ্গে সাপেক্ষ করে।
উদাহরণসমূহ
-
যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ, তাই তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে।
(এখানে ‘যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ’ অংশটি অপ্রধান খণ্ডবাক্য এবং ‘তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে’ প্রধান খণ্ডবাক্য।) -
যে ছাত্রটি সময়মতো এসেছে, সে আমার বন্ধু।
-
যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন আমরা ছাতা নিয়ে বের হলাম।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯), ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা-শিক্ষা
0
Updated: 3 months ago