'সংশপ্তক' উপন্যাসটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
A
১৯৬৭ সালে
B
১৯৬১ সালে
C
১৯৬৫ সালে
D
১৯৬৩ সালে
উত্তরের বিবরণ
‘সংশপ্তক’ শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত একটি মহাকাব্যিক উপন্যাস, যা ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। সংশপ্তক শব্দটি মহাভারত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ হলো সেই সৈনিকেরা যারা জীবন-মরণের পণ করে যুদ্ধ করে। উপন্যাসে হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবনযাপন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ ও সাম্প্রদায়িকতার মতো প্রেক্ষাপট উপস্থাপিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলোর মধ্যে আছে রাবেয়া খাতুন (রাবু), জাহেদ, সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান, রামদয়াল প্রমুখ।
শহীদুল্লাহ কায়সার ১৯২৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেনিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্ণ নাম ছিল আবু নঈম মহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি ছিলেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের সহোদর। তিনি সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও রাজনৈতিক জীবনে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্তমূলক গ্রন্থ হলো পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ, আর স্মৃতিকথামূলক রচনা রাজবন্দীর রোজনামচা, যা ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয়।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
-
কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
ভ্রমণবৃত্তান্ত
-
পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ
স্মৃতিকথা
-
রাজবন্দীর রোজনামচা
0
Updated: 1 month ago
'নষ্টনীড়' ছোটগল্পের চরিত্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
চন্দরা
B
চারুলতা
C
রতন
D
সুরবালা
‘নষ্টনীড়’ ছোটগল্পের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গল্পটি ১৯০১ সালে রচিত ও প্রকাশিত এবং একজন নিসঙ্গ নারীর জীবন ও অনুভূতি তুলে ধরে।
মূল চরিত্রসমূহ:
-
চারুলতা
-
অমল
-
ভূপতি
প্রসিদ্ধি:
-
এই ছোটগল্পের উপর ভিত্তি করে প্রখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায় ১৯৬৪ সালে চারুলতা নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পের চরিত্র:
-
‘শাস্তি’—চন্দরা
-
‘সুরবালা’—একরাত্রি
-
‘রতন’—পোস্টমাস্টার
রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য ছোটগল্প:
-
শাস্তি
-
একরাত্রি
-
মধ্যবর্তিনী
-
ল্যাবরেটরী
-
সমাপ্তি
-
পোস্টমাস্টার
-
হৈমন্তী
-
ছুটি
-
দেনা পাওনা ইত্যাদি
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
‘জোহরা’ মুনীর চৌধুরী রচিত কোন নাটকের চরিত্র?
Created: 2 weeks ago
A
দণ্ডকারণ্য
B
চিঠি
C
রক্তাক্ত প্রান্তর
D
কবর
বাংলা নাট্যসাহিত্যে মুনীর চৌধুরী ছিলেন এক বিশিষ্ট নাট্যকার, যিনি বাস্তবতা, ইতিহাস ও মানবচেতনার সমন্বয়ে নাট্যরচনা করেছেন। তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ ইতিহাসনির্ভর হলেও এতে মানবজীবনের পরিবর্তন ও সংগ্রামের গভীর দার্শনিক তাৎপর্য ফুটে উঠেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ মুনীর চৌধুরী রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি রচিত হয়েছে মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনির অবলম্বনে।
-
এটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের (১৭৬১) ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত তিন অঙ্ক বিশিষ্ট নাটক।
-
যদিও এতে ঐতিহাসিক পটভূমি ব্যবহৃত হয়েছে, এটি ঐতিহাসিক নাটক নয়, বরং ইতিহাস-আশ্রিত নাটক।
-
নাটকের জনপ্রিয় সংলাপ—“মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়।”
উক্তিটি নাটকের চরিত্র নবাব সুজাউদ্দৌলা-র মুখে বলা হয়েছে। -
নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ: ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরণবালা প্রমুখ।
মুনীর চৌধুরী সম্পর্কে তথ্য:
-
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
-
তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর অন্যান্য মৌলিক নাটক:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
0
Updated: 2 weeks ago
১) মঙ্গলকাব্যের কবি নয় কে?
Created: 2 months ago
A
ঘনরাম চক্রবর্তী
B
জয়দেব
C
দ্বিজমাধম
D
মানিক দত্ত
মঙ্গলকাব্য
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনিকাব্য হিসেবে মঙ্গলকাব্যকে ধরা হয়। এটি দেবমাহাত্ম্য ও সমাজচিত্রভিত্তিক কাব্যের এক গুরুত্বপূর্ণ ধারা। ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতক থেকে আঠারো শতকের শেষ পর্যন্ত এই ধরনের কাব্য রচিত হয়েছে।
প্রায় সব মঙ্গলকাব্যের কবিই স্বপ্নে দেবতাদের নির্দেশ পেয়ে কাব্য রচনা করেছেন। মঙ্গলকাব্যের তিনটি প্রধান শাখা হলো—
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
ধর্মমঙ্গল
এ কাব্যের প্রধান দেবতা ও দেবীরা হচ্ছেন মনসা, চণ্ডী এবং ধর্মঠাকুর। এর মধ্যে মনসা ও চণ্ডী—এই দুই স্ত্রীদেবতার প্রাধান্য বেশি। মঙ্গলকাব্যের দেব-দেবীরা মূলত অনার্য সংস্কৃতির দেবতা।
একটি পূর্ণাঙ্গ মঙ্গলকাব্যে সাধারণত পাঁচটি অংশ থাকে—
-
বন্দনা
-
আত্মপরিচয়
-
দেবখণ্ড
-
মর্ত্যখণ্ড
-
শ্রুতিফল
মোট ৬২ জন মঙ্গলকাব্য কবির সন্ধান পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—
-
কানাহারি দত্ত
-
মানিক দত্ত
-
ভারতচন্দ্র
-
দ্বিজমাধব
-
ঘনরাম চক্রবর্তী
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারায় দ্বিজমাধবকে ‘স্বভাবকবি’ বলা হয়।
অন্যদিকে, জয়দেব মঙ্গলকাব্যের কবি নন; তিনি ছিলেন বৈষ্ণব পদাবলীর কবি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago