’নিগ্রো সাহিত্য’ প্রবন্ধের লেখক কে?
A
বদরুদ্দীন উমর
B
সেলিম আল দীন
C
আহমদ শরীফ
D
প্রমথ চৌধুরী
উত্তরের বিবরণ
‘নিগ্রো সাহিত্য’ সেলিম আল দীন রচিত একটি প্রবন্ধ, যা আমেরিকার কালো মানুষদের জীবন ও সাহিত্যকে কেন্দ্র করে লেখা। এটি তাঁর প্রথম বাংলা প্রবন্ধ এবং ১৯৬৮ সালে কবি আহসান হাবিব সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়।
সেলিম আল দীন আধুনিক বাংলা নাটকের অন্যতম প্রধান নাট্যকার হিসেবে খ্যাত। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল মইনুদ্দিন আহমেদ। তিনি ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনি জেলার সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে তাঁর প্রথম রেডিও নাটক বিপরীত তমসায় প্রচারিত হয় এবং ১৯৭০ সালে আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় তাঁর প্রথম টেলিভিশন নাটক লিব্রিয়াম (পরবর্তীতে ঘুম নেই) সম্প্রচারিত হয়।
১৯৮১–৮২ সালে নাট্য-নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফের সাথে তিনি বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার গঠন করেন, যার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের নাট্যশিল্পকে বিশ্বনাট্য ধারার সাথে সমাসীন করার প্রচেষ্টা চালান। ১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে তিনি এর প্রথম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রচনায় বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং তাদের সংস্কৃতি মহাকাব্যিক ব্যাপ্তি পেয়েছে। তিনি ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাট্যগ্রন্থ
-
সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য
-
বাসন
-
কেরামতমঙ্গল
-
কীর্তন খোলা
-
হাতহদাই
-
জুলান
-
শকুন্তলা
-
মুনতাসীর ফ্যান্টাসি
-
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
-
চাকা
-
যৈবতী কন্যার মন
-
হরগজ
-
নিমজ্জন
0
Updated: 1 month ago
‘যোগাযোগ’ উপন্যাসে কুমোদিনীর স্বামীর নাম কী?
Created: 1 month ago
A
নিখিলেস
B
অমিত
C
মধুসূদন
D
নবকুমার
সঠিক উত্তর হলো: গ) মধুসূদন
অন্যান্য অপশনের ব্যাখ্যা:
-
নিখিলেশ: তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘরে-বাইরে উপন্যাসের চরিত্র।
-
অমিত: তিনি শেষের কবিতা উপন্যাসের নায়ক।
-
নবকুমার: তিনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের চরিত্র।
যোগাযোগ উপন্যাস সম্পর্কিত আলোচনা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যোগাযোগ উপন্যাস প্রথমে তিন পুরুষ নামে বিচিত্রা মাসিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে উপন্যাসটির নামকরণ হয় যোগাযোগ। এই উপন্যাসে কুমোদিনীর স্বামীর নাম হলো মধুসূদন।
কাহিনিতে কুমোদিনী ও মধুসূদনের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক দ্বন্দ্ব, শ্রেণিগত বৈষম্য, ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা ও টানাপোড়েন ফুটে উঠেছে। শেষ পর্যন্ত কুমোদিনী দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় স্বামীর কাছে সমর্পিত হলেও তার ভেতরে এক বিদ্রোহী নারীর সত্তা স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
ঘরে-বাইরে
-
চোখের বালি
-
শেষের কবিতা
-
যোগাযোগ
-
নৌকাডুবি
-
গোরা
-
রাজর্ষি
-
চার অধ্যায়
0
Updated: 1 month ago
'সংশপ্তক' উপন্যাসটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৬৭ সালে
B
১৯৬১ সালে
C
১৯৬৫ সালে
D
১৯৬৩ সালে
‘সংশপ্তক’ শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত একটি মহাকাব্যিক উপন্যাস, যা ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। সংশপ্তক শব্দটি মহাভারত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ হলো সেই সৈনিকেরা যারা জীবন-মরণের পণ করে যুদ্ধ করে। উপন্যাসে হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবনযাপন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ ও সাম্প্রদায়িকতার মতো প্রেক্ষাপট উপস্থাপিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলোর মধ্যে আছে রাবেয়া খাতুন (রাবু), জাহেদ, সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান, রামদয়াল প্রমুখ।
শহীদুল্লাহ কায়সার ১৯২৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেনিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্ণ নাম ছিল আবু নঈম মহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি ছিলেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের সহোদর। তিনি সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও রাজনৈতিক জীবনে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্তমূলক গ্রন্থ হলো পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ, আর স্মৃতিকথামূলক রচনা রাজবন্দীর রোজনামচা, যা ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয়।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
-
কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
ভ্রমণবৃত্তান্ত
-
পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ
স্মৃতিকথা
-
রাজবন্দীর রোজনামচা
0
Updated: 1 month ago
জৈগুনের পুঁথি' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
ফকির গরীবুল্লাহ
B
সৈয়দ হামজা
C
শেখ ফয়জুল্লাহ
D
আমীর হামজা
সৈয়দ হামজা :
- সৈয়দ হামজা পুঁথি সাহিত্য ধারার অন্যতম কবি।
তাঁর গ্রন্থসমূহ হলো:
- জৈগুনের পুঁথি,
- হাতেম তাই ও
- আমির হামজা (দ্বিতীয় অংশ)।
উৎস:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা।
0
Updated: 1 month ago