সেলিনা হোসেন রচিত উপন্যাস কোনটি?
A
রাজসিংহ
B
শহরতলী
C
কন্যাকুমারী
D
গায়ত্রী সন্ধ্যা
উত্তরের বিবরণ
গায়ত্রী সন্ধ্যা সেলিনা হোসেন রচিত একটি ত্রয়ী উপন্যাস। একই শিরোনামে গ্রন্থটি তিন খণ্ডে প্রকাশিত হয় এবং এর পটভূমি ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত। দীর্ঘ আটাশ বছরের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট এতে প্রতিফলিত হয়েছে। এ উপন্যাসে জাতির ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং নারীর অবস্থানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর কথাসাহিত্যের মূল আখ্যান হলো অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং নারীমুক্তি। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার ও ফিলিপ্স সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
হাঙর নদী গ্রেনেড
-
মগ্ন চৈতন্যে শিস
-
যাপিত জীবন
-
চাঁদবেনে
-
পোকামাকড়ের ঘরবসতি
-
গায়ত্রী সন্ধ্যা
-
দীপান্বিতা
গল্পগ্রন্থ
-
উৎস থেকে নিরন্তর
-
খোলকরতাল
-
মুক্তিযুদ্ধের গল্প
শিশু-কিশোর উপযোগী রচনা
-
সাগর
-
বাংলা একাডেমী গল্পে বর্ণমালা
-
বর্ণমালার গল্প
-
জ্যোৎস্নার রঙে আঁকা ছবি
-
চাঁদের বুড়ির পান্তা ইলিশ
এছাড়া উল্লেখযোগ্য যে, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচনা করেছেন রাজসিংহ উপন্যাস, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন শহরতলী, এবং কন্যাকুমারী উপন্যাসের রচয়িতা রাশিদা আখতার।
0
Updated: 1 month ago
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পরিণীতা
B
বিলাসী
C
চন্দ্রনাথ
D
গৃহদাহ
বিলাসী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি ছোটগল্প। এ গল্পে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধাচারণ করা হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়-বিলাসীর বিয়ে সংঘটনের মাধ্যমে। বিলাসী গল্পের ‘ন্যাড়া’ চরিত্রের মধ্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর নিজের ছায়াপাত ঘটিয়েছেন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কিত তথ্য
-
তিনি ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর প্রথম উপন্যাস বড়দিদি (১৯০৭) ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম মন্দির।
-
তিনি ‘মন্দির’ গল্পের জন্য ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
-
তাঁর রাজনৈতিক উপন্যাস পথের দাবী (১৯২৬) ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত ছোটগল্প
-
মহেশ
-
বিলাসী
-
সতী
-
মামলার ফল
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত উপন্যাস
-
দেনা-পাওনা
-
বড়দিদি
-
বিরাজবৌ
-
পণ্ডিতমশাই
-
পরিণীতা
-
চন্দ্রনাথ
-
দেবদাস
-
চরিত্রহীন
-
গৃহদাহ
-
পথের দাবী
-
শেষ প্রশ্ন
-
শেষের পরিচয়
0
Updated: 1 month ago
গদ্যপদ্যে মিশ্রিত কাব্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
B
সেক শুভোদয়া
C
চৈতন্যভাগবত
D
মহাভারত
‘সেক শুভোদয়া’ অন্ধকার যুগের একটি উল্লেখযোগ্য সাহিত্য নিদর্শন। এটি পীর মাহাত্ম্য ব্যঞ্জক চম্পুকাব্য, যেখানে গদ্য ও পদ্য একসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। গ্রন্থটিতে ধর্মীয় কাহিনির পাশাপাশি ভাষার প্রাচীন বৈশিষ্ট্যও প্রকাশ পেয়েছে।
-
হলায়ুধ মিশ্র ‘সেক শুভোদয়া’ রচনা করেন। এটি সংস্কৃত গদ্যপদ্যে রচিত চম্পুকাব্য।
-
এখানে অশুদ্ধ বাংলা ও ভুল সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায় বলে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় একে dog Sanskrit বলেছেন।
-
ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের মতে, ‘সেক শুভোদয়া’ খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকের গোড়ার দিকের রচনা।
-
কাহিনি অনুসারে অলৌকিক শক্তিধর মুসলমান শেখ জালালুদ্দীন তাবরেজি রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভায় গল্পটি পরিবেশন করেন।
-
গ্রন্থে বহু বাংলা ছড়া ও বাগধারা ব্যবহৃত হয়েছে।
-
এতে মোট ২৫টি অধ্যায় আছে। ১৩২০-২১ বঙ্গাব্দে মণীন্দ্রমোহন বসু ১৩টি পরিচ্ছেদ বঙ্গানুবাদসহ ‘কায়স্থ’ পত্রিকায় প্রকাশ করেন।
-
১৩৩৪ বঙ্গাব্দে সুকুমার সেন গ্রন্থটির সম্পাদনা করে প্রথম মুদ্রণ করেন।
অন্যদিকে:
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বড়ুচণ্ডীদাস রচিত রাধাকৃষ্ণের প্রণয়কথাভিত্তিক আখ্যানকাব্য।
-
চৈতন্যভাগবত (১৫৪৬-১৫৫০) বৃন্দাবন দাসের রচনা এবং এটি বাংলায় চৈতন্যদেবের জীবনীমূলক প্রথম কাব্য।
-
মহাভারত সংস্কৃত ভাষায় রচিত ভারতের প্রাচীন মহাকাব্য, যার রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস।
0
Updated: 1 month ago
শাহ মুহম্মদ সগীর কোন সুলতানের রাজত্বকালে ইউসুফ-জোলেখা কাব্য রচনা করেন?
Created: 1 month ago
A
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
B
ইলিয়াস শাহ
C
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
D
গিয়াসউদ্দিন নুসরত শাহ
• শাহ মুহম্মদ সগীর:
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম মুসলিম কবি। তিনি ইউসুফ-জোলেখা কাব্যের রচয়িতা। তার কর্মকাল ছিল গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের (১৩৮৯-১৪১০ খ্রিস্টাব্দ) শাসনকালে।
• ইউসুফ-জোলেখা কাব্য:
-
এটি শাহ মুহম্মদ সগীর রচিত একটি কাহিনি কাব্যগ্রন্থ।
-
কাব্যটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম উদাহরণ।
-
কবি কাব্যের রাজবন্দনা অংশে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি সুলতান গিয়াসউদ্দিনের আজ্ঞাপালক সভাকবি হিসেবে কাজ করেছেন।
উক্তি (রাজবন্দনা অংশ থেকে):
"মনুষ্যের মৈদ্ধে জেহ্ন ধর্ম অবতার।
মহা নরপতি গ্যেজন পিরথিম্বীর সার।"
• অনুবাদকর্ম:
শাহ মুহম্মদ সগীর পারস্যের জামী রচিত 'ইউসুফ জুলেখা' কাব্যের বাংলা অনুবাদ করেন। এটি ইউসুফ-জোলেখা ধারার আদি গ্রন্থ।
• উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বাইবেল না পড়েও, কোরান ও ফেরদৌসির সূত্র থেকে তিনি কাহিনির বুনিয়াদ নেন।
-
পরবর্তীতে আরও অনেক মধ্যযুগের কবি ইউসুফ জুলেখা নামের কাব্য রচনা করেন, যেমন: আব্দুল হাকিম ও শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ।
-
তবে এ ধারার প্রথম কাব্য রচনা করেন শাহ মুহম্মদ সগীরই।
0
Updated: 1 month ago