’কৃশানু’’ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
A
কৃষক
B
অগ্নি
C
চুল
D
বংশ
উত্তরের বিবরণ
কৃশানু
এটি একটি বিশেষ্য পদ,
অর্থ:
- অগ্নি;
- অনল.
- আগুন।
• অগ্নি শব্দের সমার্থক শব্দ:
- অনল, বহ্নি, পাবক, হুতাশন, বৈশ্বানর, জ্বলন, কৃশানু, শিখাবৎ, শিখিন, বায়ুসখা, হুতভুক, শুচি, পিঙল, বিশ্বপা, হিমারাতি, বায়ুসখ, অনিলসখ, জগন্নু, সর্বভুক ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতি প্রতিষ্ঠায় কোন পত্রিকার নাম স্মরণীয়?
Created: 2 weeks ago
A
কল্লোল
B
সবুজপত্র
C
সংবাদ প্রভাকর
D
সমকাল
বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতির প্রচলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা। এটি ছিল বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক আন্দোলনের সূচনা কেন্দ্র, যা ভাষার রূপান্তর ও আধুনিকতার পথে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
সবুজপত্র সম্পর্কে মূল তথ্যসমূহ:
-
সম্পাদক: প্রমথ চৌধুরী
-
প্রথম প্রকাশ: ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে, বাংলা ১৩২১ সালের বৈশাখ মাসে
-
গুরুত্ব: বাংলা গদ্যরীতির বিকাশে এই পত্রিকার ভূমিকা অনন্য।
-
অবদান: সাধু গদ্যরীতির পরিবর্তে চলিত গদ্যরীতি প্রচলন ও প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষাকে করে তোলে আরও স্বাভাবিক ও সাবলীল।
-
রবীন্দ্রনাথের সম্পৃক্ততা: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে চলিত রীতির সহজতা ও স্বাচ্ছন্দ্য অনুধাবন করেন এবং পরবর্তীতে তাঁর লেখাতেও এই রীতির ব্যবহার দেখা যায়।
-
প্রভাব: সাহিত্য অঙ্গনে ‘সবুজপত্র গোষ্ঠী’ নামে একটি প্রভাবশালী সাহিত্যিক গোষ্ঠীর জন্ম দেয়, যা বাংলা সাহিত্যের আধুনিক ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
0
Updated: 2 weeks ago
'প্রাতরাশ'-এর সন্ধি-
Created: 3 months ago
A
প্রাত + রাশ
B
প্রাতঃ + রাশ
C
প্রাতঃ + আশ
D
প্রাত + আশ
• বিসর্গসন্ধির নিয়ম:
অন্তঃ, পুনঃ, প্রান্তঃ ইত্যাদির পর স্বরধ্বনি থাকলে সন্ধির ফলে বিসর্গ র হয়ে পরবর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়।
যেমন:
- অন্তঃ + অঙ্গ = অন্তরঙ্গ,
- প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ,
- অন্তঃ + আত্মা = অন্তরাত্মা,
- অন্তঃ + ইত = অন্তরিত,
- অন্তঃ + ইন্দ্রিয় = অন্তরিন্দ্রিয়,
- অন্তঃ + ঈক্ষ = অন্তরীক্ষ,
- অন্তঃ+ ঈপ = অন্তরীপ,
- পুনঃ + উত্থান = পুনরুত্থান,
- পুনঃ+ উক্তি = পুনরুক্তি,
- পুনঃ + অধিকার = পুনরধিকার।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 3 months ago
অনুকার দ্বিত্বের উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
চকচক
B
থকথকে
C
লুচিফুচি
D
ভটভট
বাংলা ভাষায় অনুকার দ্বিত্ব হলো এমন শব্দ গঠন যেখানে পরপর দুটি কাছাকাছি চেহারার শব্দ ব্যবহৃত হয়। এতে প্রথম শব্দটি সাধারণত অর্থপূর্ণ হলেও, দ্বিতীয় শব্দটি প্রায়শই অর্থহীন হয়ে থাকে এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়। দ্বিতীয় শব্দের শুরুতে ট, ফ, ব, ম, শ ইত্যাদি ধ্বনি যুক্ত হয়ে শব্দকে খানিকটা অনির্দিষ্ট, সাধারণ বা গুরুত্বহীন করে।
-
উদাহরণ: অঙ্ক-টঙ্ক, অল্পসল্প, কেক-টেক, কচর-মচর, চাকর-বাকর, ছাগল-টাগল, ঝাল-টাল, হেন-তেন, লুচিফুচি, আগড়ম-বাগড়ম, এলোমেলো, ব্যাপার-স্যাপার, বুঝে-সুঝে
অনুকার দ্বিত্বে অনেক সময় স্বরের পরিবর্তনও ঘটে।
-
উদাহরণ: আড়াআড়ি, ঘোরাঘুরি, চুপচাপ, ঠেকাঠেকি, তাড়াতাড়ি, দলাদলি, দামাদামি, পাকাপাকি, বাড়াবাড়ি, মোটামুটি, ধারধোর
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের উদাহরণ:
চকচক, থকথকে, ভটভট
উৎস:
0
Updated: 1 month ago