ইমেইল ক্লায়েন্টে মেইল সার্ভার থেকে ইমেইল গ্রহণ করতে কোন প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়?
A
SMTP
B
HTTP
C
POP3
D
SFTP
উত্তরের বিবরণ
POP3, SMTP, HTTP এবং SFTP বিভিন্ন প্রোটোকল যা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং ইমেইল ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়। POP3 বিশেষভাবে ইমেইল গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ই-মেইল (E-mail):
-
১৯৭১ সালে আরপানেটের মাধ্যমে প্রথম ইমেইল সিস্টেম চালু করেন রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিসন।
-
ই-মেইল হলো একজন প্রেরকের কাছ থেকে এক বা একাধিক প্রাপকের কাছে বার্তা বা ডিজিটাল মেসেজ পাঠানোর নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
-
ই-মেইল ঠিকানায় @ চিহ্ন থাকা আবশ্যক।
-
একটি ই-মেইল ঠিকানা ইউজার আইডি এবং ডোমেইন নেম নিয়ে গঠিত। যেমন: abc@gmail.com, এখানে @-এর পূর্বে ইউজার আইডি এবং @-এর পরে ডোমেইন নেম।
-
ই-মেইল সার্ভারে POP, IMAP এবং SMTP প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়।
POP (Post Office Protocol):
-
ব্যবহারকারীর কাছে আসা মেইলগুলোকে ইনকামিং মেইল বলা হয়।
-
POP ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর মেইল ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়।
-
সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রোটোকল হলো POP3, যা সার্ভার থেকে ইমেইল ডিভাইসে ডাউনলোড করে এবং সাধারণত ডাউনলোডের পরে সার্ভার থেকে মুছে ফেলে।
-
সুবিধা: একবার ডাউনলোড করা ইমেইল অফলাইনেও পড়া যায়।
SMTP (Simple Mail Transfer Protocol):
-
ইমেইল প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত প্রোটোকল।
-
এটি মেইল সার্ভার থেকে অন্য সার্ভারে বা ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে ইমেইল পাঠায়।
HTTP (HyperText Transfer Protocol):
-
ওয়েব ব্রাউজারে ওয়েব পেজ প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
ওয়েব সার্ভার থেকে ডেটা (যেমন HTML, ছবি, ভিডিও) পুনরুদ্ধার করতে HTTP ব্যবহৃত হয়।
SFTP (SSH File Transfer Protocol):
-
নিরাপদ ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল।
-
SSH (Secure Shell) প্রোটোকলের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
-
ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়, ইমেইলের জন্য নয়।
0
Updated: 1 month ago
একটি কম্পিউটারের প্রোসেসর ক্লক স্পিড ৪.০০ গিগা হার্জ হলে এর ক্লক মাইকেল টাইম কত?
Created: 1 month ago
A
২.৫ ন্যানো সেকেন্ড (ns)
B
২.৫ মাইক্রো সেকেন্ড (ms)
C
৪ (ms)
D
৪ (ns)
একটি কম্পিউটারের প্রসেসর ক্লক স্পিড 4.00 GHz হলে তার Clock Cycle Time কত হবে।
প্রদত্ত ক্লক স্পিড:
-
f = 4.00 GHz = 4.00 × 10⁹ Hz
ক্লক পিরিয়ড (Clock Cycle Time) নির্ণয়ের সূত্র:
-
T = 1 / f
-
T = 1 / (4.00 × 10⁹) seconds
হিসাব:
-
T = 0.25 × 10⁻⁹ s = 0.25 ns
লক্ষ্যযোগ্য বিষয়:
-
প্রকৃত Clock Cycle Time হলো 0.25 ns
-
কিন্তু প্রশ্নে প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কাছাকাছি মান এসেছে 2.5 ns।
-
এতে বোঝা যাচ্ছে, প্রশ্নে হয়তো টাইপো হয়েছে অথবা স্পিড আসলে 400 MHz ধরা হয়েছিল।
Clock Speed (ক্লক স্পিড):
-
Clock Speed হলো প্রসেসরের কাজ করার গতি, অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে কতগুলো Cycle সম্পন্ন করতে পারে।
-
সাধারণত এটি GHz (Gigahertz) বা MHz (Megahertz) এ প্রকাশ করা হয়।
-
Clock Speed যত বেশি হবে, প্রসেসর তত দ্রুত instruction execution করতে পারবে।
-
তবে শুধু Clock Speed বেশি হওয়াই যথেষ্ট নয়, processor architecture এবং number of cores-ও পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব ফেলে।
Clock Cycle Time (ক্লক সাইকেল টাইম):
-
Clock Cycle Time হলো একটি Clock Cycle সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে।
-
এটি সাধারণত nanosecond (ns) এ মাপা হয়।
-
Clock Speed এবং Clock Cycle Time একে অপরের বিপরীত অনুপাতিক। অর্থাৎ, Speed বাড়লে Cycle Time কমে যাবে।
-
উদাহরণস্বরূপ, যদি Clock Speed হয় 2 GHz, তবে Cycle Time হবে প্রায় 0.5 ns।
-
তাই প্রসেসরের পারফরম্যান্স বোঝার জন্য উভয়কেই বিবেচনা করতে হয়।
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক কম্পিউটারের জনক (Father of Modern Computer) কে?
Created: 1 month ago
A
চার্লস ব্যাবেজ
B
অ্যালান টুরিং
C
জন ভন নিউম্যান
D
হাওয়ার্ড আইকেন
আধুনিক কম্পিউটার ও চার্লস ব্যাবেজ
-
আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশের সূচনা করেন চার্লস ব্যাবেজ, একজন ইংরেজ প্রকৌশলী ও গণিতবিদ।
-
চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
-
তিনি তৈরি করেছিলেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন, যা গণনার জন্য প্রাথমিক যন্ত্র।
-
তাঁর পরিকল্পিত Analytical Engine ছিল গণনার কাজকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পাদনের ধারণা, যা আধুনিক কম্পিউটারের মূল ভিত্তি।
-
১৮৩৩ সালে অ্যাডা লাভলেস (কবি লর্ড বায়রনের কন্যা) চার্লস ব্যাবেজের Analytical Engine-এর কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য প্রোগ্রামিং ধারণা উদ্ভাবন করেন।
-
এই কারণে অ্যাডা লাভলেসকে প্রোগ্রামিং-এর প্রবর্তক হিসেবে সম্মান দেওয়া হয়।
-
১৯৯১ সালে, লন্ডনের বিজ্ঞান জাদুঘরে চার্লস ব্যাবেজের বর্ণনার ভিত্তিতে একটি ইঞ্জিন তৈরি করা হয়।
-
১৮৪২ সালে, চার্লস ব্যাবেজ তুরিন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ইঞ্জিনের বিষয়ে বক্তৃতা দেন।
0
Updated: 1 month ago
“ওয়েব হোস্টিং” বলতে সাধারণত কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
ওয়েবসাইট দেখা
B
ওয়েবসাইটের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন করা
C
HTML ব্যবহার করে ওয়েব পৃষ্ঠা তৈরি করা
D
সার্ভারে ফাইল রাখার জন্য স্পেস ভাড়া নেওয়া
ওয়েব হোস্টিং হলো এমন একটি পরিষেবা যেখানে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটের ফাইল—যেমন HTML, CSS, ইমেজ, ভিডিও ইত্যাদি—একটি সার্ভারে সংরক্ষণ করে রাখে। সার্ভারটি ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় ব্যবহারকারীরা একটি ওয়েব ঠিকানা (URL) ব্যবহার করে সহজেই সাইটটি দেখতে পারে। সহজভাবে বলা যায়, ওয়েব হোস্টিং হলো সার্ভারে স্পেস ভাড়া নেওয়া, যাতে একটি ওয়েবসাইট অনলাইনে সক্রিয় থাকে এবং দর্শকরা সহজে অ্যাক্সেস করতে পারে। ওয়েবসাইট চালানোর জন্য এটি একটি অত্যাবশ্যক ধাপ, কারণ ওয়েব হোস্টিং ছাড়া কোনো ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
সঠিক উত্তর: ঘ) সার্ভারে ফাইল রাখার জন্য স্পেস ভাড়া নেওয়া
-
WWW (World Wide Web):
-
WWW এর পূর্ণরূপ হলো World Wide Web।
-
এটি সুইজারল্যান্ডের গবেষকদের দ্বারা উদ্ভাবিত একটি হাইপারটেক্সট ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড ইনফরমেশন সিস্টেম।
-
WWW হলো একটি বৃহৎ সিস্টেম, যা অনেকগুলো সার্ভারের সংযোগে গঠিত।
-
টিম বার্নার্স-লি ১৯৮৯ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় WWW তৈরি করেন।
-
টিম বার্নার্স-লি’কে WWW এর জনক বলা হয়।
-
CERN (The European Organization for Nuclear Research)-এ ১৯৮৯ সালে WWW-এর সূচনা হয়।
-
WWW-এর ব্যাপক প্রচলন শুরু হয় ১৯৯৩ সালে।
-
0
Updated: 1 month ago