এক নটিক্যাল মাইল হলো সমুদ্রপথ বা বিমান চলাচলের জন্য ব্যবহৃত দূরত্বের একটি মানদণ্ড, যা ভূগোল এবং নৌপথে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত পৃথিবীর অক্ষাংশ অনুযায়ী নির্ধারিত। এক নটিক্যাল মাইল সাধারণ মিটার বা কিলোমিটারের থেকে আলাদা, কারণ এটি পৃথিবীর পরিধি এবং অক্ষাংশের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত। নটিক্যাল মাইল ব্যবহার করা হয় মূলত নৌযান ও বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে, যাতে দূরত্ব এবং অবস্থান নির্ধারণে নির্ভুলতা বজায় থাকে।
এক নটিক্যাল মাইলের মান ১৮৫৩.১৮ মিটার হিসেবে নির্ধারিত। এটি কেবলমাত্র প্রায় ১৮৫৩ মিটারের সমান নয়, বরং আরও সূক্ষ্মভাবে ১৮৫৩.১৮ মিটার। এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণ হলো পৃথিবীকে একটি নিখুঁত বৃত্ত নয়, বরং একটি অ্যাঞ্জুলার বা গোলাকার আকারের বস্তুর মতো বিবেচনা করা হয়, যার অক্ষাংশের দৈর্ঘ্য একরকম নয়।
নটিক্যাল মাইলের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
এক নটিক্যাল মাইলকে ভূগোলিক কোঅর্ডিনেটের একটি অক্ষাংশের ১ মিনিটের সমান দূরত্ব হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। মানে, পৃথিবীর অক্ষাংশে ১° = ৬০ মিনিট, এবং সেই ১ মিনিটের দূরত্বই এক নটিক্যাল মাইল।
-
এটি সমুদ্র এবং আকাশপথে ব্যবহৃত স্ট্যান্ডার্ড ইউনিট। সাধারণ মিটার বা কিলোমিটারের তুলনায় নটিক্যাল মাইল নির্ভুল অবস্থান ও দূরত্ব নির্ণয়ে উপযোগী।
-
নটিক্যাল মাইলের নির্ধারিত মান ১৮৫৩.১৮ মিটার, যা নৌচলাচল এবং বিমান চলাচলের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
-
এই দূরত্ব ব্যবহার করে নেভিগেশন চার্ট, এয়ার ট্রাফিক প্ল্যানিং, এবং সাগরপথের মানচিত্রে দূরত্ব নির্ণয় করা হয়, যাতে যাত্রা নির্ভুল ও নিরাপদ হয়।
-
নটিক্যাল মাইলের কারণে দূরত্বের হিসাবগুলো ভৌগোলিক কোঅর্ডিনেটের সাথে সঠিকভাবে মেলানো যায়, যা সাধারণ কিলোমিটার বা মিটার ব্যবহার করলে সম্ভব নয়।
সংক্ষেপে, নটিক্যাল মাইলের ব্যবহার নৌ এবং বিমান চলাচলে দূরত্ব ও অবস্থান নির্ধারণে অপরিহার্য। এটি মিটার বা কিলোমিটারের চেয়ে বেশি নির্ভুলতা প্রদান করে, কারণ এটি সরাসরি পৃথিবীর অক্ষাংশের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী সংজ্ঞায়িত। সুতরাং, এক নটিক্যাল মাইলের সঠিক মান হলো ১৮৫৩.১৮ মিটার, যা শুধুমাত্র সমুদ্রপথ বা আকাশপথের জন্য নয়, ভূগোল ও নেভিগেশনের জন্যও অপরিহার্য।