A
প্লীহা
B
বৃক্ক
C
থাইরয়েড গ্রন্থি
D
যকৃত
উত্তরের বিবরণ
যকৃত মানবদেহের সর্ববৃহৎ গ্রন্থি এবং এটি দেহের বিষাক্ত পদার্থ নির্মূল, পিত্তরস উৎপাদন এবং বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। যকৃতে ঘটে এমন জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে একে রসায়ন গবেষণাগার বলা হয়।
অবস্থান ও ওজন:
-
মধ্যচ্ছদার নিচে, উদরগহ্বরের উপরে, পাকস্থলীর ডান পাশে অবস্থিত।
-
দেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি হিসেবে প্রায় ১.৫ কেজি ওজন ধারণ করে।
-
যকৃতের ডান খণ্ড বাম খণ্ড থেকে আকারে কিছুটা বড়।
যকৃতের প্রধান কাজ:
-
পিত্তরস উৎপাদন: খাদ্য হজমে, বিশেষ করে চর্বি হজমে সাহায্য করে।
-
ডিটক্সিফিকেশন: রক্ত থেকে ক্ষতিকর পদার্থ যেমন অ্যামোনিয়া ও ওষুধ ফিল্টার করে দেহকে বিষমুক্ত রাখে।
-
প্রোটিন সংশ্লেষণ: রক্তের প্লাজমা প্রোটিন (যেমন অ্যালবুমিন) এবং রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাক্টর তৈরি করে।
-
শর্করা নিয়ন্ত্রণ: গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন হিসেবে জমা করে এবং প্রয়োজনে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে।
-
ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সংরক্ষণ: ভিটামিন এ, বি১২, ডি এবং আয়রন সঞ্চয় করে রাখে।
অন্যান্য গ্রন্থি (যকৃতের তুলনায় ছোট):
-
প্লীহা (Spleen): লিম্ফ্যাটিক অঙ্গ, পুরানো লোহিত রক্তকণিকা ভাঙে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
-
বৃক্ক (Kidney): রক্ত পরিশোধক, মূত্র তৈরি করে।
-
থাইরয়েড গ্রন্থি (Thyroid gland): অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি, বিপাক, বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হরমোন তৈরি করে।

0
Updated: 12 hours ago
থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিজনিত রোগের চিকিৎসায় কোন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহৃত করা হয়?
Created: 1 week ago
A
আয়োডিন-১৩১
B
কোবাল্ট-৬০
C
কার্বন-১৪
D
ফসফরাস-৩২
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার:
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহার:
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের প্রধানত দুটি ব্যবহার আছে:
রোগ নিরাময়ে
রোগ বা রোগাক্রান্ত স্থান নির্ণয়
শরীরের কোন স্থানে ক্যান্সার টিউমার উপস্থিত আছে তা নির্ণয় করা যায়।
নিরাময়ের জন্য 60Co থেকে নির্গত গামা রশ্মি ব্যবহার করে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ ধ্বংস করা হয়।
থাইরয়েড গ্রন্থি বা এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধিজনিত রোগের চিকিৎসায় আয়োডিন-131 (¹³¹I) ব্যবহৃত হয়। এটি থাইরয়েড কোষের অতিরিক্ত বৃদ্ধি প্রতিহত করে।
শ্বেতকণিকা বৃদ্ধি জনিত রক্তাল্পতা (blood-leukemia) রোগের চিকিৎসায় ফসফরাস-৩২ (³²P) এর ফসফেট ব্যবহার করা হয়।
দেহের হাড় বেড়ে যাওয়া বা কোথায় ব্যথা হচ্ছে তা নির্ণয় করতে 99mTc (Technetium) আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
প্লুটোনিয়াম-২৩৮ হার্টে পেইসমেকার বসানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
উৎস: রসায়ন, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
মানুষের লালায় কোন ধরনের এনজাইম থাকে?
Created: 1 week ago
A
লাইপেজ
B
টায়ালিন
C
ট্রিপসিন
D
গ্লুকাগন
খাদ্য পরিপাক ক্রিয়া:
খাদ্য পরিপাক হলো সেই জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে মানুষের পৌষ্টিক নালিতে জটিল, অদ্রবণীয় ও অশোষণযোগ্য খাদ্য উপাদানগুলো নির্দিষ্ট উৎসেচক (এনজাইম) এবং প্রাণরস/হরমোনের উপস্থিতিতে শোষণযোগ্য এবং দ্রবণীয় সরল উপাদানে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রথমে সরল দ্রবণীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হয়, পরে কোষ আবরণের মাধ্যমে কোষের ভিতরে প্রবেশ করে।
শেষপর্যায়ে রক্ত এই পরিপাককৃত উপাদানগুলোকে দেহের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করে।
মুখে পরিপাক:
মুখগহ্বরে দাঁত ও জিহ্বার সাহায্যে খাদ্য চিবিয়ে ছোট ছোট টুকরো করা হয়।
এ সময় লালাগ্রন্থি থেকে লালা নিঃসৃত হয়ে খাদ্যের সাথে মিশে গলাধঃকরণ সহজ করে।
লালায় টায়ালিন (Salivary amylase) নামক উৎসেচক থাকে, যা শর্করা হজমের প্রাথমিক ধাপে সহায়তা করে।
শ্বেতসারকে মলটোজে পরিণত করে।
মুখগহ্বরে আমিষ বা স্নেহজাতীয় খাদ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না।
খাদ্যদ্রব্য পেরিস্টালসিস (Peristalsis) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্ননালির মধ্য দিয়ে পাকস্থলীতে যায়।
অন্ননালিতে খাদ্যের কোনো পরিপাক ঘটে না।
অন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎসেচক ও হরমোন:
ট্রিপসিন (Trypsin): প্রোটিন হজমকারী এনজাইম।
লাইপেজ (Lipase): চর্বি হজমকারী এনজাইম।
গ্লুকাগন (Glucagon): লিভারে গ্লুকোজ উৎপাদনে সাহায্যকারী হরমোন।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago