কোন ধরনের শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না?
A
তৎসম শব্দে
B
সমাসবদ্ধ শব্দে
C
তদ্ভব শব্দে
D
যৌগিক শব্দে
উত্তরের বিবরণ
ণ-ত্ব বিধান
-
তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মকে বলে ণ-ত্ব বিধান।
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে ‘ণ’ হয় → কণ্ঠ, বণ্টন।
-
ঋ, র, ষ-এর পরে ‘ণ’ হয় → শরণ, লক্ষ্ণী।
-
সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ‘ণ’ হয় না → ত্রিনয়ন, সর্বনাম।
-
ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে ‘ণ’ হয় না → অন্ত, গ্রন্থ।
-
দেশি, তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে ‘ণ’ হয় না → কান, বন, লন্ডন।
0
Updated: 1 month ago
'পুষ্পসৌরভ' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
তৎপুরুষ
B
কর্মধারয়
C
অব্যয়ীভাব
D
বহুব্রীহি
ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
যখন পূর্বপদের “র/এর” বিভক্তি weg掉 (লুপ্ত) হয়ে পরের পদে যুক্ত হয়, তখন যে সমাস গঠিত হয় তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে।
🔹 যেমন:
-
পুষ্পের সৌরভ → পুষ্পসৌরভ (ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস)
আরও কিছু উদাহরণ
-
ছাগীর দুগ্ধ → ছাগদুগ্ধ
-
গৃহের কর্তা → গৃহকর্তা
-
অশ্বের পদ → অশ্বপদ
-
চায়ের বাগান → চাবাগান
-
রাজার পুত্র → রাজপুত্র
-
খেয়ারের ঘাট → খেয়াঘাট
এগুলো ছাড়াও জনগণ, ছাত্রসমাজ, দেশসেবা, বিড়ালছানা ইত্যাদিও ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্গত।
উৎস: ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 1 month ago
'আলোছায়া' পদটি কোন সমাসের অন্তর্গত?
Created: 2 months ago
A
দ্বন্দ্ব সমাস
B
অব্যয়ীভাব সমাস
C
তৎপুরুষ সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
দ্বন্দ্ব শব্দের সাধারণ অর্থ হলো সংঘাত বা বিবাদ। কিন্তু সমাসশাস্ত্রে দ্বন্দ্বের অর্থ “মিলন, জোড়া বা যুগল” বোঝায়। অর্থাৎ যে সমাসে সংযুক্ত প্রত্যেক পদের গুরুত্ব সমান থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
জায়া + পতি = দম্পতি
-
ক্ষুধা + পিপাসা = ক্ষুৎপিপাসা
-
আলো + ছায়া = আলোছায়া
লক্ষ্য করুন, এই সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সম্পর্ক বোঝাতে সাধারণত ‘ও’, ‘এবং’, ‘আর’-এর মতো সংযোজক ব্যবহার করা হয়।
দ্বন্দ্ব সমাসের প্রধান প্রকার:
-
মিলনার্থক দ্বন্দ্ব
-
বিরোধার্থক দ্বন্দ্ব
-
বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব
-
অঙ্গবাচক দ্বন্দ্ব
-
বহুপদবিশিষ্ট দ্বন্দ্ব
-
সংখ্যাবাচক দ্বন্দ্ব
-
সমার্থক দ্বন্দ্ব
-
একশেষ দ্বন্দ্ব
-
অলুক দ্বন্দ্ব
-
নিপাতনে সিদ্ধ দ্বন্দ্ব
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 2 months ago
'নীলাম্বর' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 weeks ago
A
বহুব্রীহি সমাস
B
অব্যয়ীভাব সমাস
C
তৎপুরুষ সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
কর্মধারয় সমাস হলো এমন সমাস যেখানে একটি বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদ এবং একটি বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদ একত্রিত হয় এবং সমাসের অর্থে পরের পদটি প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়। এতে প্রথম পদটি মূলত দ্বিতীয় পদটিকে বর্ণনা করে।
উদাহরণসমূহ:
-
নীল যে অম্বর = নীলাম্বর
-
নীল যে আকাশ = নীলাকাশ
-
নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম
-
রক্ত যে কমল = রক্তকমল
0
Updated: 2 weeks ago