কোন ধরনের শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না?
A
তৎসম শব্দে
B
সমাসবদ্ধ শব্দে
C
তদ্ভব শব্দে
D
যৌগিক শব্দে
উত্তরের বিবরণ
ণ-ত্ব বিধান
-
তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মকে বলে ণ-ত্ব বিধান।
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে ‘ণ’ হয় → কণ্ঠ, বণ্টন।
-
ঋ, র, ষ-এর পরে ‘ণ’ হয় → শরণ, লক্ষ্ণী।
-
সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ‘ণ’ হয় না → ত্রিনয়ন, সর্বনাম।
-
ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে ‘ণ’ হয় না → অন্ত, গ্রন্থ।
-
দেশি, তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে ‘ণ’ হয় না → কান, বন, লন্ডন।
0
Updated: 1 month ago
'মনগড়া' - কোন সমাস?
Created: 2 weeks ago
A
কর্মধারয় সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
নিত্য সমাস
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস এমন এক ধরনের সমাস, যেখানে পূর্বপদে থাকা তৃতীয়া বিভক্তি (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপ পায়। অর্থাৎ, দুটি পদ একত্রিত হয়ে নতুন একটি শব্দ তৈরি করে, তবে বিভক্তিচিহ্ন আর থাকে না। এই সমাসে ক্রিয়ার সঙ্গে করণ বা উপায়ের সম্পর্ক বোঝায়।
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাসের সংজ্ঞা:
-
পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (যেমন— দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস গঠিত হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
মন দিয়ে গড়া → মনগড়া
-
শ্রম দ্বারা লব্ধ → শ্রমলব্ধ
-
মধু দিয়ে মাখা → মধুমাখা
ব্যাখ্যা:
উপরের উদাহরণগুলোয় দেখা যায়, বিভক্তি “দিয়ে” বা “দ্বারা” বাদ দিয়ে দুটি শব্দ যুক্ত হয়েছে। এর ফলে নতুন শব্দ সৃষ্টি হয়েছে, যা মূল বাক্যের ভাব বজায় রেখেছে কিন্তু গঠনগতভাবে সংক্ষিপ্ত হয়েছে।
0
Updated: 2 weeks ago
'চৌরাস্তা' - শব্দটি কোন সমাস?
Created: 3 weeks ago
A
কর্মধারায়
B
উপপদ তৎপুরুষ
C
দ্বিগু
D
সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি
দ্বিগু সমাস:
যে সমাসে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদ যুক্ত হয়ে সমষ্টি বা মিলনের অর্থ প্রকাশ করে, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাসে সমাসফল পদটি সাধারণত বিশেষ্য পদ হয়।
উদাহরণ:
-
তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল
-
চৌরাস্তার সমাহার = চৌরাস্তা
-
তিন মাথার সমাহার = তেমাথা
-
শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী ইত্যাদি
0
Updated: 3 weeks ago
"মনমাঝি" শব্দটি কোন সমাস?
Created: 2 weeks ago
A
উপমান কর্মধারয়
B
উপমিত কর্মধারয়
C
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
D
রূপক কর্মধারয়
রূপক কর্মধারয় সমাস এমন এক ধরনের সমাস যেখানে উপমেয় পদের সঙ্গে উপমান পদের অভেদ কল্পনা করা হয়। অর্থাৎ, তুলনার মাধ্যমে দুটি বস্তুকে এক করে দেখা হয়। এই কারণে একে রূপক কর্মধারয় বলা হয়। এতে তুলনাটি সরাসরি নয়, বরং কল্পনানির্ভর ও অর্থগভীর হয়।
-
রূপক কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ:
-
বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু
-
মন রূপ মাঝি = মনমাঝি
-
অন্যদিকে, কর্মধারয় সমাসের আরও কিছু বিশেষ প্রকার রয়েছে, যেগুলোর গঠন ও অর্থে পার্থক্য দেখা যায়।
-
উপমান কর্মধারয় সমাস:
যার সঙ্গে তুলনা করা হয়, সেই পদকে উপমান বলে। কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমান পদের সঙ্গে গুণবাচক শব্দের সমাস ঘটে, একে উপমান কর্মধারয় বলে।
উদাহরণ: কাজলের মতো কালো = কাজলকালো -
উপমিত কর্মধারয় সমাস:
যাকে তুলনা করা হয়, তাকে উপমেয় বলে। কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমেয় পদের সঙ্গে উপমান পদের সমাস ঘটে, একে উপমিত কর্মধারয় বলা হয়।
উদাহরণ: পুরুষ সিংহের ন্যায় = সিংহপুরুষ -
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস:
কিছু কর্মধারয় সমাসে সমস্যমান পদের মধ্যবর্তী এক বা একাধিক পদ লোপ পায়, অর্থাৎ বাদ পড়ে যায়। একে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।
উদাহরণ: ঘি মাখানো ভাত = ঘিভাত
0
Updated: 2 weeks ago