'জন্ম > জম্ম' কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন?
A
বিষমীভবন
B
সমীভবন
C
স্বরসঙ্গতি
D
ব্যঞ্জন বিকৃতি
উত্তরের বিবরণ
সমীভবন হলো এমন ধ্বনিগত পরিবর্তন যেখানে উচ্চারণের সময় পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি একই রকম হয়ে যায়।
উদাহরণ:
-
জন্ম → জম্ম
-
কাঁদনা → কান্না
-
স্বর্ণ → সন্ন
অন্যান্য ধ্বনিগত পরিবর্তন:
-
বিষমীভবন: দুটি সমবর্ণের মধ্যে একটি ব্যঞ্জনের পরিবর্তনকে বলা হয়।
উদাহরণ:-
শরীর → শরীল
-
লাল → নাল
-
লাঙ্গল → নাঙ্গল
-
-
স্বরসঙ্গতি: একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে বলা হয়।
উদাহরণ:-
দেশি → দিশি
-
বিলাতি → বিলিতি
-
মুলা → মুলাে
-
-
ব্যঞ্জন বিকৃতি: শব্দের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনে পরিণত হওয়া।
উদাহরণ:-
কবাট → কপাট
-
ধোবা → ধোপা
-
0
Updated: 1 month ago
'ধোবা > ধোপা' - কোন ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 3 weeks ago
A
অন্তর্হতি
B
ব্যঞ্জনচ্যুতি
C
ধ্বনি বিপর্যয়
D
ব্যঞ্জন বিকৃতি
ব্যঞ্জন বিকৃতি হলো সেই প্রক্রিয়া যেখানে শব্দের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জন ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, পদের অন্তর্গত কোনো বর্ণ পরিবর্তিত হয়ে নতুন রূপ ধারণ করলে তাকে ব্যঞ্জন বিকৃতি বলা হয়।
উদাহরণ:
-
শাক → শাগ
-
ধোবা → ধোপা
-
কবাট → কপাট
-
ধাইমা → দাইমা
0
Updated: 3 weeks ago
'ভ্রূ > ভুরু' শব্দে ধ্বনির কোন ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে?
Created: 1 month ago
A
আদি স্বরাগম
B
অন্ত্য স্বরাগম
C
মধ্য স্বরাগম
D
স্বরসঙ্গতি
• মধ্য স্বরাগম, বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি (Anaptyxis):
সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি।
যেমন:
অ - রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম, স্বপ্ন > স্বপন, হর্ষ > হরষ ইত্যাদি।
ই - প্রীতি > পিরীতি, ক্লিপ > কিলিপ, ফিল্ম > ফিলিম ইত্যাদি।
উ - মুক্তা > মুকুতা, তুর্ক > তুরুক, ভ্রূ > ভুরু ইত্যাদি।
এ - গ্রাম > গেরাম, প্রেক> পেরেক, স্রেফ > সেরেফ ইত্যাদি।
ও - শ্লোক > শোলোক, মুরগ > মুরোগ > মোরগ ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯-সংস্করণ)।
0
Updated: 1 month ago
একই স্বরের পুনরাবৃত্তি দূর করার জন্যে মাঝখানে যখন স্বরধ্বনি যুক্ত করা হয় তখন তাকে বলে-
Created: 2 months ago
A
অসমীকরণ
B
অপিনিহিতি
C
অভিশ্রুতি
D
সমীভবন
অসমীকরণ:
একই ধ্বনির পুনরাবৃত্তি ভাঙতে মাঝে স্বরধ্বনি যোগ।
যেমন: ধপাধপ, টপাটপ।
অপিনিহিতি:
পরের ই/উ-কার আগে উচ্চারিত হলে বা যুক্ত ব্যঞ্জনের আগে উচ্চারণ বদলে যায়।
যেমন:
-
আজি → আইজ
-
রাখিয়া → রাইখ্যা
-
বাক্য → বাইক্য
অভিশ্রুতি:
পরে আসা স্বর পূর্ববর্তী স্বরের সাথে মিলিয়ে রূপ বদলায়।
যেমন:
-
শুনিয়া → শুনে
-
বলিয়া → বলে
সমীভবন:
দুই ধ্বনির প্রভাবে একে অপরের সঙ্গে আংশিক মিল তৈরি হয়।
যেমন:
-
তৎহিত → তদ্ধিত
-
জন্ম → জন্ম (উচ্চারণ সহজ হয়)
0
Updated: 2 months ago