A
বিশেষণ ও আবেগ
B
বিশেষ্য ও বিশেষণ
C
বিশেষ্য ও অনুসর্গ
D
বিশেষ্য ও সর্বনাম
উত্তরের বিবরণ
বিশেষণ হলো এমন শব্দ যা সাধারণত বিশেষ্য বা সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায়।
-
উদাহরণ: সুন্দর ফুল, বাজে কথা, পঞ্চাশ টাকা
বিশেষণের শ্রেণিবিভাগ:
-
বর্ণবাচক: রঙ নির্দেশ করে। উদাহরণ: কালো, নীল, সবুজ, লাল
-
গুণবাচক: গুণ বা বৈশিষ্ট্য বোঝায়। উদাহরণ: চালাক, ঠান্ডা
-
অবস্থাবাচক: অবস্থা নির্দেশ করে। উদাহরণ: তাজা, রোগা, চলন্ত, তরল, কঠিন
-
ক্রমবাচক: ক্রমসংখ্যা নির্দেশ করে। উদাহরণ: এক, আট
-
পূর্ণবাচক: পূর্ণসংখ্যা নির্দেশ করে। উদাহরণ: তৃতীয়, ৩৪তম
-
পরিমাণবাচক: পরিমাণ বা আয়তন নির্দেশ করে। উদাহরণ: আধা, অনেক
-
উপাদানবাচক: উপাদান নির্দেশ করে। উদাহরণ: বেলে, পাথুরে
-
প্রশ্নবাচক: প্রশ্নসংক্রান্ত অর্থ প্রকাশ করে। উদাহরণ: কেমন, কতক্ষণ
-
নির্দিষ্টবাচক: বিশেষ্যকে নির্দিষ্ট করে। উদাহরণ: এই, সেই
-
ভাববাচক: বাক্যের অন্য বিশেষণকে বিশেষিত করে। উদাহরণ: খুব, বেশ
-
বিধেয় বিশেষণ: বাক্যের বিধেয় অংশে বসে এমন বিশেষণ। উদাহরণ: পাগল, ঘোলা

0
Updated: 14 hours ago
"আমি এখানে টানা পাঁচটি বছর কাজ করেছি।" - এখানে 'পাঁচটি' কোন পদ?
Created: 1 week ago
A
গুণবাচক বিশেষণ
B
অবস্থাবাচক বিশেষণ
C
সংখ্যাবাচক বিশেষণ
D
অংশবাচক বিশেষণ
নাম বিশেষণ
-
সংজ্ঞা: যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলা হয়।
-
উদাহরণ:
আমি এখানে টানা পাঁচটি বছর কাজ করেছি।
এখানে ‘পাঁচটি’ হলো সংখ্যাবাচক নাম বিশেষণ।
নাম বিশেষণের প্রকারভেদ:
-
রূপবাচক: নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, কালো মেঘ
-
গুণবাচক: চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর, ঠাণ্ডা হাওয়া
-
অবস্থাবাচক: তাজা মাছ, রোগা ছেলে, খোঁড়া পা
-
সংখ্যাবাচক: হাজার লোক, দশ দশা, শ টাকা
-
ক্রমবাচক: দশম শ্রেণি, সত্তর পৃষ্ঠা, প্রথমা কন্যা
-
পরিমাণবাচক: বিঘাটেক জমি, পাঁচ শতাংশ ভূমি, হাজার টনী জাহাজ, এক কেজি চাল, দু কিলোমিটার রাস্তা
-
অংশবাচক: অর্ধেক সম্পত্তি, ষোল আনা দখল, সিকি পথ
-
উপাদানবাচক: বেলে মাটি, মেটে কলসি, পাথুরে মূর্তি
-
প্রশ্নবাচক: কতদূর পথ? কেমন অবস্থা?
-
নির্দিষ্টতাজ্ঞাপক: এই লোক, সেই ছেলে, ছাব্বিশে মার্চ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৮ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago
'পিলসুজে বাতি জ্বলে মিটির মিটির।' - এখানে 'মিটির মিটির' কোন অর্থ প্রকাশ করেছে?
Created: 2 weeks ago
A
অনুভূতি বা ভাব
B
পৌনঃপুনিকতা
C
ধ্বনিব্যঞ্জনা
D
বিশেষণ
অব্যয় পদের দ্বিরুক্তির উদাহরণ
-
ভাবের গভীরতা বোঝাতে:
-
সবাই হায় হায় করতে লাগল।
-
ছি ছি, তুমি এত খারাপ!
-
-
পৌনঃপুনিকতা বোঝাতে:
-
বার বার সে কামান গর্জে উঠল।
-
-
অনুভূতি বা ভাব বোঝাতে:
-
ভয়ে গা ছম ছম করছে।
-
ফোঁড়াটা টন টন করছে।
-
-
বিশেষণ বোঝাতে:
-
পিলসুজে বাতি জ্বলে মিটির মিটির।
-
-
ধ্বনিব্যঞ্জনা বোঝাতে:
-
ঝির ঝির করে বাতাস বইছে।
-
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর।
-

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি রূপবাচক বিশেষণ?
Created: 2 weeks ago
A
ঠাণ্ডা হাওয়া।
B
কালো মেঘ।
C
পাথুরে মূর্তি।
D
রোগা ছেলে।
বিশেষণের প্রকারভেদ:
• রূপবাচক: নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, কালো মেঘ।
• গুণবাচক: চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর, ঠাণ্ডা হাওয়া।
• অবস্থাবাচক: তাজা মাছ, রোগা ছেলে, খোঁড়া পা।
• সংখ্যাবাচক: হাজার লোক, দশ দশা, শ টাকা।
• ক্রমবাচক: দশম শ্রেণি, সত্তর পৃষ্ঠা, প্রথমা কন্যা।
• পরিমাণবাচক: বিঘাটেক জমি, পাঁচ শতাংশ ভূমি, হাজার টনী জাহাজ, এক কেজি চাল, দু কিলোমিটার রাস্তা।
• অংশবাচক: অর্ধেক সম্পত্তি, ষোল আনা দখল, সিকি পথ।
• উপাদানবাচক: বেলে মাটি, মেটে কলসি, পাথুরে মূর্তি।
• প্রশ্নবাচক: কতদূর পথ? কেমন অবস্থা?
• নির্দিষ্টতাজ্ঞাপক: এই লোক, সেই ছেলে, ছাব্বিশে মার্চ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 weeks ago