পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ অনুসারে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ না করলে অর্থদণ্ড অনাদায়ের ক্ষেত্রে কত মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে?
A
৩ মাস
B
৫ মাস
C
২ মাস
D
৬ মাস
উত্তরের বিবরণ
পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ সন্তানের মাধ্যমে পিতা-মাতা তথা পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত।
-
আইনটি প্রণয়ন করা হয় ২০১৩ সালে, যার উদ্দেশ্য হলো সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করা।
-
ধারা ৩ অনুযায়ী, প্রত্যেক সন্তান তার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করতে বাধ্য।
-
ধারা ৪ অনুযায়ী,
-
পিতার অবর্তমানে সন্তানকে দাদা-দাদীর ভরণ-পোষণ করতে হবে,
-
মাতার অবর্তমানে সন্তানকে নানা-নানীর ভরণ-পোষণ করতে হবে,
এবং এই ভরণ-পোষণ পিতা-মাতার ভরণ-পোষণের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।
-
-
ধারা ৫ অনুযায়ী, ভরণ-পোষণ না করলে শাস্তির বিধান রয়েছে—
-
ধারা ৩ বা ৪ এর বিধান লঙ্ঘন অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
-
এর জন্য সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড হতে পারে।
-
অর্থদণ্ড অনাদায়ে সর্বোচ্চ ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলায় সুবাদারী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 1 month ago
A
ইসলাম খান চিশতি
B
মীর জুমলা
C
শায়েস্তা খান
D
মুর্শিদকুলী খান
বাংলায় সুবাদারী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইসলাম খান চিশতি। মোগল সম্রাট আকবর তাঁর সাম্রাজ্যকে বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ করেছিলেন, যেগুলোকে বলা হতো ‘সুবা’। সুবার শাসনকর্তাকে সুবাদার বলা হতো। আকবরের সময় থেকেই বাংলায় সুবাদার নিয়োগ শুরু হলেও, বারভুঁইয়াদের দাপটে মোগল সুবা শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে বারভুঁইয়াদের দক্ষতার সঙ্গে দমন করে বাংলায় সুবাদারী শাসন প্রতিষ্ঠা করেন ইসলাম খান চিশতি।
-
ইসলাম খান চিশতি প্রকৃত নাম শেখ আলাউদ্দীন চিশতি।
-
১৬০৮ সালে জাহাঙ্গীর কুলি খানের মৃত্যুর পর, সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁকে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি সুফি সেলিম চিশতীর দৌহিত্র ছিলেন।
-
১৬১০ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঢাকায় আসেন এবং বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। তিনি ঢাকাকে ‘জাহাঙ্গীরনগর’ নামে নামকরণ করেন।
-
ইসলাম খান ঢাকাকে সুরক্ষিত করে ভুঁইয়াদের সব অবস্থানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। ১৬১১ খ্রিস্টাব্দে মুসা খানসহ বারো ভূঁইয়া ইসলাম খানের নিকট বশ্যতা স্বীকার করেন।
-
সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁকে ইসলাম খান উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
তিনি ঢাকায় লোহার পুল নির্মাণ করেন এবং ঢাকার ধোলাই খাল খনন করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মধ্যে কতজন সদস্য সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন?
Created: 1 month ago
A
২৫০ জন
B
৩০০ জন
C
৩৫০ জন
D
৩৩০ জন
বাংলাদেশের আইনসভা (জাতীয় সংসদ)
-
আইনসভা: বাংলাদেশের তিনটি সরকারের বিভাগের মধ্যে অন্যতম।
-
রূপ: এককক্ষবিশিষ্ট।
-
মোট সদস্য সংখ্যা: ৩৫০
-
৩০০ জন সদস্য নাগরিকদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত
-
৫০ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত
-
-
নির্বাচনী ব্যবস্থা:
-
দেশকে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করা।
-
প্রতিটি এলাকা থেকে একজন সংসদ-সদস্য নির্বাচিত।
-
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যরা সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
মহিলা সদস্যরা চাইলে সরাসরি সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
-
-
সংসদীয় নেতৃত্ব:
-
একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার থাকেন, যাদের নির্বাচন সংসদ সদস্যদের ভোটে হয়।
-
প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সংসদের নেতা।
-
দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
-
কার্যকাল: পাঁচ বছর।
-
সংসদ অধিবেশন:
-
একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নতুন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
-
কমপক্ষে ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম পূর্ণ হয়।
-
-
সংসদ ভাঙার ক্ষমতা: প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভাঙতে পারেন।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) -এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
ড. আব্দুল হামিদ খান
B
ড. আখতার হামিদ খান
C
ড. আখতার হামিদ
D
ড. আখতার সিদ্দিক খান
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৫৯ সালের ২৭ মে
-
অধীন: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ
-
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক: ড. আখতার হামিদ খান
-
মূল কার্যক্রম:
-
পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রয়োগমূলক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা
-
উদ্ভাবিত ‘কুমিল্লা মডেল’ এর মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে সুনাম অর্জন
-
-
প্রাপ্তি ও সম্মাননা:
-
১৯৮৬: স্বাধীনতা পদক
-
২০১৩: জাতীয় পল্লী উন্নয়ন পদক
-
২০২২: আজিজ-উল-হক রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড
-
0
Updated: 1 month ago