দেশের নির্বাহী কার্যক্রম কার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়?
A
রাষ্ট্রপতি
B
প্রধানমন্ত্রী
C
মন্ত্রীপরিষদ সচিব
D
স্পীকার
উত্তরের বিবরণ
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্যক্রমের প্রধান।
-
বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান, যেখানে সরকারের প্রধান হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
-
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের নির্বাহী কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
-
জাতীয় সংসদের যে সদস্যকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ-সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতীয়মান হয়, রাষ্ট্রপতি তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
-
সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাঁর পদে বহাল থাকবেন।
-
তবে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন হারালে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়, অথবা সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে লিখিতভাবে পরামর্শ দিতে হয়।
-
প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে তাঁর মন্ত্রিসভাও ভেঙে যায়।
-
এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে সরকারের স্তম্ভ বলা হয়।
-
তিনি একই সাথে সংসদের নেতা এবং সরকারপ্রধান।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, সার্বিকভাবে জিডিপিতে অর্থনৈতিক খাত কয়টি?
Created: 4 weeks ago
A
১৯ টি
B
২১ টি
C
১৫টি
D
২০ টি
বাংলাদেশের জিডিপি বিভিন্ন খাতের সমন্বয়ে গঠিত এবং উৎপাদন ভিত্তিতে প্রধান তিনটি খাতের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির প্রধান অবদান আসে।
-
সার্বিকভাবে জিডিপি ১৯টি খাত নিয়ে গঠিত
-
এই ১৯টি খাতের মধ্যে ৩টি বৃহৎ খাত অন্তর্ভুক্ত
-
৬টি খাত উপখাতে বিভক্ত
-
প্রধান তিনটি বৃহৎ খাত: কৃষিখাত, শিল্পখাত, সেবাখাত
জিডিপিতে খাত অনুযায়ী অবদান:
-
কৃষিখাত: ১১.১৯%
-
শিল্পখাত: ৩৭.৩৭%
-
সেবাখাত: ৫১.৪৪%
0
Updated: 4 weeks ago
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাক্ষরতার হারে শীর্ষ জেলা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মাগুরা
B
বরিশাল
C
পিরোজপুর
D
দিনাজপুর
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা, ঘনত্ব এবং সাক্ষরতার হার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্য দেশের শিক্ষাগত ও জনসংখ্যাগত অবস্থা বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ১.১২%
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব: ১,১১৯ জন প্রতি বর্গকিমি
-
সাক্ষরতার হার (৭ বছর বা তদূর্ধ্ব): ৭৪.৮০%
-
পুরুষ: ৭৬.৭১%
-
মহিলা: ৭২.৯৪%
-
-
বিভাগভিত্তিক সাক্ষরতার হার:
-
সর্বোচ্চ: ঢাকা বিভাগ — ৭৮.২৪%
-
সর্বনিম্ন: ময়মনসিংহ বিভাগ — ৬৭.২৩%
-
-
জেলাভিত্তিক সাক্ষরতার হার:
-
সর্বোচ্চ: পিরোজপুর — ৮৫.৫৩%
-
সর্বনিম্ন: জামালপুর — ৬১.৭০%
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
গারোদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
বৈসাবি
B
ওয়ানগালা
C
রথযাত্রা
D
সাংগ্রাই
গারো জনগোষ্ঠী মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে। তারা নিজেদের পরিচয়ে বৈচিত্র্য বহন করে এবং ভাষা ও সংস্কৃতিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। তাদের সমাজে মাতৃতান্ত্রিক প্রথা ও বিশেষ উৎসব গুরুত্ব পায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নববর্ষ ও ধর্মীয় উৎসবও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।
-
গারো জনগোষ্ঠী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস করে।
-
ময়মনসিংহ ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিলেট, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা ও গাজীপুর জেলায় গারোদের বসবাস রয়েছে।
-
গারোরা ভাষা অনুযায়ী বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে উল্লেখ করে।
-
গারো ভাষায় ‘মান্দি’ শব্দের অর্থ হলো ‘মানুষ’।
-
গারো সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
তাদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হলো ‘ওয়ানগালা’।
অন্যদিকে,
-
বৈসাবি হলো বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি প্রধান আদিবাসী সম্প্রদায়—ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের নববর্ষের উৎসবের সম্মিলিত নাম।
-
রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া হলো আষাঢ় মাসে আয়োজিত অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব।
-
সাংগ্রাই হলো বাংলাদেশী মারমা ও রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসব।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago