বর্তমানে দেশে কতটি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে? (আগস্ট-২০২৫)
A
১০টি
B
১২টি
C
৮টি
D
১৩টি
উত্তরের বিবরণ
সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের প্রশাসন ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
-
বর্তমানে দেশে ১২টি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে।
-
সিটি কর্পোরেশনের এলাকা ও কাজের ওপর সদস্যসংখ্যা নির্ভর করে।
-
প্রতিটি সিটি কর্পোরেশনে একজন মেয়র থাকেন, যাঁকে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত করা হয়।
সিটি কর্পোরেশনগুলো:
১. ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
২. ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন
৩. চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন
৪. খুলনা সিটি কর্পোরেশন
৫. রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন
৬. বরিশাল সিটি কর্পোরেশন
৭. সিলেট সিটি কর্পোরেশন
৮. নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন
৯. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
১০. রংপুর সিটি কর্পোরেশন
১১. গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন
১২. ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন
-
সিটি কর্পোরেশন গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো শহরের পানীয়জলের ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন, ময়লা-আবর্জনা অপসারণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
-
স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের জীবনধারা উন্নত করতে অপরিহার্য।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'দ্বিজাতি তত্ত্বের' প্রবক্তা কে?
Created: 1 month ago
A
স্যার সৈয়দ আহমদ খান
B
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
C
এ.কে. ফজলুল হক
D
নওয়াব সলিমুল্লাহ
জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্ব (Two-Nation Theory)
-
সংজ্ঞা: জাতিতত্ত্বের বিশ্লেষণে একটি জনগোষ্ঠীকে তখনই জাতি বলা যায়, যার ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, মনন, কৃষ্টি, ধর্ম, এমনকি অর্থনীতি একটি একক সত্তায় পরিণতি লাভ করে।
-
জিন্নাহর ধারণা: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভারতের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়কে দুটি পৃথক জাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এ ভাবনাকেই বলা হয় দ্বিজাতি তত্ত্ব।
-
ঘোষণা:
-
জিন্নাহ ১৯৩৯ সালে দ্বিজাতি তত্ত্ব ঘোষণা করেন।
-
পরবর্তী বছর, ১৯৪০ সালে লাহোরে মুসলিম লীগের অধিবেশনে এরই প্রতিধ্বনি প্রকাশ পায়।
-
২৩ মার্চ ১৯৪০ সালে লাহোর অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
-
-
লাহোর প্রস্তাব: বাংলার নেতা ও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী এ.কে. ফজলুল হক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এতে বলা হয় যে, কোনো শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা ভারতে কার্যকর বা মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না যদি এটি একটি নিম্নবর্ণিত মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত না হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের একক বড় বাজার- [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
যুক্তরাজ্য
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
রাশিয়া
D
চীন
রপ্তানী বাজার সম্পর্কিত তথ্য:
-
বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের একক বৃহত্তম বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র।
-
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR)-এর তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ৮৭৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
-
মোট পণ্য রপ্তানির ১৭% গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
-
এই বাজারে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ৮৭% হলো তৈরি পোশাক।
-
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
0
Updated: 4 weeks ago
মুর্শিদ কুলি খান কোন সম্রাটের অধীনে বাংলার দিওয়ান হিসেবে নিযুক্ত হন?
Created: 1 month ago
A
আওরঙ্গজেব
B
শাহজাহান
C
আকবর
D
জাহাঙ্গীর
মুর্শিদ কুলি খান সম্রাট আওরঙ্গজেবের অধীনে বাংলার দিওয়ান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং পরবর্তীতে বাংলায় নবাবি শাসনের ভিত্তি স্থাপন করেন। তাঁর শাসনকালের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
মুর্শিদ কুলি খান (১৭০০-১৭২৭) বাংলায় নবাবি শাসনের প্রতিষ্ঠাতা।
-
দাক্ষিণাত্যে শায়েস্তা খানের দিওয়ান হাজী শফী ইস্পাহানী অল্পবয়সী মুর্শিদ কুলিকে কিনে নিয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন এবং তাঁর নাম রাখেন মুহাম্মদ হাদী।
-
সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁকে কর্তলব খান উপাধি দিয়ে ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার দিওয়ান নিযুক্ত করেন।
-
১৭০৩ খ্রিস্টাব্দে দাক্ষিণাত্যে সম্রাটের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি ‘মুর্শিদকুলী খান’ উপাধি লাভ করেন।
-
১৭১৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলার নাজিম পদে উন্নীত হন।
-
১৭১৭ সালের আগস্টে তাঁকে বাংলার পূর্ণ সুবাদারের মর্যাদা প্রদান করা হয়।
-
তিনি অসংখ্য উপাধি ও পদবিতে ভূষিত হন; প্রথমে ‘জাফর খান’ এবং পরে ‘মুতামিন-উল-মুলক আলা-উদ-দৌলা জাফর খান নাসিরী নাসির জঙ্গ বাহাদুর’ উপাধি পান। তাঁকে সাত হাজারি মনসব প্রদান করা হয়।
-
১৭২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন মুর্শিদকুলী খানের মৃত্যু ঘটে।
-
বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব হিসেবে তিনি ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদ রাজধানী স্থানান্তর করেন ১৭১৭ সালে।
-
অতিরিক্ত রাজস্ব ধার্য না করে সঠিক প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago