প্রশাসনিক পুনর্গঠন ও সংস্কার কমিটি গঠিত হয়-
A
১৯৮১ সালে
B
১৯৯২ সালে
C
১৯৮৩ সালে
D
১৯৮২ সালে
উত্তরের বিবরণ
প্রশাসনিক পুনর্গঠন ও সংস্কার কমিটি ১৯৮২ সালের ২৮ এপ্রিল জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক সরকার কর্তৃক গঠিত একটি প্রশাসনিক সংস্কার কমিটি।
-
কমিটির সভাপতি ছিলেন তৎকালীন উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক রিয়ার অ্যাডমিরাল এম.এ. খান।
-
কমিটির মূল দায়িত্ব ছিল ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ এবং স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে সুষ্ঠ ও কার্যকর শাসন পদ্ধতি সুপারিশ করা।
-
কমিটিতে মোট নয় জন সদস্য ছিলেন—একজন চেয়ারম্যান, একজন সদস্য-সচিব, এবং তিনজন কো-অপ্ট করা সদস্য।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কত সালে 'স্থানীয় শাসন অর্ডিন্যান্স' জারি হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৪ সালে
C
১৯৭৬ সালে
D
১৯৭৭ সালে
বাংলাদেশে স্থানীয় শাসন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ সালে জারি হয়। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নতুন রূপ প্রদান করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকারের গঠন ও নির্বাচনের পরিবর্তন ঘটেছিল।
-
১৯৭২ সালে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির ৭নং আদেশ অনুযায়ী সরকার বিদ্যমান সকল স্থানীয় সরকার কমিটি ভেঙে দেয়।
-
১৯৭৩ সালে নতুন করে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২২ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
১৯৭৬ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমানের সরকার নতুন স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ জারি করে। এতে তিন ধরনের গ্রামীণ স্থানীয় সরকার গঠনের বিধান রাখা হয়: ইউনিয়ন পরিষদ, থানা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ।
-
এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেবলমাত্র ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও অপর ৯ জন সদস্য প্রাপ্তবয়স্কদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন।
-
থানা পরিষদ সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে। এখানে মহকুমা অফিসার (SDO) চেয়ারম্যান এবং সার্কেল অফিসার (SO) ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হবেন।
-
জেলা পরিষদ নির্বাচিত সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও মহিলা সদস্যদের দ্বারা গঠনের কথা থাকলেও এখানে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
জেনারেল এরশাদের আমলে কোন সংসদে অষ্টম সংশোধনী পাস হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
তৃতীয় সংসদ
B
চতুর্থ সংসদ
C
পঞ্চম সংসদ
D
ষষ্ঠ সংসদ
বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী (১৯৮৮)
-
সংসদে উত্থাপন: ১১ মে, ১৯৮৮
-
উত্থাপনকারী: সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ
-
সংসদে গৃহীত: ৭ জুন, ১৯৮৮
-
রাষ্ট্রপতির সম্মতি: ৯ জুন, ১৯৮৮
মূল বিষয়বস্তু:
-
ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা: বাংলাদেশে ইসলামকে সরকারি ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
হাইকোর্টের আঞ্চলিক বেঞ্চ স্থাপন: বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর ও সিলেটে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন।
-
বিদেশি উপাধি গ্রহণে নিয়ন্ত্রণ: কোনো নাগরিক রাষ্ট্রপতির অনুমতি ব্যতীত বিদেশ থেকে উপাধি গ্রহণ করতে পারবে না।
-
রাজধানী ও ভাষার বানান সংশোধন:
-
রাজধানী Dacca → Dhaka
-
বাংলা ভাষা English: Bengali → Bangla
-
সংক্ষেপে, অষ্টম সংশোধনী ধর্মীয় স্বীকৃতি, বিচারিক কাঠামো, বিদেশি উপাধি নিয়ন্ত্রণ এবং সাংস্কৃতিক-ভাষাগত বানান সংশোধনের জন্য গৃহীত হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোন উপজাতি নিজেদেরকে ’মারুচা’ বলে অভিহিত করে থাকেন?
Created: 1 month ago
A
গারো
B
ম্রো
C
খিয়াং
D
পাঙ্গন
ম্রো হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যা বিশেষভাবে বান্দরবান জেলায় বসতি স্থাপন করেছে। তাদের নিজস্ব ভাষা, বর্ণমালা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যা তিব্বতী-বর্মী ভাষাগোষ্ঠীর অংশ।
-
ম্রো জনগোষ্ঠীর প্রধান বসতি বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায়, যেমন তোইন, মঙ্গু, তৈনফা, লুলোইং, উত্তরহানগড়, দক্ষিণ হানগড়, তঙ্কাবতী, হরিণঝুড়ি, টেকের পানছড়ি, রেনিখ্যং, পানতলা, থানখ্যং, সোয়ালক, তিনডো, সিংপা, আলীখং এবং ভারিয়াতালি মৌজায়।
-
ম্রোরা ম্রু ও মুরং নামেও পরিচিত।
-
তাদের নিজস্ব ভাষা থাকলেও পূর্বে বর্ণমালা ছিল না, বর্তমানে তাদের নিজস্ব বর্ণমালা তৈরি হয়েছে।
-
ম্রোরা তিব্বতী-বর্মী ভাষার একটি বিশেষ শাখা ব্যবহার করে।
-
বর্তমানে ম্রোদের নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালায় তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই প্রণীত হয়েছে।
-
তারা নিজেদেরকে ‘মারুচা’ নামে অভিহিত করে।
-
ম্রোদের বংশ পরিচয় পিতৃতান্ত্রিক।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago