জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান কে?
A
অধ্যাপক আলী রিয়াজ
B
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী
C
সফর রাজ হোসেন
D
ড. ইফতেখারুজ্জামান
উত্তরের বিবরণ
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বাংলাদেশের জনপ্রশাসন ব্যবস্থার দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও জনমুখী কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করার জন্য গঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা।
-
২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর আট সদস্য নিয়ে কমিশনটি গঠন করা হয়। পরে সদস্যসংখ্যা তিনজন বৃদ্ধি করা হয়।
-
কমিশনের প্রধান হলেন আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, যিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।
-
এ কমিশনের উদ্দেশ্য হলো দক্ষ, নিরপেক্ষ এবং জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
-
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশন ও প্রধান কমিশনাররা:
-
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন – ড. বদিউল আলম মজুমদার
-
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন – সফর রাজ হোসেন
-
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন – বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান
-
দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন – ড. ইফতেখারুজ্জামান
-
সংবিধান সংস্কার কমিশন – অধ্যাপক আলী রিয়াজ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
CPD-এর প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 1 month ago
A
ড. আতিউর রহমান
B
রেহমান সোবহান
C
মুহিত কামাল
D
উপরের কেউ নন
CPD (Center for Policy Dialogue) হলো বাংলাদেশের একটি প্রভাবশালী বেসরকারি গবেষণা সংস্থা, যা নীতি নির্ধারণে তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
প্রতিষ্ঠাতা: প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, ১৯৯৩ সালে।
-
অবস্থান: ঢাকার ধানমন্ডি সদর দপ্তর।
-
উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম:
-
বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য চাহিদা-চালিত ও জবাবদিহিমূলক উন্নয়ন প্রক্রিয়া গড়ে তোলা
-
তথ্যভিত্তিক বিতর্ক উদ্দীপনা এবং জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে নীতি নির্ধারণে প্রভাব বিস্তার
-
গবেষণা, সংলাপ, প্রচার ও সমর্থনের মাধ্যমে নীতি প্রণয়ন ও সরকারি উদ্যোগের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নেতা কে?
Created: 1 month ago
A
রাষ্ট্রপতি
B
প্রধানমন্ত্রী
C
স্পিকার
D
মন্ত্রিপরিষদ সচিব
প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা
-
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধান।
-
রাষ্ট্রপতি সংসদের অধিকাংশ সদস্যের আস্থাভাজন সাংসদকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী পুরো শাসনব্যবস্থায় নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাঁদের দপ্তর বণ্টন করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা সংসদের আস্থা হারালে সরকারের পতন ঘটে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
প্রধানমন্ত্রী সংসদের নেতা ও মন্ত্রিসভার প্রধান।
-
তিনি সংসদের সাফল্যজনক ও সুষ্ঠু পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা পালন করেন।
-
বিরোধী দলের আস্থা অর্জন ও সহযোগিতা পেতে তিনি নেতৃত্ব দেন।
-
রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সংসদ আহ্বান, স্থগিত বা ভেঙে দিতে পারেন।
-
প্রধানমন্ত্রী জাতির মুখপাত্র হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
0
Updated: 1 month ago
অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচার বিভাগের কোন পরিবর্তন আনা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
রাষ্ট্রপতির অধীনে হাইকোর্ট আনা
B
আপিল বিভাগ বাতিল
C
ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের ছয়টি বেঞ্চ স্থাপন
D
সুপ্রিম কোর্ট বাতিল
৮ম সংশোধনী (১৯৮৮)
৮ম সংবিধান সংশোধনী ১৯৮৮ সালে গৃহীত হয় এবং এটি সংবিধানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনে। সংশোধনী সম্পর্কিত প্রধান তথ্যসমূহ নিম্নরূপ:
-
সংবিধানের সংশোধিত অনুচ্ছেদসমূহ: ২ক, ৩, ৫, ৩০ ও ১০০
-
মূল পরিবর্তনসমূহ:
১. ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২. ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগের ছয়টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনের মাধ্যমে বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ সম্পন্ন করা হয়।
৩. সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদে Bengali শব্দটি পরিবর্তন করে Bangla, এবং Dacca পরিবর্তন করে Dhaka করা হয়।
৪. সংবিধানের ৩০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো নাগরিক বিদেশী রাষ্ট্রের প্রদত্ত খেতাব, সম্মাননা বা পুরস্কার গ্রহণ করতে পারবে না। -
আইনি প্রেক্ষাপট: ১৯৮৯ সালে আপীল বিভাগ হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন সংক্রান্ত ধারা অসাংবিধানিক বলে রায় প্রদান করে।
0
Updated: 3 weeks ago