সুপ্রিম কোর্টের বিভাগ কোনগুলো?
A
আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ
B
দেওয়ানি আদালত ও ফৌজদারি আদালত
C
জেলা আদালত ও মেট্রোপলিটন আদালত
D
বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্ট বিভাগ
উত্তরের বিবরণ
সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত, যা দেশের ন্যায়বিচার ব্যবস্থার শীর্ষ সংস্থা হিসেবে কাজ করে।
-
সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগ রয়েছে— আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ।
-
সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রধান বিচারপতি থাকেন, যাকে রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করেন।
-
প্রতিটি বিভাগের জন্য যতজন বিচারক প্রয়োজন, ততজন বিচারক নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়।
-
প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি দুই বিভাগের অন্যান্য বিচারক নিযুক্ত করেন।
-
প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারক বিচার কার্য পরিচালনায় সম্পূর্ণ স্বাধীন।
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
-
যোগ্যতার জন্য প্রয়োজন—
-
কমপক্ষে ১০ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে অভিজ্ঞতা, অথবা
-
বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় পদে ১০ বছর বিচারক হিসেবে অভিজ্ঞতা।
-
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে কর্মরত থাকতে পারেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কত সালে বিখ্যাত 'মারি চুক্তি' সম্পাদিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৫৪ সালে
B
১৯৫৫ সালে
C
১৯৫৬ সালে
D
১৯৫৭ সালে
মারি চুক্তি হলো ১৯৫৫ সালে সম্পাদিত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আপোস চুক্তি, যা পাকিস্তানের সংবিধান রচনার সংকট সমাধানে দ্বিতীয় গণপরিষদের অধিবেশনে করা হয়।
-
প্রেক্ষাপট: স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ সংবিধান রচনায় ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় গণপরিষদ ৭ জুলাই ১৯৫৫ সালে মারিতে প্রথম অধিবেশনে মিলিত হয়।
-
চুক্তি সম্পাদনকারীগণ: এ.কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, আতাউর রহমান খান ও মোস্তাক হোসেন গুরমানী।
-
চুক্তির মূল বিষয়বস্তু:
১. পাকিস্তানে দুটি প্রদেশ থাকবে: পূর্ব পাকিস্তান (পূর্ব বাংলার নাম পরিবর্তন) এবং পশ্চিম পাকিস্তান (পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রদেশ একত্রিত করে)।
২. উভয় প্রদেশে পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হবে।
৩. উভয় প্রদেশে সংখ্যাসাম্য নীতি (Principle of Parity) কার্যকর করা হবে।
৪. যুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
৫. বাংলা ও উর্দু উভয়ই রাষ্ট্রভাষা হবে। -
চুক্তির পরবর্তী প্রভাব:
-
১৯৫৫ সালের ১১ আগস্ট চৌধুরী মোহাম্মদ আলী প্রধানমন্ত্রী হন।
-
মন্ত্রিপরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এ.কে. ফজলুল হক, আর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিরোধী দলের নেতা।
-
১৯৫৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রদেশ একত্রিত করে একটি প্রদেশ গঠন করা হয়।
-
১৯৫৬ সালের ৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় গণপরিষদে ‘পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্র’ বিল উত্থাপন করা হয়।
-
২ মার্চ, গভর্নর জেনারেল বিলে সম্মতি দিলে সংবিধান বলবৎ হয়।
-
0
Updated: 1 month ago
ডাম্বারটন ওকস সম্মেলনে কত সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়?
Created: 1 month ago
A
৯ সদস্য
B
১১ সদস্য
C
১৩ সদস্য
D
১৫ সদস্য
ডাম্বারটন ওকস সম্মেলন (Dumbarton Oaks Conference)
-
স্থান ও সময়: ওয়াশিংটনের ডাম্বারটন ওকস ভবনে, ২১ আগস্ট – ৭ অক্টোবর ১৯৪৪।
-
উপস্থিত দেশ: সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন।
-
উদ্দেশ্য: জাতিসংঘ গঠনের প্রাথমিক রূপরেখা ও কাঠামো নির্ধারণ।
প্রধান প্রস্তাবসমূহ:
-
জাতিসংঘ গঠনের রূপরেখা, লক্ষ্য ও দায়িত্ব নির্ধারণ।
-
সাধারণ পরিষদ: সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত।
-
নিরাপত্তা পরিষদ: ১১ সদস্য বিশিষ্ট, যার মধ্যে ৫টি স্থায়ী এবং ৬টি অস্থায়ী সদস্য, অস্থায়ী সদস্যদের মেয়াদ ২ বছর।
-
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত স্থাপন।
-
সচিবালয় প্রতিষ্ঠা।
0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে দেশে কতটি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে? (আগস্ট-২০২৫)
Created: 1 month ago
A
১০টি
B
১২টি
C
৮টি
D
১৩টি
সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের প্রশাসন ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
-
বর্তমানে দেশে ১২টি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে।
-
সিটি কর্পোরেশনের এলাকা ও কাজের ওপর সদস্যসংখ্যা নির্ভর করে।
-
প্রতিটি সিটি কর্পোরেশনে একজন মেয়র থাকেন, যাঁকে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত করা হয়।
সিটি কর্পোরেশনগুলো:
১. ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
২. ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন
৩. চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন
৪. খুলনা সিটি কর্পোরেশন
৫. রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন
৬. বরিশাল সিটি কর্পোরেশন
৭. সিলেট সিটি কর্পোরেশন
৮. নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন
৯. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
১০. রংপুর সিটি কর্পোরেশন
১১. গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন
১২. ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন
-
সিটি কর্পোরেশন গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো শহরের পানীয়জলের ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন, ময়লা-আবর্জনা অপসারণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
-
স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের জীবনধারা উন্নত করতে অপরিহার্য।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago