সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে ন্যূনতম কত বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে?
A
৮ বছর
B
১০ বছর
C
৯ বছর
D
১২ বছর
উত্তরের বিবরণ
সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত, যা দেশের বিচার ব্যবস্থা পরিচালনার শীর্ষ সংস্থা হিসেবে কাজ করে।
-
সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগ আছে— আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ।
-
সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রধান বিচারপতি থাকেন, যাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বলা হয়।
-
রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে নিযুক্ত করেন এবং প্রতিটি বিভাগের জন্য যতজন বিচারক প্রয়োজন, ততজন বিচারক নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়।
-
প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগের অন্যান্য বিচারক নিযুক্ত করেন।
-
প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারক বিচার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন।
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
-
এছাড়া, বিচারক হিসেবে যোগ্যতার জন্য প্রয়োজন—
-
বাংলাদেশের আদালতে কমপক্ষে ১০ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা, অথবা
-
বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় পদে ১০ বছর বিচারক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা।
-
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তাদের পদে কর্মরত থাকতে পারেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলার কোন সুবাদার মগ দস্যুদের বিতাড়িত করে চট্টগ্রাম জয় করেন?
Created: 1 month ago
A
ইব্রাহিম খান
B
কাসিম খান
C
শায়েস্তা খান
D
ইসলাম খান মাসহাদী
শায়েস্তা খান ছিলেন ইরানি বংশোদ্ভূত একজন প্রখ্যাত মোগল সুবাদার। তাঁর প্রকৃত নাম আবু তালিব, এবং মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁকে শায়েস্তা খান উপাধি প্রদান করেন। শায়েস্তা খান সম্রাট আওরঙ্গজেবের মামা ছিলেন।
-
১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবাদার মীর জুমলার মৃত্যু এর পর ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে আওরঙ্গজেব তাঁকে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিযুক্ত করেন।
-
শায়েস্তা খান প্রথমবার বাংলায় আসার সময় ৬৩ বছর বয়সী ছিলেন এবং দুই দফায় মোট ২২ বছর বাংলায় শাসন করেন।
বিজয়াভিযান:
-
শায়েস্তা খানের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিজয়াভিযান ছিল চট্টগ্রাম পুনর্দখল।
-
১৪৫৯ সালে আরাকান রাজ চট্টগ্রামকে বাংলার সুলতানদের নিকট থেকে দখল করেছিল। শায়েস্তা খান এই অঞ্চল পুনর্দখলের জন্য সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
-
তাঁর সেনাবাহিনী সন্দ্বীপ দখল করে চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে যায়। চট্টগ্রামের মগ-রাজা ও স্থানীয় পর্তুগিজদের মধ্যে বিবাদ বাঁধে, এবং পর্তুগিজরা নোয়াখালিতে আশ্রয় নেয়।
-
শায়েস্তা খান ফিরিঙ্গী নেতাকে নিজের বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
১৬৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসে, ফিরিঙ্গীদের ৪০টি রণতরীসহ ইবনে হুসাইনের নেতৃত্বে বিশাল নৌবাহিনী চট্টগ্রামে আক্রমণ করে এবং আরাকান বাহিনী পরাজিত হয়।
-
২৬ জানুয়ারি ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে বুজুর্গ উমেদ খান বিজয়ীর বেশে চট্টগ্রামে প্রবেশ করেন। দীর্ঘদিন এখানকার শাসন শেষে তিনি দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার জন্য সম্রাটের অনুমতি প্রার্থনা করেন, যা মঞ্জুর হয়।
শাসনকাল ও অবদান:
-
শায়েস্তা খানের শাসনামলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেত।
-
তিনি নির্মাণ করেন লালবাগ কেল্লা, শায়েস্তা খান মসজিদ, ছোট কাটরা, সাত গম্বুজ মসজিদ প্রভৃতি স্থাপনা।
-
১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে, ৯৪ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
যে বিল মন্ত্রীদের দ্বারা উত্থাপিত হয়, তাকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
সংসদীয় বিল
B
সরকারি বিল
C
নীতিগত বিল
D
সংরক্ষিত বিল
বিল
-
সংজ্ঞা: আইনের প্রাথমিক প্রস্তাবকে সংসদীয় ভাষায় বিল বলা হয়।
-
ব্যাখ্যা: আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সংসদে আনীত প্রত্যেকটি প্রস্তাব বিল আকারে উত্থাপিত হয়।
বিলের প্রকারভেদ
১. সরকারি বিল
-
মন্ত্রীদের দ্বারা উত্থাপিত হয়।
-
উত্থাপনের জন্য ন্যূনতম ৭ দিনের নোটিশ প্রয়োজন।
২. বেসরকারি বিল
-
সাধারণ সংসদ সদস্যদের দ্বারা উত্থাপিত হয়।
-
উত্থাপনের জন্য ১৫ দিনের নোটিশ প্রয়োজন।
0
Updated: 4 weeks ago
ড. মুহাম্মদ ইউনূস র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন কত সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯৮৪ সালে
B
১৯৯৪ সালে
C
১৯৮৭ সালে
D
১৯৮৯ সালে
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, যিনি ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বে ব্যাপকভাবে পরিচিতি অর্জন করেছেন। তিনি শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
-
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ।
-
তিনি ক্ষুদ্রঋণ (Microcredit) ব্যবস্থার জনক হিসেবে সমাদৃত।
-
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
-
২০০৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
-
তিনি প্রথম বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
-
এছাড়া, ড. ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারসহ আরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।
-
১৯৯৬ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
তিনি দায়িত্বে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
-
২০২৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় শতাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
-
১৯৮৪ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন।
0
Updated: 1 month ago