১৯৭৬ সালের স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশে কয় স্তরবিশিষ্ট স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু হয়?
A
তিন
B
দুই
C
চার
D
পাঁচ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ১৯৭৬ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার কর্তৃক জারি করা স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে পুনর্গঠিত হয়। এ অধ্যাদেশে গ্রামীণ অঞ্চলের স্থানীয় সরকার কাঠামো তিন ধরনের প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
-
গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো— ইউনিয়ন পরিষদ, থানা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ।
-
ইউনিয়ন পরিষদের গঠন ও কার্যাবলি মূলত ১৯৭৩ সালের রাষ্ট্রপতির ২২ নং অধ্যাদেশের অনুরূপভাবে রাখা হয়েছে।
-
ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর নির্ধারিত ছিল।
-
স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের যোগ্যতা, অপসারণ প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রম পরিচালনার বিস্তারিত নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
খিলাফত আন্দোলনে নেতৃত্ব কে দেন?
Created: 1 month ago
A
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
B
মাওলানা শওকত আলী
C
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
D
বর্ণিত সবাই
খিলাফত আন্দোলন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যান-ইসলামিক আন্দোলন যা ভারতের মুসলমান সমাজে ১৯২০ সালের দিকে শুরু হয়। এটি মূলত তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসেবে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির মাধ্যমে তুরস্কের ভূমি ভাগাভাগির প্রতিক্রিয়ায়। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবও এতে ভূমিকা রাখে। আন্দোলনের সময় মুসলমানরা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছিল, কারণ ধর্মীয়ভাবে তাদের খলিফার প্রতি আনুগত্য ছিল, আবার রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হতো।
-
খিলাফত আন্দোলন শুরু হয় ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকারের সেভার্স চুক্তির প্রতিক্রিয়ায়, যেখানে তুরস্কের ভূমি ভাগ করা হয়।
-
এটি ভারতের মুসলমানদের মধ্যে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত একটি প্যান-ইসলামিক আন্দোলন।
-
ভারতের মুসলমানেরা তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কের সুলতান ব্রিটিশ বিরোধী শক্তি জার্মানির সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় বিব্রত হয়।
-
ধর্মীয় কারণে তারা খলিফার প্রতি আনুগত্যপূর্ণ, আর রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার চাপ অনুভব করেছিল।
-
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং দুই ভাই মাওলানা শওকত আলী ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি বিরোধী দলের কাজ?
Created: 1 month ago
A
গঠনমূলক সমালোচনা
B
প্রার্থী মনোনয়ন
C
রাজনৈতিক সংযোগ সাধন
D
সবগুলো
বিরোধী দলের প্রধান কাজসমূহ
-
গঠনমূলক সমালোচনা:
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দল সরকারের কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করে।
-
সরকারের ত্রুটি বা বিচ্যুতি জনসাধারণের সামনে তুলে ধরে।
-
সমালোচনার মাধ্যমে সরকারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রতিরোধ করে।
-
-
প্রার্থী মনোনয়ন:
-
নির্বাচনের সময় বিরোধী দল তাদের আদর্শ ও নীতি অনুযায়ী প্রার্থী মনোনয়ন করে।
-
প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার কার্য চালায়।
-
নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
-
-
গণতন্ত্র রক্ষা:
-
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না।
-
বিভিন্ন মতের সংমিশ্রণ নিশ্চিত করে।
-
শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে সরকার স্বৈরাচারী হয়ে যেতে পারে।
-
-
রাজনৈতিক সংযোগ সাধন:
-
জনগণের দাবি ও মতামত সরকারের কাছে পৌঁছে দেয়।
-
জনগণের সাথে সরকারের সংযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
-
-
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা:
-
মন্ত্রিসভা তাদের কার্যকলাপের জন্য আইনসভায় দায়ী থাকে।
-
বিরোধীদল মন্ত্রীর নীতি ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারে।
-
মন্ত্রীদের উত্তর দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে।
-
-
রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ:
-
জনগণকে রাজনীতির সাথে সংযুক্ত করে।
-
ভোটের গুরুত্ব ও অন্যান্য রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতন করে।
-
0
Updated: 1 month ago
স্বর্ণা সার আবিষ্কার করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ড. আনোয়ার হোসেন
B
ড. আব্দুল খালেক
C
ড. মোবারক আহমেদ খান
D
ড. মাকসুদুল আলম
স্বর্ণা সার হলো একটি জৈব সার, যা কৃষিতে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও ফলন বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়।
-
বৈজ্ঞানিক নাম: ফাইটা হারমোন ইনডিউসার
-
আবিষ্কারক: ড. সৈয়দ আব্দুল খালেক, ১৯৮৭ সালে
-
পেটেন্টপ্রাপ্ত: ১৯৯৩ সালে
উল্লেখযোগ্য অন্যান্য গবেষণা:
-
ড. মোবারক আহমেদ খান, ২০০৮ সালে পাট থেকে ঢেউটিন তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
-
ড. মাকসুদুল আলম পাটের জিনোম আবিষ্কার করেন।
0
Updated: 4 weeks ago