সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম কোথায় গৃহীত হয়?
A
আইনসভায়
B
সুপ্রিমকোর্টে
C
সচিবালয়ে
D
সরকারি কর্মকমিশনে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশাসন দেশের শাসন ব্যবস্থার মূল কাঠামো হিসেবে কাজ করে, যেখানে সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্তের কেন্দ্রস্থল হলো সচিবালয়। এটি প্রশাসনের স্নায়ুকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
সচিবালয় বা সেক্রেটারিয়েট বাংলাদেশ প্রশাসনের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম এখানে গৃহীত হয়।
-
সাধারণত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তাদের বিভাগসমূহের অফিসগুলোকে যৌথভাবে সচিবালয় বলা হয়।
-
প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে একজন মন্ত্রী নিযুক্ত থাকেন, যিনি রাজনৈতিক নেতা এবং মন্ত্রণালয়ের প্রধান।
-
মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী ও প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন সচিব।
-
সচিব সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং সেবা, যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট পদসোপানের মধ্য দিয়ে সচিব পদে উন্নীত হন।
-
মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় কার্যক্রমের মূল দায়িত্ব সচিবের ওপর ন্যস্ত থাকে।
-
সচিব মন্ত্রীর সহায়তায় মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেন এবং প্রয়োজনীয় বিষয়ে মন্ত্রীর পরামর্শ দেন।
-
সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে সচিব মন্ত্রীর সহচর ও পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ [Representation of the People's Order (RPO)] প্রথম কত সালে প্রণয়ন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৩ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
RPO (Representation of People Order)
-
সংজ্ঞা ও গুরুত্ব:
-
RPO বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ হলো বাংলাদেশে নির্বাচন পরিচালনার মূল আইন।
-
স্বাধীনতা পরবর্তী সংবিধান প্রণয়নের পরে, প্রথমবারের মতো ১৯৭২ সালে RPO প্রণয়ন করা হয়, যা নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও বিধি নির্ধারণ করে।
-
-
ইতিহাস:
-
১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর, সংসদ কার্যকর না থাকায় রাষ্ট্রপতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ জারি করেন (রাষ্ট্রপতির ১৫৫ নম্বর আদেশ)।
-
১৯৭৩ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ এই আদেশটি অনুমোদন করে।
-
পরে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদ RPO সংশোধন করেছে।
-
সমস্ত নির্বাচনের ভিত্তি হিসেবে RPO, ১৯৭২ ব্যবহৃত হয়েছে।
-
-
সর্বশেষ সংশোধন:
-
২০২৩ সালে সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন ২০২৩ পাশ হয়।
-
-
প্রধান শর্তাবলী:
-
যে কোনো নিবন্ধিত দলের ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ জেলা (২১ জেলা) এবং ১০০ উপজেলা অফিস থাকতে হবে।
-
অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকার থানায় অফিস, যেখানে প্রতিটিতে কমপক্ষে ২০০ জন ভোটার সদস্য হিসেবে থাকতে হবে।
-
কোনো দল যদি পরপর তিন বছর তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার নিবন্ধন বাতিল হবে।
-
উৎস:
i) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট
ii) বিবিসি
0
Updated: 1 month ago
‘মোহামেডান লিটারারি সোসাইটি' কে প্রতিষ্ঠা করেন?
Created: 1 month ago
A
নওয়াব আবদুল লতিফ
B
সৈয়দ আমির আলী
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
রামমোহন রায়
নওয়াব আবদুল লতিফ
-
জীবন ও পটভূমি:
-
জন্ম: ১৮২৮, ফরিদপুর জেলার রাজাপুর গ্রাম, সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে।
-
১৮৬০ সালে নীল কমিশন গঠনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
-
মৃত্যু: ১৮৯৩ সালের ১০ জুলাই।
-
-
শিক্ষা ও সরকারি চাকরি:
-
১৮৪৯ সালে ‘ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট’ পদে যোগ দেন।
-
১৮৭৭ সালে ‘প্রেসিডেন্সী ম্যাজিস্ট্রেট’ হিসেবে পদোন্নতি পান।
-
১৮৮৪ সালে সরকারি চাকরি থেকে বিশেষ পেনশনসহ অবসর নেন।
-
-
অফিস ও স্বীকৃতি:
-
১৮৬২ সালে বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য মনোনীত হন; মুসলমানদের মধ্যে প্রথম।
-
ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য এবং মুসলিম সমাজের প্রতি অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন:
-
১৮৭৭: ‘খান বাহাদুর’
-
১৮৮০: ‘নওয়াব’
-
১৮৮৩: C.I.E.
-
১৮৮৭: ‘নওয়াব বাহাদুর’
-
-
-
সামাজিক ও শিক্ষাজাগরণমূলক অবদান:
-
১৮৬৩ সালে কলকাতায় ‘মোহামেডান লিটারারি সোসাইটি’ বা ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
উদ্দেশ্য: মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষার বিষয়ে জনমত তৈরি ও পরিবর্তিত পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করা।
-
এটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান না হলেও, মুসলমানদের ন্যায্য দাবি ও আশা-আকাঙ্ক্ষা সরকারের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা হতো।
-
এর ফলে মুসলিম সমাজে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী গড়ে ওঠে।
-
নওয়াব আবদুল লতিফ মুসলমানদের জাগরণের অন্যতম স্থপতি হিসেবে পরিচিত।
-
উৎস: ইতিহাস, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
পিআর নির্বাচন পদ্ধতিতে আসন বণ্টন কিসের ভিত্তিতে হয়?
Created: 1 month ago
A
এলাকার জনসংখ্যার ভিত্তিতে
B
রাজনৈতিক দলের বয়সের ভিত্তিতে
C
সর্বাধিক ভোট পাওয়া প্রার্থীর ভিত্তিতে
D
প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে
পিআর (Proportional Representation) নির্বাচন পদ্ধতি
-
সংজ্ঞা:
-
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) এমন একটি নির্বাচন পদ্ধতি যেখানে আসন বণ্টন হয় প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে।
-
এতে প্রতিটি ভোট কাজে লাগে এবং সংসদে সমানভাবে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো দল যদি ১০% ভোট পায়, তাদের আসনও হবে প্রায় ১০% হারে।
-
-
প্রক্রিয়া:
-
ভোটের আগে প্রতিটি দল ক্রম ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে।
-
প্রাপ্ত ভোটের হার অনুযায়ী সংসদে আসন বণ্টন হয়।
-
-
ধরণসমূহ:
১. মুক্ত তালিকা পদ্ধতি: ভোটের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে আসন বরাদ্দ।
২. বদ্ধ তালিকা পদ্ধতি: দল নির্ধারণ করে কে হবেন সংসদ সদস্য।
৩. মিশ্র পদ্ধতি: কিছু আসন প্রতীকভিত্তিক, কিছু পিআর ভিত্তিক। -
বাংলাদেশে প্রেক্ষাপট:
-
দেশে বর্তমান সংসদীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় ৩০০টি আসনে আলাদা প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন হয়।
-
‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ (FPTP) পদ্ধতিতে যে দল বেশি আসনে জয় পায়, তারা সরকার গঠন করে, ভোটের মোট শতাংশ নয়।
-
উৎস: BBC
0
Updated: 1 month ago