সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম কোথায় গৃহীত হয়?
A
আইনসভায়
B
সুপ্রিমকোর্টে
C
সচিবালয়ে
D
সরকারি কর্মকমিশনে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশাসন দেশের শাসন ব্যবস্থার মূল কাঠামো হিসেবে কাজ করে, যেখানে সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্তের কেন্দ্রস্থল হলো সচিবালয়। এটি প্রশাসনের স্নায়ুকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
সচিবালয় বা সেক্রেটারিয়েট বাংলাদেশ প্রশাসনের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম এখানে গৃহীত হয়।
-
সাধারণত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তাদের বিভাগসমূহের অফিসগুলোকে যৌথভাবে সচিবালয় বলা হয়।
-
প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে একজন মন্ত্রী নিযুক্ত থাকেন, যিনি রাজনৈতিক নেতা এবং মন্ত্রণালয়ের প্রধান।
-
মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী ও প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন সচিব।
-
সচিব সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং সেবা, যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট পদসোপানের মধ্য দিয়ে সচিব পদে উন্নীত হন।
-
মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় কার্যক্রমের মূল দায়িত্ব সচিবের ওপর ন্যস্ত থাকে।
-
সচিব মন্ত্রীর সহায়তায় মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেন এবং প্রয়োজনীয় বিষয়ে মন্ত্রীর পরামর্শ দেন।
-
সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে সচিব মন্ত্রীর সহচর ও পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
মারি চুক্তি কত সালে সম্পাদিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
মারি চুক্তি (১৯৫৫)
-
প্রেক্ষাপট:
-
স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদ সংবিধান রচনায় ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় গণপরিষদ ১৯৫৫ সালের ৭ জুলাই মারিতে প্রথম অধিবেশনে মিলিত হয়।
-
এই অধিবেশনে পাকিস্তানের সব প্রদেশের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্ট, সংবিধান সংক্রান্ত আপোস চুক্তি সম্পাদন করেন।
-
-
চুক্তির খসড়া:
-
চুক্তি ‘মারি চুক্তি’ নামে পরিচিত।
-
এতে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উভয় অঞ্চলের সংসদ সদস্য একমত হন।
-
স্বাক্ষরকারীরা ছিলেন: এ. কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, আতাউর রহমান খান, মোস্তাক হোসেন গুরমানী।
-
-
চুক্তির পরবর্তী ঘটনা:
-
১৯৫৫ সালের ১১ আগস্ট চৌধুরী মোহাম্মদ আলী প্রধানমন্ত্রী হন।
-
তাঁর মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ছিলেন এ. কে. ফজলুল হক।
-
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিরোধী দলের নেতা।
-
-
প্রভাব:
-
১৯৫৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের সব প্রদেশ একত্রিত হয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হয়।
-
১৯৫৬ সালের ৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় গণপরিষদে ‘পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের’ বিল উত্থাপন করা হয়।
-
২ মার্চ গভর্নর জেনারেল বিলে সম্মতি দিলে সংবিধান বলবৎ হয়।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) সংগ্রামের নোটবুক
iii) স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস
0
Updated: 1 month ago
পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ অনুসারে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ না করলে অর্থদণ্ড অনাদায়ের ক্ষেত্রে কত মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে?
Created: 1 month ago
A
৩ মাস
B
৫ মাস
C
২ মাস
D
৬ মাস
পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ সন্তানের মাধ্যমে পিতা-মাতা তথা পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত।
-
আইনটি প্রণয়ন করা হয় ২০১৩ সালে, যার উদ্দেশ্য হলো সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করা।
-
ধারা ৩ অনুযায়ী, প্রত্যেক সন্তান তার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করতে বাধ্য।
-
ধারা ৪ অনুযায়ী,
-
পিতার অবর্তমানে সন্তানকে দাদা-দাদীর ভরণ-পোষণ করতে হবে,
-
মাতার অবর্তমানে সন্তানকে নানা-নানীর ভরণ-পোষণ করতে হবে,
এবং এই ভরণ-পোষণ পিতা-মাতার ভরণ-পোষণের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।
-
-
ধারা ৫ অনুযায়ী, ভরণ-পোষণ না করলে শাস্তির বিধান রয়েছে—
-
ধারা ৩ বা ৪ এর বিধান লঙ্ঘন অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
-
এর জন্য সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড হতে পারে।
-
অর্থদণ্ড অনাদায়ে সর্বোচ্চ ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সংসদের অধিবেশন পরিচালনার জন্য ন্যূনতম কতজন সদস্য উপস্থিত থাকতে হয়?
Created: 1 month ago
A
৯০ জন
B
৭০ জন
C
৫০ জন
D
৬০ জন
বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম হলো আইনসভা, যার নাম জাতীয় সংসদ। এটি এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
-
জাতীয় সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জন।
-
এর মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন এবং ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
-
বাংলাদেশকে মোট ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করা হয়েছে এবং প্রতিটি এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
-
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যরা বিভিন্ন দলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যার আনুপাতিক হারে নির্বাচিত হন। এ নির্বাচন হয়ে থাকে সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে।
-
মহিলা সদস্যরা চাইলে ৩০০ আসনের যেকোনো আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হতে পারেন।
-
সংসদে একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার থাকেন, যাঁরা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।
-
সংসদের একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে হয়।
-
সংসদীয় কার্যক্রম চালানোর জন্য অন্তত ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম পূর্ণ হয়।
-
প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সংসদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
আসন সংখ্যার ভিত্তিতে নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান পাওয়া দলের প্রধান সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago