সংসদের অধিবেশন পরিচালনার জন্য ন্যূনতম কতজন সদস্য উপস্থিত থাকতে হয়?
A
৯০ জন
B
৭০ জন
C
৫০ জন
D
৬০ জন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম হলো আইনসভা, যার নাম জাতীয় সংসদ। এটি এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
-
জাতীয় সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জন।
-
এর মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন এবং ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
-
বাংলাদেশকে মোট ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করা হয়েছে এবং প্রতিটি এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
-
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যরা বিভিন্ন দলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যার আনুপাতিক হারে নির্বাচিত হন। এ নির্বাচন হয়ে থাকে সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে।
-
মহিলা সদস্যরা চাইলে ৩০০ আসনের যেকোনো আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হতে পারেন।
-
সংসদে একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার থাকেন, যাঁরা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।
-
সংসদের একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে হয়।
-
সংসদীয় কার্যক্রম চালানোর জন্য অন্তত ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম পূর্ণ হয়।
-
প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সংসদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
আসন সংখ্যার ভিত্তিতে নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান পাওয়া দলের প্রধান সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বক্সারের যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৭৫৩ সালে
B
১৭৫৯ সালে
C
১৭৬২ সালে
D
১৭৬৪ সালে
বক্সারের যুদ্ধ ছিল নবাব মীর কাসিম ও তাঁর মিত্রশক্তির সঙ্গে ইংরেজদের মধ্যে সংঘটিত একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। এটি পলাশীর যুদ্ধের পর, ১৭৬৪ সালে বিহারের বক্সার স্থানে সংঘটিত হয়। যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাহিনী মেজর হেক্টর মুনরোর নেতৃত্বে এবং মীর কাসিম, মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম, ও অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা-এর সম্মিলিত সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ১৭৬৪ সালের ২২ অক্টোবর।
-
এই যুদ্ধে ইংরেজরা জয়লাভ করে।
-
যুদ্ধের পর দ্বিতীয় শাহ আলম পুনরায় ইংরেজ শিবিরে আশ্রয় নেন।
-
নবাব সুজাউদ্দৌলা রোহিলাখন্ডে পালিয়ে যান এবং অযোধ্যা ইংরেজ বাহিনীর অধীনে চলে আসে।
-
নবাব মীর কাসিম নিরুদ্দেশ হন এবং এরপর তাঁর সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়নি।
-
বক্সারের যুদ্ধ ছিল একটি চূড়ান্ত যুদ্ধ, যা বাংলাকে সম্পূর্ণভাবে ইংরেজ কোম্পানির শাসনের অধীনে নিয়ে আসে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
লর্ড ব্রাইসের মতে, নিচের কোনটি মানুষের আইন মেনে চলার কারণ নয়?
Created: 1 month ago
A
নির্লিপ্ততা
B
শ্রদ্ধা
C
সহানুভূতি
D
অভ্যাস
-
লর্ড ব্রাইস মানুষের আইন মান্য করার পেছনে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন: নির্লিপ্ততা, শ্রদ্ধা, সহানুভূতি, শাস্তির ভয় এবং যৌক্তিকতার উপলব্ধি। এর মধ্যে ‘অভ্যাস’ অন্তর্ভুক্ত নয়।
আইন মান্য করার কারণ:
-
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইন মান্য করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রতিটি আইনে কিছু নির্দেশনা থাকে এবং তা অমান্য করলে শাস্তির বিধান থাকে।
-
আইন মান্য করার বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি হলো আইনের উপযোগিতা।
লর্ড ব্রাইস আইন মান্য করার কারণগুলোকে পাঁচ ভাগে বিভক্ত করেছেন:
১. যৌক্তিকতার উপলব্ধি
২. অপরের প্রতি শ্রদ্ধা
৩. নির্লিপ্ততা
৪. সহানুভূতি
৫. শাস্তির ভয়
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথম পত্র, এইচ এস সি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি সাংবিধানিক পদ নয়?
Created: 1 month ago
A
চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
B
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
C
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
D
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
সাংবিধানিক পদ ও সংজ্ঞা
-
সংজ্ঞা:
-
সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
-
সাংবিধানিক উপায়ে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
-
সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, পদ, মেয়াদ, পদমর্যাদা, পদত্যাগ, অপসারণ পদ্ধতি এবং দায়িত্ব সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল সাংবিধানিক পদের তালিকা প্রকাশ করে।
-
সাংবিধানিক পদসমূহ
-
রাষ্ট্রপতি
-
প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
-
স্পীকার
-
ডেপুটি স্পীকার
-
সংসদ সদস্য
-
প্রধান বিচারপতি
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
-
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য
উল্লেখ্য:
-
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন সাংবিধানিক পদ নয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 1 month ago