মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন?
A
সরাসরি ভোটে
B
রাষ্ট্রপতির নিয়োগে
C
সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে
D
নির্বাচনী বোর্ডের সিদ্ধান্তে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম হলো আইনসভা, যার নাম জাতীয় সংসদ। এটি এককক্ষবিশিষ্ট একটি সংসদ এবং দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
-
জাতীয় সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জন।
-
এর মধ্যে ৩০০ জন জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন।
-
অবশিষ্ট ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
-
বাংলাদেশকে মোট ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করা হয়েছে।
-
প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোটে একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
-
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা বিভিন্ন দলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যার আনুপাতিক হারে নির্বাচিত হন, তবে তাদের নির্বাচন হয় সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে।
-
মহিলা সদস্যরা চাইলে সরাসরি ৩০০ আসনের যেকোনো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হতে পারেন।
-
সংসদে একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার থাকেন, যাঁরা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর, তবে এর আগেও রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।
-
সংসদের একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন আহ্বান করতে হয়।
-
সংসদীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ন্যূনতম ৬০ জন সদস্যের উপস্থিতি কোরাম হিসেবে গণ্য হয়।
-
প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সংসদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
নির্বাচনে আসন সংখ্যার দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দলের প্রধানকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
রাজনৈতিক দলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো -
Created: 1 month ago
A
রাষ্ট্রীয় সমস্যা নির্ধারণ
B
সরকার গঠন করা
C
ভোটারদের স্বার্থ সংরক্ষণ
D
রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ
গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলের কার্যাবলি
১. সরকার গঠন
-
রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হলো সরকার গঠন করা।
-
নির্বাচনে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে, সে দল সরকার গঠন করে।
২. রাষ্ট্রীয় সমস্যা নির্ধারণ
-
রাষ্ট্র ও সমাজের প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দলসমূহ।
৩. নীতি-নির্ধারণ ও কর্মসূচি প্রণয়ন
-
রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন করে।
৪. জনমত গঠন
-
বিভিন্ন ইস্যুতে জনমত তৈরি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে।
৫. প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রচারণা
-
নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন করে এবং তাদের জন্য প্রচারণা চালায়।
৬. ভোটারদের স্বার্থ সংরক্ষণ
-
জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখে সরকার ও প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
৭. বিরোধী ভূমিকা পালন
-
সরকারে না থাকলে বিরোধী দল হিসেবে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে।
৮. রাজনৈতিক চেতনা ও শিক্ষার প্রসার
-
জনগণকে রাজনীতি সচেতন ও শিক্ষিত করে তোলে।
৯. স্বেচ্ছাচার প্রতিরোধ
-
সরকারের স্বৈরাচারী প্রবণতা রোধে ভূমিকা পালন করে।
১০. রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ
-
জনগণকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে।
১১. শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা পরিবর্তন
-
নির্বাচন ও সাংবিধানিক নিয়মের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করে।
১২. সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সংযোগ সাধন
-
আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও জনগণের মধ্যে যোগসূত্র রক্ষা করে।
১৩. জাতীয় ঐক্যবোধ সৃষ্টি
-
ভেদাভেদ দূর করে জাতীয় সংহতি বৃদ্ধি করে।
১৪. সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা
-
সমতার ভিত্তিতে সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 4 weeks ago
চাকমাদের গ্রাম প্রধানের উপাধি-
Created: 1 month ago
A
হেডম্যান
B
আদাম
C
কার্বারী
D
সার্কেল প্রধান
চাকমা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহত্তম ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, যার নিজস্ব সামাজিক ও প্রশাসনিক কাঠামো রয়েছে। তারা বিভিন্ন জেলা ও প্রতিবেশী দেশেও বিস্তৃতভাবে বসবাস করছে।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় চাকমাদের বসতি রয়েছে।
-
চাকরি বা অন্যান্য কারণে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাকমাদের বসতি দেখা যায়।
-
প্রতিবেশী দেশ ভারতের মিজোরাম, ত্রিপুরা, আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লী-তেও অনেক চাকমা বসবাস করে।
-
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলা মিলিয়ে গঠিত হয়েছে চাকমা সার্কেল, যার প্রধানকে বলা হয় চাকমা চীফ বা চাকমা রাজা।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামের আরও দুটি সার্কেল, যেগুলিও চাকমাদের মৌজার সমন্বয়ে গঠিত।
-
চাকমা ভাষায় গ্রামকে ‘আদাম’ বা ‘পাড়া’ বলা হয়।
-
গ্রাম প্রধানের উপাধি হলো ‘কার্বারী’।
-
কয়েকটি গ্রাম মিলিয়ে গঠিত হয় মৌজা, যার প্রধানকে বলা হয় হেডম্যান।
-
হেডম্যানের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে খাজনা আদায়, সামাজিক বিরোধের বিচার, এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনগণের কল্যাণ দেখভাল।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
২০২৫ সালে কতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে একুশে পদক প্রদান করা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৫ জন
B
১৬ জন
C
১৭ জন
D
১৮ জন
একুশে পদক ২০২৫
২০২৫ সালে একুশে পদক পেয়েছেন দেশের ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং ১ প্রতিষ্ঠান। এই পদক দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়। এ বছর ক্রীড়া ক্ষেত্রে একুশে পদক পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
-
গবেষণা: মঈদুল হাসান (মূলধারা ৭১-এর রচয়িতা)
-
ভাষা ও সাহিত্য: শহীদুল জহির (মরণোত্তর), হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর)
-
সংস্কৃতি ও শিক্ষা: ড. শহীদুল আলম (ফটোগ্রাফার, মানবাধিকার কর্মী ও দৃকের প্রতিষ্ঠাতা)
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: মেহেদী হাসান খান (অভ্র-এর জনক), রিফাত নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম, শাবাব মুস্তাফা
-
সাংবাদিকতা: মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর)
-
সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার: মাহমুদুর রহমান
-
শিল্পকলা (চলচ্চিত্র): আজিজুর রহমান (মরণোত্তর) (ছুটির ঘণ্টা এবং অন্যান্য চলচ্চিত্রের পরিচালক)
-
সংগীত: উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর), ফেরদৌস আরা
-
আলোকচিত্র: নাসির আলী মামুন
-
চিত্রকলা: রোকেয়া সুলতানা
-
শিক্ষা: ড. নিয়াজ জামান
-
সমাজসেবা: মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর)
0
Updated: 3 weeks ago