বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০নং সংসদীয় আসন কোন জেলায় অবস্থিত?
A
খাগড়াছড়ি
B
রাঙ্গামাটি
C
বান্দরবান
D
কক্সবাজার
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে মোট ৩৫০টি আসন রয়েছে, যার মধ্যে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয় ৩০০টি আসন। বাকিগুলো সংরক্ষিত নারী আসন হিসেবে নির্ধারিত।
-
জাতীয় সংসদের ১নং আসন হলো পঞ্চগড়-১।
-
বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি—এই তিনটি জেলায় মাত্র একটি করে সংসদীয় আসন রয়েছে।
-
জাতীয় সংসদের ৩০০নং আসন হলো বান্দরবান।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
পায়রা সমুদ্র বন্দর দেশের কততম সমুদ্র বন্দর?
Created: 1 month ago
A
প্রথম
B
দ্বিতীয়
C
চতুর্থ
D
তৃতীয়
পায়রা বন্দর বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর এবং এটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ চ্যানেলের তীরে অবস্থিত।
-
কার্যক্রম শুরু: ১৩ আগস্ট ২০১৬ সালে সীমিত পরিসরে
-
নিয়মিত কার্যক্রম: সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে কয়লা ও অন্যান্য পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরে আগমন শুরু
-
মাস্টার প্ল্যান: নেদারল্যান্ডসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়েল হাসকনিংডিএইচভি কর্তৃক প্রস্তুত
-
মূল খনন (ক্যাপিটাল ড্রেজিং): রাবনাবাদ চ্যানেলে চলছে
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর, যা কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত।
-
ইংরেজ শাসনের শুরুতে ইংরেজ ও দেশীয় ব্যবসায়ীরা বার্ষিক এক টাকা সেলামি প্রদানের বিনিময়ে নিজ ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীতে কাঠের জেটি নির্মাণ করেন
-
১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম দুটি অস্থায়ী জেটি নির্মিত হয়
-
১৯৫৪ সালের ২০শে... (তথ্য অসম্পূর্ণ, তবে এরপরের ইতিহাস অনুযায়ী বন্দর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ শুরু হয়)
0
Updated: 4 weeks ago
ভারত ছাড় আন্দোলন কবে শুরু হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৩৯ সালে
B
১৯৪০ সালে
C
১৯৪১ সালে
D
১৯৪২ সালে
ভারত ছাড় আন্দোলন মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে সংগঠিত হয় এবং ১৯৪২ সালে এটি শুরু হয়। এটি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে শ্বেতাঙ্গ-বিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ এবং প্রথম স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাপক আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। আন্দোলন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
ইংরেজ সরকার কোনোভাবেই ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না।
-
সরকার এই আন্দোলন দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা রাখে।
-
আন্দোলনের শুরুতে মধ্যরাতে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, যেমন গান্ধীজি, আবুল কালাম আজাদ, জওহরলাল নেহরু, গ্রেফতার হন।
-
কংগ্রেসকে বেআইনি ঘোষণা করা হয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় সব নেতা কারাগারে বন্দি হন।
-
নেতৃবৃন্দের গ্রেফতারের কারণে অহিংস আন্দোলন ভয়াবহ সহিংস আন্দোলনে পরিণত হয়।
-
১৯৪২ সালের ৮ আগস্ট, নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির (বোম্বাই) অধিবেশনে বিখ্যাত ভারত ছাড় আন্দোলনের প্রস্তাব পাস হয়।
-
পরপরই যতদূর সম্ভব ব্যাপকভাবে অহিংস পথে গান্ধীর নেতৃত্বে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
পাকিস্তানি সেনাদের পরিকল্পিত অভিযানের অংশ ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এ ঢাকা শহরে গণহত্যা পরিচালনার মূল দায়িত্ব কার ওপর অর্পিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
খাদিম হোসাইন রাজা
B
লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান
C
আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী
D
মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
অপারেশন সার্চলাইট (২৫ মার্চ ১৯৭১)
পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধান:
-
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এই অপারেশন চালানোর পরিকল্পনা করেন জেনারেল খাদিম হোসাইন রাজা।
-
ঢাকায় গণহত্যা ও সুনির্দিষ্ট অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী-কে।
-
সার্বিক তত্ত্বাবধান ছিলেন গভর্নর লে. জেনারেল টিক্কা খান।
ঢাকায় কার্যক্রম:
-
ঢাকা শহরের পিলখানা ইপিআর হেডকোয়ার্টার্স ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পাকিস্তানি সেনাদের দখলে নেওয়া।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আক্রমণ।
-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা।
-
টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, রেডিও-টেলিভিশন, স্টেট ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিয়ন্ত্রণ।
-
আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতার।
-
শহরের যাতায়াত ব্যবস্থা ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ঢাকার বাইরে কার্যক্রম:
-
রাজশাহী, যশোর, খুলনা, রংপুর, সৈয়দপুর, কুমিল্লা-তে সেনা, ইপিআর, আনসার ও পুলিশের বাঙালি সদস্যদের নিরস্ত্র করা।
-
চট্টগ্রাম বন্দর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখল রাখা।
-
ঢাকার বাইরে প্রধান দায়িত্ব পান মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা।
উপসংহার:
অপারেশন সার্চলাইট ছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা পরিকল্পিতভাবে চালানো এক সুনির্দিষ্ট ও সামরিক গণহত্যা অভিযান, যার মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সেনা ও পুলিশের বাঙালি সদস্যদের উপর দমন চালানো হয়েছিল।
0
Updated: 1 month ago