আদালত বা ট্রাইব্যুনালের প্রদত্ত দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার এখতিয়ার কার রয়েছে?
A
রাষ্ট্রপতি
B
আইনমন্ত্রী
C
এটর্নি জেনারেল
D
প্রধানমন্ত্রী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এসব ক্ষমতা সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত এবং সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োগ করা হয়। রাষ্ট্রপতির কাজকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।
-
নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা
রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী নিয়োগ করেন। এছাড়া মহাহিসাব রক্ষক, রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নিয়োগ দেন। প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের নিয়োগ তাঁর দায়িত্ব। প্রধান বিচারপতি নিয়োগও রাষ্ট্রপতির অন্যতম ক্ষমতা, তবে এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করতে হয় না। -
সংসদ সংক্রান্ত ক্ষমতা
রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত ও ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, তবে তা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে হয়ে থাকে। তিনি সংসদে ভাষণ ও বাণী প্রদান করেন। সংসদে গৃহীত বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে আইনে পরিণত হয়। সংসদ ভেঙে গেলে বা অধিবেশন না থাকলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন। -
আর্থিক ক্ষমতা
রাষ্ট্রপতির সম্মতি ছাড়া কোনো অর্থ বিল সংসদে উত্থাপন করা যায় না। সংসদ যদি অর্থ মঞ্জুর করতে ব্যর্থ হয়, তবে রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ ৬০ দিনের জন্য তহবিল থেকে অর্থ অনুমোদন দিতে পারেন। -
বিচার বিভাগীয় ক্ষমতা
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের নিয়োগ দেন। আদালত বা ট্রাইব্যুনালের প্রদত্ত দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতাও রাষ্ট্রপতির রয়েছে। -
জরুরি অবস্থা ঘোষণা
যুদ্ধ, বিদেশি আগ্রাসন বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের সময় রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন। -
অন্যান্য দায়িত্ব
রাষ্ট্রপতি জাতীয় অনুষ্ঠানগুলিতে সভাপতিত্ব করেন। তিনি খেতাব, পদক ও সম্মাননা প্রদান করেন এবং নাগরিকদের বিদেশি উপাধি গ্রহণের অনুমতি দেন। রাষ্ট্রীয় চুক্তি ও দলিল সম্পাদন, বিদেশি কূটনীতিকদের পরিচয়পত্র গ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও বিচারপতিদের শপথ বাক্য পাঠ করানোও তাঁর দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। -
জবাবদিহিতা
রাষ্ট্রপতি তাঁর কার্যক্রমের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করবেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সংসদের অধিবেশন পরিচালনার জন্য ন্যূনতম কতজন সদস্য উপস্থিত থাকতে হয়?
Created: 1 month ago
A
৯০ জন
B
৭০ জন
C
৫০ জন
D
৬০ জন
বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম হলো আইনসভা, যার নাম জাতীয় সংসদ। এটি এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
-
জাতীয় সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জন।
-
এর মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন এবং ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
-
বাংলাদেশকে মোট ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করা হয়েছে এবং প্রতিটি এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
-
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যরা বিভিন্ন দলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যার আনুপাতিক হারে নির্বাচিত হন। এ নির্বাচন হয়ে থাকে সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে।
-
মহিলা সদস্যরা চাইলে ৩০০ আসনের যেকোনো আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হতে পারেন।
-
সংসদে একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার থাকেন, যাঁরা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।
-
সংসদের একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে হয়।
-
সংসদীয় কার্যক্রম চালানোর জন্য অন্তত ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম পূর্ণ হয়।
-
প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সংসদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
আসন সংখ্যার ভিত্তিতে নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান পাওয়া দলের প্রধান সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে?
Created: 1 month ago
A
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান
B
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
C
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার
D
উপজেলা চেয়ারম্যান
উপজেলা প্রশাসন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাঠামো, যা স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন ও শাসন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে থাকে। প্রতিটি জেলা কয়েকটি উপজেলায় বিভক্ত থাকে এবং এই পর্যায়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার মূল দায়িত্বে থাকেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
-
উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক স্তর।
-
প্রতিটি জেলা কয়েকটি উপজেলায় বিভক্ত হয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
-
উপজেলায় প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)।
-
তিনি জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন এবং উপজেলাভিত্তিক কার্যক্রম সমন্বয় করেন।
-
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হলেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা।
-
অন্যান্য উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহায়তায় তিনি উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন।
-
উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও শাসন ব্যবস্থার দায়িত্বও তাঁর ওপর বর্তায়।
-
সামগ্রিকভাবে উপজেলার উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম তদারক করা তাঁর অন্যতম দায়িত্ব।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান?
Created: 1 month ago
A
জেলা পরিষদ
B
উপজেলা প্রশাসন
C
জাতীয় সংসদ
D
জেলা পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদ
প্রশ্নটির সঠিক উত্তর হলো ক) জেলা পরিষদ এবং ঘ) পার্বত্য জেলা পরিষদ। তবে অপশনে দ্বৈত উত্তর থাকায় এটি বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশে স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের অংশগ্রহণ ও স্বশাসনের ভিত্তিতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এটি এমন এক ধরণের শাসনব্যবস্থা যেখানে নির্দিষ্ট এলাকার জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজেদের বিষয়াদি পরিচালনা করে।
-
স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক জনগণের স্বশাসন।
-
এ ব্যবস্থায় জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়।
-
প্রতিনিধিরা জনগণের নিকট দায়বদ্ধ থাকেন এবং তাঁদের কার্যক্রমের জবাবদিহি করতে হয়।
স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো—
-
আইনগত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়া,
-
নির্বাচিত সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনা,
-
সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ,
-
করারোপ করে তহবিল সংগ্রহের ক্ষমতা,
-
নিজস্ব পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সুযোগ,
-
কেন্দ্রীয় বা বিভাগীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে কার্য পরিচালনা।
এ ব্যবস্থা আসলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি পরিশীলিত রূপ, যেখানে স্থানীয় জনগণ সরাসরি ক্ষমতায়নের সুযোগ পান।
বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং পার্বত্য জেলা পরিষদ।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago