নিচের কোনটি স্থানীয় প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত নয়?
A
বিভাগীয় প্রশাসন
B
জেলা প্রশাসন
C
উপজেলা প্রশাসন
D
উপজেলা পরিষদ
উত্তরের বিবরণ
উপজেলা পরিষদকে স্থানীয় প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত ধরা হয় না, কারণ এটি মূলত একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে স্থানীয় প্রশাসন বলতে বোঝানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত শাসন কাঠামো, যা স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর হয়।
-
স্থানীয় শাসন বলতে সাধারণত বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনিক কাঠামোকে বোঝানো হয়।
-
প্রশাসনিক সুবিধার্থে স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
-
এ ব্যবস্থার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শাসন ও নিয়ন্ত্রণকে নিম্ন স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়।
-
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় এবং সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নই এর মুখ্য উদ্দেশ্য।
-
এই ব্যবস্থায় স্থানীয় শাসনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা সরকারের প্রতিনিধি বা এজেন্ট হিসেবে বিবেচিত হন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
রাজনৈতিক দল হচ্ছে -
Created: 1 month ago
A
ধর্মভিত্তিক সংগঠন
B
বিক্ষিপ্ত জনগোষ্ঠী
C
ঐক্যবদ্ধ, সচেতন ও ক্ষমতায় আগ্রহী জনগোষ্ঠী
D
কেবল মাত্র নির্বাচনকালীন সংগঠন
রাজনৈতিক দল হলো একটি সংঘবদ্ধ জনসমষ্টি, যা রাষ্ট্রের সমস্যা সম্পর্কে ঐকমত্য পোষণ করে এবং নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে তাদের নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকে। এই দলগুলি জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে এবং সরকার গঠনে প্রতিযোগিতা করে।
-
সংজ্ঞা অনুযায়ী:
-
যখন কোন জনসমষ্টি রাষ্ট্রের সমস্যা সম্পর্কে একমত পোষণ করে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা অর্জনের আগ্রহী এবং রাজনীতি সচেতন হয়ে সংঘবদ্ধ হয়, তখন তাকে রাজনৈতিক দল বলা হয়।
-
বার্ক: "রাজনৈতিক দল হলো এমন একটি জনসমষ্টি যারা কিছু ঐক্যবদ্ধ নীতির ভিত্তিতে জাতীয় স্বার্থ অর্জনের জন্য সংঘবদ্ধ হয়েছে।"
-
অধ্যাপক গেটেল: "রাজনৈতিক দল বলতে কম-বেশি সংগঠিত একদল লোককে বোঝায়, যারা রাজনৈতিকভাবে একরূপে কাজ করে এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার গঠন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চায়।"
-
অধ্যাপক ফাইনার: "আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন কার্যত রাজনৈতিক দলের শাসন।"
-
ম্যাকাইভার: "রাজনৈতিক দল বলতে সেই জনগোষ্ঠীকে বোঝায় যারা সুনির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে সম্মিলিত এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠনে প্রয়াসী।"
-
অধ্যাপক সুম্পিটার: "রাজনৈতিক দল এমন একটি সংস্থা যার সদস্যবৃন্দ রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় ঐক্যবদ্ধ।"
-
-
উপসংহার: প্রকৃত রাজনৈতিক দল হলো এমন এক সংঘবদ্ধ জনসমষ্টি যা রাষ্ট্রের সমস্যা সম্পর্কে ঐকমত্য পোষণ করে এবং নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে এগিয়ে যায়। এই দলের কাছে দেশের স্বার্থ নেতার বা দলের স্বার্থের চেয়ে বড়।
0
Updated: 4 weeks ago
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (TIB) কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৯৪
B
১৯৯৫
C
১৯৯৬
D
১৯৯৮
Transparency International Bangladesh (TIB)
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৬ সালে।
-
ধরণ: সুশীল সমাজের অংশ, নির্দলীয়, অলাভজনক ও স্বাধীন সংস্থা।
-
প্রাথমিক অবস্থা: শুরুতে একটি ট্রাস্ট হিসেবে গঠিত।
-
নিবন্ধন: ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত বেসরকারি সংস্থা (NGO) হিসেবে।
-
উদ্দেশ্য:
-
সরকার, রাজনীতি, ব্যবসা, নাগরিক সমাজ ও দৈনন্দিন জীবনের সকল ক্ষেত্র থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা।
-
দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ কল্পনা করা।
-
সচেতনতা বৃদ্ধি, সততা বৃদ্ধির মাধ্যমে নীতিগত পরিবর্তনের চেষ্টা।
-
নাগরিকদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে, পদক্ষেপ নিতে এবং সুশাসন ও স্বচ্ছতার জন্য সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
-
-
পদ্ধতি: গবেষণা, তথ্য প্রকাশ, অ্যাডভোকেসি, এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা ব্যবহার করে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কবে প্রথম জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণীত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৮২ সালে
B
১৯৮৩ সালে
C
১৯৮৪ সালে
D
১৯৮৫ সালে
জাতীয় ঔষধনীতি
-
প্রাথমিক প্রণয়ন:
-
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণীত হয় ১৯৮২ সালে।
-
নীতি গ্রহণের ফলে ওষুধের নিরাপত্তা ও মান নিশ্চিত হয়, দামের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়, আমদানি নির্ভরতা কমে এবং দেশীয় ঔষধ শিল্পে স্বনির্ভরতা আসে।
-
নীতি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয় এবং বাংলাদেশ ঔষধ সেক্টরের ভাবমূর্তি উন্নত হয়।
-
-
সর্বশেষ সংস্কার:
-
২০১৬ সালে জাতীয় ঔষধনীতি সংস্কার করা হয়।
-
সংবিধানের ১৫(ক), ১৫(ঘ) ও ১৮(১) ধারার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকার জনগণকে নিশ্চয়তা দেয়।
-
এক সময় যেখানে প্রায় ৮০% ঔষধ আমদানি করা হত, বর্তমানে ৯৭% ঔষধ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে।
-
দেশীয় মানসম্মত ঔষধ ১১৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
-
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু ‘ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর’ গঠন করেন।
-
-
জাতীয় ঔষধনীতির লক্ষ্যসমূহ:
১. জনগণকে নিরাপদ, কার্যকর ও মানসম্পন্ন ঔষধ সহজলভ্য মূল্যে নিশ্চিত করা।
২. ঔষধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার এবং সুষ্ঠু বিতরণ (Dispensing) ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৩. দেশীয় ঔষধ প্রস্তুতকারী শিল্পকে প্রয়োজনীয় সেবা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান, যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়।
৪. দেশের উৎপাদিত ঔষধের রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
৫. ঔষধের কার্যকর নজরদারি (Surveillance) ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
উৎস: জাতীয় ঔষধনীতি-২০১৬
0
Updated: 1 month ago