A
সুয়েজ যুদ্ধ
B
কোরীয়া যুদ্ধ
C
পাক-ভারত যুদ্ধ ১৯৬৫
D
ফকল্যান্ড যুদ্ধ
উত্তরের বিবরণ
কোরিয়া উপদ্বীপ ১৯১০ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি পর্যন্ত জাপানের উপনিবেশ হিসেবে ছিল। কিন্তু ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর উপদ্বীপটি দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়।
এই বিভাজনের ফলে উত্তরে সোভিয়েত ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে গঠিত হয় উত্তর কোরিয়া, আর দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে গঠিত হয় দক্ষিণ কোরিয়া। উভয় দেশের মধ্যবর্তী সীমারেখা নির্ধারিত হয় ৩৮ ডিগ্রি উত্তর সমান্তরাল রেখা বরাবর।
১৯৪৮ সালে দুটি কোরিয়াই নিজ নিজ সরকার ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো গঠন করে। কিন্তু রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যে শুরু থেকেই দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এই পরিস্থিতি এক পর্যায়ে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নেয়, যাকে অনেকেই "The Forgotten War" নামেও উল্লেখ করেন।
যুদ্ধের সারসংক্ষেপ
-
যুদ্ধকাল: ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত।
-
পক্ষসমূহ:
-
উত্তর কোরিয়া, যাদের সমর্থন দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও গণপ্রজাতন্ত্রী চীন।
-
দক্ষিণ কোরিয়া, যাদের সমর্থন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের মিত্রবাহিনী।
-
কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও ফলাফল
১৯৫০ সালের ৩ নভেম্বর, যুদ্ধকালীন উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গ্রহণ করে, যার নাম ছিল "Uniting for Peace Resolution"। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হয়। অবশেষে দীর্ঘ তিন বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটে ১৯৫৩ সালের ২৭ জুলাই, যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে।
কোরীয় যুদ্ধ ছিল ঠাণ্ডা যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা শুধুমাত্র দুই কোরিয়ার মধ্যে নয়, বরং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর আদর্শগত সংঘর্ষকেও প্রতিফলিত করে। এই যুদ্ধ কোরিয়া উপদ্বীপকে আজও বিভক্ত করে রেখেছে এবং আধুনিক ভূরাজনীতিতে এর প্রভাব এখনও বিদ্যমান।
উৎস: জাতিসংঘের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago