A
৪ এপ্রিল, ১৯৪৯
B
৩ জানুয়ারি, ১৯৫৪
C
২৬ মে ১৯৫৫
D
১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬
উত্তরের বিবরণ
NATO (North Atlantic Treaty Organisation) হলো একটি আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতামূলক জোট, যা ৪ এপ্রিল ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর আটলান্টিক চুক্তির মাধ্যমে এই সংস্থা গঠিত হয় মূলত পশ্চিম ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে। প্রতিষ্ঠার সময় ১২টি দেশ ছিল এর সদস্য, আর বর্তমানে এটি ৩২টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত।
NATO-এর সদর দপ্তর ব্রাসেলস, বেলজিয়ামে অবস্থিত এবং বর্তমানে এর মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মার্ক রুট। মুসলিম দেশের মধ্যে আলবেনিয়া ও তুরস্ক এই জোটের সদস্য। সম্প্রতি সুইডেন ৩২তম সদস্য হিসেবে যোগদান করেছে।
এই সংস্থাটি একটি আন্তঃসরকারি সামরিক জোট, যা মূলত সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে। NATO-এর মূল আদর্শ বা স্লোগান হল "A mind unfettered in deliberation" অর্থাৎ অবাধ আলোচনা ও চিন্তার মাধ্যমে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
NATO-এর প্রথম ইউরোপের বাইরে অনুষ্ঠিত মিশন হয়েছিল আফগানিস্তানে, ২০০৩ সালে।
উৎস: NATO-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
কে প্রথম 'গ্লোবাল ভিলেজ' ধারাটির উপস্থাপন করেন?
Created: 5 days ago
A
হার্বার্ট মার্শাল ম্যাকলুহান
B
রবার্ট কিংসলে
C
হেনরি জি. ম্যাকমিলান
D
ডব্লিউ জি. পেরি
গ্লোবাল ভিলেজ (Global Village):
‘গ্লোবাল ভিলেজ’ ধারণাটি প্রথম উপস্থাপন করেন কানাডীয় গণযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ মার্শাল ম্যাকলুহান।
-
গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম বলতে বোঝায় এমন এক সমাজ, যেখানে পৃথিবীর সব মানুষ ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে একে অপরকে সেবা দেয়।
-
মার্শাল ম্যাকলুহান টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এবং ‘দি মিডিয়াম ইজ দি মেসেজ’ ও ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ ধারণার প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত।
-
১৯৬২ সালে তাঁর বই The Gutenberg Galaxy: The Making of Typographic Man এবং ১৯৬৪ সালে Understanding Media গ্রন্থে তিনি ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ ধারণা তুলে ধরেন।
-
তাঁর সময়ে ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তার ঘটে, যা সময় ও দূরত্বকে সংকুচিত করে পৃথিবীকে একটি গ্রামের মতো করে ফেলে।
-
তিনি এই প্রযুক্তির বিস্তৃতিকে ‘ইলেকট্রনিক নার্ভাস সিস্টেম’ (Electronic Nervous System) বলে আখ্যায়িত করেন, যা পৃথিবীকে গ্লোবাল ভিলেজে রূপান্তরিত করেছে।

0
Updated: 5 days ago
কোনটি উন্নয়ন কার্যক্রমে ঋণ সহয়তাদানকারী সংস্থা?
Created: 4 days ago
A
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
B
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
C
বিশ্বব্যাংক
D
উপরের সবগুলো
আন্তর্জাতিক উন্নয়নে ঋণ সহায়তা প্রদানকারী তিনটি প্রধান প্রতিষ্ঠান
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কার্যক্রমে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB), বিশ্বব্যাংক, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)—এই তিনটি প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তারা বিভিন্ন দেশকে ঋণ, অনুদান ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে উন্নয়নে সহায়তা করে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB)
-
এটি একটি আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক, প্রতিষ্ঠিত হয় ডিসেম্বর ১৯৬৬ সালে।
-
এর সদর দপ্তর ম্যানিলা, ফিলিপাইন-এ।
-
ADB মূলত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলএর দেশগুলোতে অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ ও সহায়তা দেয়।
-
বাংলাদেশ ADB-এর সদস্য হয় ১৪ মার্চ ১৯৭৩ সালে।
বিশ্বব্যাংক
-
দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা দেয়।
-
গঠনের সিদ্ধান্ত হয় ৪ জুলাই ১৯৪৪, আর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে জুন ১৯৪৬ সালে।
-
সদর দপ্তর: ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র।
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ১৮৯টি দেশ [জুলাই ২০২৫]।
-
বর্তমান প্রেসিডেন্ট: অজয় বঙ্গ [জুলাই ২০২৫]।
-
বিশ্বব্যাংক বলতে মূলত IBRD (International Bank for Reconstruction and Development) কে বোঝানো হয়।
-
প্রথম ঋণ দেয় ফ্রান্সকে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)
-
এটি শুধুমাত্র একটি অর্থনৈতিক জোট নয়, বরং মানবাধিকার, গণতন্ত্র, পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়নক্ষেত্রেও সাহায্য করে।
-
প্রতিষ্ঠিত হয় ১ নভেম্বর ১৯৯৩, মাস্ট্রিচ চুক্তির মাধ্যমে।
-
সদর দপ্তর: ব্রাসেলস, বেলজিয়াম।
-
বর্তমানে সদস্য দেশ সংখ্যা: ২৭টি [জুলাই ২০২৫]।
-
ইইউর একক মুদ্রা: ইউরো, যার প্রচলন শুরু হয় ১ জানুয়ারি ১৯৯৯।
-
ইউরোর জনক: রবার্ট মুন্ডেল।
-
ইইউর সীমান্ত রক্ষী বাহিনী: FRONTEX।
ইইউর ২৭টি সদস্য দেশ হলো
অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন ও সুইডেন।
তথ্যসূত্র: এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকারি ওয়েবসাইট।

0
Updated: 4 days ago
'ব্রেটন উডস ইনস্টিটিউট' নিচের কোন সংস্থাকে বোঝায়?
Created: 2 weeks ago
A
আইএমএফ
B
বিশ্বব্যাংক
C
এডিবি
D
আইডিবি
ব্রেটন উডস ইনস্টিটিউশনস বলতে আইএমএফ (IMF) ও বিশ্বব্যাংক (World Bank) - এই দুই আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বোঝানো হয়।
ব্রেটন উডস সম্মেলন
১৯৪৪ সালের ১ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ব্রেটন উডস শহরে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে এই সম্মেলনে বিশ্বের ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল—যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর পুনর্গঠন, আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতকরণ এবং ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যব্যবস্থার রূপরেখা নির্ধারণ।
এই সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন আমেরিকান অর্থনীতিবিদ হ্যারি ডেক্সটার হোয়াইট এবং ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইনস। তাঁদের দুজনকে ‘আইএমএফ’ ও ‘বিশ্বব্যাংক’-এর Founding Fathers বা প্রতিষ্ঠাতা পিতৃপুরুষ বলা হয়।
এই সম্মেলনের ফলেই জন্ম নেয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান—
-
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)
-
আন্তর্জাতিক পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক (IBRD), যা বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের অংশ।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, IBRD-এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৬ সালের জুন মাসে, যদিও এর ভিত্তি স্থাপিত হয় ১৯৪৪ সালের সম্মেলনের মাধ্যমে।
এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে একত্রে ‘ব্রেটন উডস ইনস্টিটিউশনস’ বলা হয়। আবার অনেক সময়, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংককে “ব্রেটন উডস জমজ” হিসেবেও অভিহিত করা হয়, কারণ তাদের উত্থান একই সম্মেলন থেকে।
তথ্যসূত্র:
i) World Bank Group
ii) U.S. Department of State (state.gov)

0
Updated: 2 weeks ago