বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের কতটি স্তম্ভ ?
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
উত্তরের বিবরণ
বর্তমান বিশ্বে সুশাসন একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারণা হিসেবে স্বীকৃত। এটি শুধুমাত্র শাসন ব্যবস্থা নয়, বরং সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবেও বিবেচিত হয়।
-
সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো “Good Governance”।
-
সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সুশাসন অপরিহার্য।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে সর্বপ্রথম সুশাসন প্রত্যয়টি ব্যবহার করা হয়।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে, যা হলো:
i) দায়িত্বশীলতা (Accountability)
ii) স্বচ্ছতা (Transparency)
iii) আইনী কাঠামো (Rule of Law)
iv) অংশগ্রহণ (Participation)
0
Updated: 1 month ago
বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন নামে পরিচিত কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নৈতিকতা
B
মূল্যবোধ
C
সুশাসন
D
কোনটিই নয়
সুশাসন হলো একটি কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতিফলন, যা ন্যায়নীতি অনুসারে উত্তম, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে রাষ্ট্র শাসন বোঝায়। অন্যভাবে, সুশাসন বলতে রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজের, সরকার ও শাসিত জনগণের, শাসক ও শাসিতের সম্পর্ক বোঝায়। এটি একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও ন্যায়সংগত ব্যবস্থা, যা আইনের শাসন নিশ্চিত করে এবং সরকারের উচ্চতর দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
সুশাসনের উদ্ভব ও ইতিহাস:
-
ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যর্থতার ফলে ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের ধারণা উদ্ভব করে।
-
এটি পরিচিত হয় বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন নামে।
-
১৯৮০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বব্যাংক সুশাসনকে উন্নয়নের এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করে।
-
সুশাসন সরকার ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, যা উভয়ের জন্য লাভজনক হওয়ায় এটিকে ‘Win Win Game’ বলা হয়।
-
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক পরানীতিবিদ্যার (Meta-Ethics) প্রবর্তক বলা হয় কাকে?
Created: 1 month ago
A
হল্যান্ড
B
আরজ আলী মাতুব্বর
C
ডব্লিউ ডি হার্ডসন
D
জি. ই. ম্যুর
পরানীতিবিদ্যা (Meta-Ethics) হলো নৈতিক পদ, নৈতিক অবধারণ ও নৈতিক ভাষার অর্থ ও যৌক্তিকতা সংক্রান্ত আলোচনা, যার মাধ্যমে বিভিন্ন নৈতিক মতবাদ গড়ে ওঠে। এটি নৈতিক উক্তি, পদ বা অবধারণ, এবং নৈতিক পদ ও অবধারণের যৌক্তিকতা নিরূপণ ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে গঠিত।
-
পরানীতিবিদ্যার অর্থ: ‘Meta Ethics’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো পরানীতিবিদ্যা।
-
ভিন্ন নীতিবিদ্যার সঙ্গে তুলনা:
-
মানমূলক নীতিবিদ্যা: আচরণের ভাল-মন্দ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন মানদন্ড বা আদর্শ ব্যবহার করে।
-
ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা: বাস্তব জীবনের চলতি সমস্যাকে নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে।
-
বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা: অভিজ্ঞতানির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত; এর উদাহরণ হলো বিবর্তনবাদী নীতিবিদ্যা।
-
-
উদ্ভাবক ও গুরুত্বপূর্ণ ধারণা:
-
ব্রিটিশ দার্শনিক জি. ই. ম্যূর (G. E. Moore) আধুনিক পরানীতিবিদ্যার প্রবর্তক।
-
১৯০৩ সালে তার বই ‘Principia Ethica’ এই ধরনের আলোচনার সূত্রপাত করে।
-
জি. ই. ম্যূর বলেন, “শুভের প্রতি অনুরাগ ও অশুভের প্রতি বিরাগ হলো নৈতিকতা।”
-
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় -
Created: 1 month ago
A
স্বচ্ছতাকে
B
মানবাধিকার রক্ষাকে
C
জনকল্যাণকে
D
আইনের শাসনকে
সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় আইনের শাসন। কারণ, একটি রাষ্ট্র বা সমাজে সুবিচার, ন্যায়বিচার ও সুশৃঙ্খল প্রশাসন নিশ্চিত করতে আইনের শাসন অপরিহার্য। সুশাসনের কার্যকারিতা অনেকাংশেই নির্ভর করে আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়ার উপর।
-
সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
-
এটি একটি রাষ্ট্র বা সমাজে সুবিচার, ন্যায়বিচার ও সুশৃঙ্খল প্রশাসন নিশ্চিত করে।
-
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে সবাই সমানভাবে আইনের আওতায় থাকবে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে না।
-
এর ফলে দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।
-
আইনের শাসন ব্যতীত জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটাধিকার এবং মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত হতে পারে না।
-
জনকল্যাণ সুশাসনের একটি লক্ষ্য হলেও এটি একমাত্র ভিত্তি নয়।
0
Updated: 1 month ago