অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে কী ঘটে?
A
সামাজিক অবক্ষয় হয়
B
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
C
বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়
D
দুর্নীতি দূর হয়
উত্তরের বিবরণ
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। এটি শুধু রাষ্ট্রের আর্থিক প্রবৃদ্ধিকেই নয়, বরং জনগণের জীবনের মানোন্নয়নেও প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুত এগিয়ে যায়।
-
এতে পুঁজি বিনিয়োগ ও শিল্পকারখানা স্থাপনে আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
-
বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় এবং বেকারত্ব হ্রাস পায়।
-
তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
0
Updated: 1 month ago
নীতিবিদ ম্যুর নৈতিকতাকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন?
Created: 1 month ago
A
ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও অন্যায় দমন
B
জ্ঞানের চর্চাই নৈতিকতার মূল ভিত্তি
C
শুভর প্রতি অনুরাগ ও অশুভর প্রতি বিরাগ
D
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই নৈতিকতার সারমর্ম
নৈতিকতা হলো মানুষের আচরণ, চিন্তাভাবনা ও অন্তর্নিহিত অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মৌলিক ধারণা, যা ভালো ও মন্দের প্রতি মানুষের প্রতিক্রিয়াকে প্রকাশ করে। বিভিন্ন দার্শনিক ও অভিধান নৈতিকতার প্রকৃতি ও সংজ্ঞা বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
-
দার্শনিক ব্যাখ্যা:
-
গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো এবং এরিস্টটল নৈতিকতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
-
সক্রেটিস বলেন, 'সৎ গুণই জ্ঞান' (Virtue is knowledge)।
-
তাঁর মতে, জ্ঞানী ও গুণী ব্যক্তি অন্যায় করতে পারেন না। ন্যায়বোধের উৎস হলো জ্ঞান, আর অন্যায়বোধের উৎস হলো অজ্ঞতা।
-
নৈতিকতা বা নীতিবোধ মানুষের হৃদয়-মন থেকে উৎসারিত, এবং এটি মানুষের ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত বোধ বা অনুভূতির বিকাশের মাধ্যমে গড়ে ওঠে।
-
-
নীতিবিদের ব্যাখ্যা:
-
জি. ই. ম্যুর নৈতিকতাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন: "শুভর প্রতি অনুরাগ ও অশুভর প্রতি বিরাগই হচ্ছে নৈতিকতা।"
-
তাঁর মতে, নৈতিকতা হলো মানুষের ভালো ও মন্দের প্রতি অন্তর্নিহিত অনুভূতির প্রকাশ।
-
-
অভিধান অনুযায়ী সংজ্ঞা:
-
Collins English Dictionary: নৈতিকতা মানুষের আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত, বিশেষ করে ভালো ও মন্দ এবং সঠিক ও ভুল আচরণের মধ্যে পার্থক্য বোঝায়।
-
Cambridge International Dictionary of English: নৈতিকতা হলো ভালো-মন্দ আচরণ, স্বচ্ছতা, সততা ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি গুণ, যা প্রত্যেক ব্যক্তি আইন বা অন্য কোনো বিষয়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।
-
0
Updated: 1 month ago
কোনটিকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
জনপ্রশাসন
B
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
C
গণতন্ত্র
D
নৈতিক মূল্যবোধ
সুশাসনের ধারণা হলো একটি বহুমাত্রিক এবং প্রগতিশীল ধারণা, যা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় শাসনের কার্যকরী ব্যবস্থা বোঝায়। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ, ক্ষেত্র ও প্রেক্ষাপট থেকে ‘গভর্নেন্স’ শব্দের ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যা প্রশাসন ও নীতি-নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সমন্বয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজকে কার্যকরভাবে পরিচালিত করে।
-
গভর্নেন্স (Governance) বহুমাত্রিক ধারণা, যা শাসনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাকে নির্দেশ করে।
-
বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, যেমন জি. বিলন, OCED, UNDP, সুশাসনের আদর্শ ও কার্যকরী বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন।
-
গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে— গণতন্ত্র, অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া, নৈতিক মূল্যবোধ, স্বাধীন বিচার বিভাগ।
গণতন্ত্র ও সুশাসন
-
সুশাসনের জন্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই।
-
গণতন্ত্র হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ।
-
সুশাসনের জন্য আইনের শাসন অপরিহার্য, যা সকল নাগরিককে সমানভাবে আইনের আওতায় আনে এবং প্রশাসনকে জবাবদিহি ও স্বচ্ছ রাখে।
0
Updated: 1 month ago
খ্যাতি বা সম্মান অর্জনের অধিকার’ কোন শ্রেণির অধিকার হিসেবে বিবেচিত হয়?
Created: 1 month ago
A
সাংস্কৃতিক অধিকার
B
আইনগত অধিকার
C
সামাজিক অধিকার
D
রাজনৈতিক অধিকার
সামাজিক অধিকার হলো সেই সকল অধিকার যা নাগরিকের সভ্য জীবযাপনের জন্য অপরিহার্য।
-
সামাজিক অধিকারসমূহ নিম্নরূপ:
১. জীবনের অধিকার
২. ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার
৩. চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা
৪. সভা-সমিতির অধিকার
৫. খ্যাতি বা সম্মান লাভের অধিকার ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago