কোন সংস্থা 'Governance : Sound Development Management' শীর্ষক রিপাের্ট প্রকাশ করে?
A
UNDP
B
World Bank
C
IMF
D
ADB
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সময় সময়ে গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এসব রিপোর্টে সুশাসনের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
১৯৯২ সালে বিশ্বব্যাংক "Governance and Development" শীর্ষক রিপোর্টে সুশাসনের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক "Governance: The World Bank Experience" বা ‘শাসন: বিশ্বব্যাংকের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক রিপোর্টে সুশাসনকে চারটি কার্যক্রম দ্বারা ব্যাখ্যা করে: সরকারি খাতের ব্যবস্থাপনা, জবাবদিহিতা, উন্নয়নের জন্য আইনী কাঠামো এবং স্বচ্ছতা ও তথ্য।
-
১৯৯৫ সালে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (ADB) "Governance: Sound Development Management" শীর্ষক রিপোর্টে সুশাসন সম্পর্কে আলোচনা করে।
-
১৯৯৭ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) "Governance for Sustainable Human Development" নামে একটি নীতিমালায় সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে এবং এর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে।
0
Updated: 1 month ago
“সুশাসন চারটি স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল” - এই অভিমত কোন সংস্থা প্রকাশ করে?
Created: 1 month ago
A
জাতিসংঘ
B
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি
C
বিশ্বব্যাংক
D
এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক
বিশ্বব্যাংক এবং সুশাসনের ধারণা মূলত বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রবর্তিত। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষায় প্রথমবার ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহার করা হয়। একটি রাষ্ট্রে যদি সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে সেই রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক সংজ্ঞায় উল্লেখ করে, ‘সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই হলো গভর্নেন্স।’ পরে, ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করে যে, সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি মূল স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।
-
দায়িত্বশীলতা
-
স্বচ্ছতা
-
আইনি কাঠামো
-
অংশগ্রহণ
0
Updated: 1 month ago
'সুশাসন' শব্দটি সর্বপ্রথম কোন সংস্থা সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে?
Created: 2 months ago
A
জাতিসংঘ
B
ইউএনডিপি
C
বিশ্বব্যাংক
D
আইএমএফ
সুশাসন (Good Governance) এবং বিশ্বব্যাংক
-
সুশাসন শব্দটি প্রথমবারের মতো ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষায় ব্যবহার করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি দেশ তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে দক্ষভাবে ব্যবস্থাপনা ও ক্ষমতার প্রয়োগ করে।
-
বিশ্বব্যাংক একটি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথমবার উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে সুশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরে।
-
১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘শাসন প্রক্রিয়া ও উন্নয়ন’ রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে যে, অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন অবহেলা বা ব্যর্থতার পেছনে মূল কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন : একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী : প্রথমপত্র, মো. মোজাম্মেল হক
0
Updated: 2 months ago
'সুশাসন চারটি স্তম্ভের উপর নির্ভরশীল' -এই অভিমত কোন সংস্থা প্রকাশ করে?
Created: 1 week ago
A
জাতিসংঘ
B
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি
C
বিশ্বব্যাংক
D
এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক
সুশাসন এমন একটি প্রক্রিয়া, যা সমাজে ন্যায়, জবাবদিহিতা এবং উন্নয়নের ভিত্তি গড়ে তোলে। বিশ্বব্যাংকের মতে, সুশাসনের মূল উদ্দেশ্য হলো রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদকে এমনভাবে ব্যবহার করা, যাতে সমাজের সমস্যা সমাধান ও জনগণের চাহিদা পূরণ সম্ভব হয়। এই ধারণা অনুযায়ী, রাষ্ট্র পরিচালনা তখনই সুশাসনপূর্ণ হয় যখন ক্ষমতা স্বচ্ছভাবে প্রয়োগ হয় এবং নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।
বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে প্রথম সুশাসনের ধারণা উপস্থাপন করে এবং ১৯৯২ সালে এর সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। পরে ২০০০ সালে “শাসন: বিশ্বব্যাংকের অভিজ্ঞতা” নামের এক প্রতিবেদনে তারা সুশাসনের চারটি মৌলিক স্তম্ভ তুলে ধরে, যা কার্যকর প্রশাসন ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
-
দায়িত্বশীলতা: প্রশাসন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি স্তরে দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য। নীতি ও কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়নে দায়বদ্ধতা থাকলেই জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভব।
-
স্বচ্ছতা: সুশাসনের অন্যতম শর্ত হলো স্বচ্ছতা। নীতি, পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় উন্মুক্ততা বজায় থাকলে দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং জনগণ সরকারি কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত থাকে।
-
আইনি কাঠামো: একটি শক্তিশালী ও কার্যকর আইনি ব্যবস্থা সুশাসনের ভিত্তি। আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় এবং প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা কমে।
-
অংশগ্রহণ: নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়। জনগণের মতামত, চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী নীতি প্রণয়ন করলে তা অধিক কার্যকর হয়।
বিশ্বব্যাংকের এই চারটি স্তম্ভ মূলত এমন একটি প্রশাসনিক কাঠামোর ইঙ্গিত দেয়, যেখানে ক্ষমতার প্রয়োগের প্রতিটি ধাপ জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। সুশাসন তখনই বাস্তবায়িত হয়, যখন রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে এবং ন্যায় ও উন্নয়নের পথে পরিচালিত হয়।
0
Updated: 1 week ago