A
যুক্তরাজ্য
B
ফ্রান্স
C
জাপান
D
জার্মানি
উত্তরের বিবরণ
স্ট্যাচু অব লিবার্টি: স্বাধীনতার অনন্য প্রতীক
বিশ্বখ্যাত স্ট্যাচু অব লিবার্টি বা স্বাধীনতার মূর্তি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মুক্তচিন্তার এক শক্তিশালী প্রতীক। এই ভাস্কর্যটি যুক্তরাষ্ট্রকে উপহার দিয়েছিল ফ্রান্স, বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে।
অবস্থান ও রূপ
নিউইয়র্ক শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত লিবার্টি দ্বীপে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে এই বিশাল মূর্তিটি। এটি রোমান দেবী লিবার্টাস-এর অনুকরণে নির্মিত। একে নারীর রূপে গড়া হয়েছে, যার ডান হাতে রয়েছে উঁচু করে ধরা একটি জ্বলন্ত টর্চ, আর বাম হাতে একটি আইনলিপিবদ্ধ ট্যাবলেট – যাতে খোদাই করা আছে আমেরিকার স্বাধীনতার তারিখ (৪ জুলাই, ১৭৭৬)।
নির্মাণ ইতিহাস
-
ফরাসি ভাস্কর ফ্রেডেরিক অগুস্তে বার্থোলডি ছিলেন মূল নকশাবিদ।
-
ভাস্কর্যটি ১৮৭৫ থেকে ১৮৮৪ সালের মধ্যে ফ্রান্সে তৈরি হয়।
-
এর প্রতিটি অংশ আলাদা করে তৈরি করা হয় – মোট ৩৫০টি অংশ ছিল।
-
এসব অংশ একটি জাহাজে করে ১৮৮৫ সালের ১৭ জুন নিউইয়র্কে পৌঁছে।
-
পরে এগুলো একত্র করে চূড়ান্তভাবে নির্মিত হয় স্ট্যাচু অব লিবার্টি।
📏 আকৃতি ও মাপ
-
মূল ভাস্কর্যটির উচ্চতা ১৫১ ফুট।
-
বেদিসহ মোট উচ্চতা দাঁড়ায় ৩০৫ ফুট বা প্রায় ৯৩ মিটার।
ঐতিহাসিক স্বীকৃতি
-
ভাস্কর্যটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮৮৬ সালের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড।
-
পরবর্তীতে, ১৯২৪ সালে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার একে জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করে।
এই বিশাল ভাস্কর্য শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নয়, বরং পুরো বিশ্বের জন্যই মুক্তির এক অনন্য প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এটি আজও বিশ্বজুড়ে লাখো পর্যটকের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 month ago